চাঁদপুরে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ইউসুফ পাটওয়ারী (৪০) নামে এক মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কুমারডুবি এলাকার পাটওয়ারী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

ইউসুফ পাটওয়ারী ওই এলাকার মৃত কলিম উল্লাহ পাটওয়ারী ছেলে। এ ঘটনার সময় নিহত ইউসুফ পাটওয়ারীর বড় ভাই ইব্রাহীম পাটওয়ারীকেও (৬০) কুপিয়ে জখম করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। 

স্বজনরা জানায়, সম্পত্তি নিয়ে কিছুদিন ধরে ইউসুফ পাটওয়ারীর খালাতো ভাই মাইনুদ্দিন (৬০), তার ছেলে রমজান (৩৫), রবিউল (২৫) ও রহিম (২০) হুমকিধামকি দিয়ে আসছে। সকালে ইউসুফ পাটওয়ারীর বাড়িতে ঢুকে মাইনুদ্দিনসহ তার ছেলেরা ধারালো অস্ত্র ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। সেখানেই ইউসুফ নিহত হন। এতে গুরুতর আহত হয় তার ভাই ইব্রাহীম।

ইউসুফ পাটওয়ারী চাঁদপুর শহরের শপত চত্ত্বর মোড়ে মেহেদী মোবাইল হাউজ নামে একটি শো-রুম রয়েছে। তার স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। এ ঘটনার তার গ্রামের বাড়ি ও মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। 

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

বাহার মিয়া জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের রহস্য জানা যাবে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘সময় পাল্টে গেছে, একটা ভিডিও ক্লিপ দিয়েও এখন জাতীয় দলে ডাক পাওয়া যায়’

সব খেলোয়াড়েরই ইচ্ছা থাকে দেশের হয়ে খেলার। বেশি খেলার সুযোগ, বেশি আয়ের সুযোগ কিংবা ব্যাপক পরিচিতি যতই ক্লাব বা লিগের খেলার মধ্য দিয়ে আসুক না কেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার গৌরব সব ক্রীড়াবিদের কাছে বিশেষ কিছু।

আর সেই গৌরবের অংশীদার হতে একজন খেলোয়াড়কে ধারাবাহিক সাফল্য, পরিশ্রম, নিবেদন ও অপেক্ষার বড় পরীক্ষায় পাস করতে হয়। তবে যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা এই ধারা এখন বদলে গেছে মনে করেন স্টিভেন ফিন। ইংল্যান্ডের এই সাবেক ক্রিকেটারের মতে, এখন একজন খেলোয়াড়ের একটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স বা একটি বিশেষ মুহূর্তই তাঁকে দলে ঢোকার সুযোগ এনে দিতে পারে। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে জাতীয় দলে ঢোকার ক্ষেত্রে একটা ভিডিও ক্লিপই যথেষ্ট হয়ে ওঠে।

ইংল্যান্ডের হয়ে ২০১০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ৩৬টি টেস্টসহ ১২৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ফিন। ৩৬ বছর বয়সী এই সাবেক পেসার বিবিসিতে লেখা কলামে বলেছেন ইংল্যান্ড দলে জায়গা পেতে তখন কী পরিমাণ দৃঢ় সংকল্প থাকতে হতো, ‘জেমস অ্যান্ডারসন আর স্টুয়ার্ট ব্রডের জায়গা পাকা ছিল। ফলে টিম ব্রেসনান, গ্রাহাম অনিয়নস, ক্রিস ট্রেমলেট, ক্রিস ওকস, আমি এবং আরও কয়েকজন বাকি একটি জায়গার জন্য লড়ছিলাম। এই প্রতিযোগিতা তৈরি করেছিল ক্ষুধা আর সংকল্প।

কারণ, আমি জানতাম বাকি সবাইও ঠিক একই চেষ্টা করছে। একের পর এক ভালো পারফরম্যান্স করা এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে সপ্তাহের পর সপ্তাহ নিজের সামর্থ্য দেখিয়ে প্রমাণ করতে হতো যে আপনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ সামলাতে প্রস্তুত।’

স্টিভেন ফিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ