যে কারণে টটেনহামের খেলা দেখা যায় না উত্তর কোরিয়ায়
Published: 16th, February 2025 GMT
উদ্ভট ও বিস্ময়কর সব কাণ্ড ঘটিয়ে প্রায়ই সংবাদের শিরোনাম হতে দেখা যায় উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উনকে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ফুটবলীয় এক কাণ্ডে আলোচনায় আসলেন কিম। উত্তর কোরিয়ার এই শাসক নাকি নিজের দেশে টটেনহামের খেলা দেখানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন এই নিষেধাজ্ঞা?
বেশ অদ্ভুত এক কারণে টটেনহামের খেলা দেখার ওপর কিমের এই নিষেধাজ্ঞা। কারণটা হচ্ছে, প্রিমিয়ার লিগের এই ক্লাবের অধিনায়ক একজন দক্ষিণ কোরিয়ান। তিনি দলের অন্যতম সেরা তারকা সন হিউং-মিন। দ্য সানের বরাতে ফক্স স্পোর্টস জানিয়েছে, যদি কোনো দলে দক্ষিণ কোরিয়ার খেলোয়াড় থাকেন, তবে সেসব দলের খেলা উত্তর কোরিয়ায় প্রদর্শন করা হবে না
এমন সিদ্ধান্তে অবশ্য শুধু উত্তর কোরিয়ার টটেনহাম–ভক্তদের মন খারাপ হবে, তা–ই নয়, এর ফলে ভুক্তভোগী হবেন কিম নিজেও। যেমন আজ রাতে মাঠে নামবে কিমের প্রিয় দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু এই ম্যাচ দেখা হবে না তাঁর। কারণ, এই ম্যাচে ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ যে নিষেধাজ্ঞায় পড়া টটেনহাম। আর নিষেধাজ্ঞার কারণে হতাশা নিয়েই থাকতে হবে তাঁকে।
আরও পড়ুনকিম জং উনের সঙ্গে যে কারণে সন্ধি করছে দক্ষিণ কোরিয়া০১ এপ্রিল ২০২১শুধু টটেনহামই নয়, উলভস এবং ব্রেন্টফোর্ডের ম্যাচও দেখা যাবে না উত্তর কোরিয়ায়। এই দুই ক্লাবেও দক্ষিণ কোরিয়ার দুজন ফুটবলার খেলে থাকেন। উলভসে খেলেন ফরোয়ার্ড হওয়াং হি-চ্যান আর ব্রেন্টফোর্ডে খেলেন ডিফেন্ডার কিম জি-সো।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে নতুন করে শুরু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
আজ সোমবার সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।
সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।
সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’
তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।