Risingbd:
2025-09-18@04:57:35 GMT

গোমতী নদীতে পলো বাওয়া উৎসব

Published: 16th, February 2025 GMT

গোমতী নদীতে পলো বাওয়া উৎসব

পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসব হচ্ছে গ্রামবাংলার একটি ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্য উৎসব পালনে প্রতিবছর এই সময় এলেই কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী কটকবাজার এলাকায় নানা স্থান থেকে গোমতির পাড়ে জড়ো হন শত শত মানুষ।

কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ উৎসব আগের মতো জাঁকজমক না হলেও গান ও হৈ-হুল্লোড়ে কোনো কমতি ছিল না গোমতিতে। উৎসব দেখতে ভিড়ে করেন উৎসুক জনতা। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় মৎস্য শিকারিদের ভিড়।

রবিবার (১৬ ফ্রেরুয়ারি) দুপুর, গোমতি নদীর কটকবাজার এলাকায় চারদিকে ফাগুনের ঝিরিঝিরি হাওয়া বইছে। ধুলো উড়ছে। গোমতীর পাড়ে জড়ো হয়েছেন বেশ কয়েকজন। কারও হাতে পলো, কারও হাতে কনুই জাল। কেউবা এসেছেন বেড় জাল নিয়ে। 

বছরের ফাল্গুন মাসে গোমতী নদীর পানি কমে তলানিতে জমা হয়। তখন এর বুকে চলে মৎস্য শিকার উৎসব। এমনই এক উৎসবে যোগ দিতে আজ রবিবার জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মৎস্য শিকারিরা ভিড় জমান।

কেউ কনুই জাল ছুড়লেন। কেউ হাতের পলো চেপে ধরলেন পানিতে। কিছুক্ষণ পরই শোনা গেল উল্লাস। কারও জালে ধরা পড়ছে কার্প, কারও জালে বাগাড়। কেউ পলোতে চেপে ধরছেন বড় রুই মাছ।

চৌদ্দগ্রাম থেকে আসা আমিন মিয়া গোমতীর টিক্কারচর ব্রিজের নিচে অন্তত ৭ কেজি ওজনের একটি কার্প মাছ পেয়েছেন। তিনি বললেন, ‘‘আমি যহন পলোডা লইয়া বাড়িত থাইক্কা আই হেসুমকালা আমার মাইয়াডা কয়, আব্বা দোয়া পইড়া দিলাম। তুমি একটা বড় মাছ পাইবা। আমার মাইয়ার কথাডা ফলছে। মাইয়ার জামাইডা বাইত আইছে। এত্ত বড় মাছটা দেখলে অক্করে বেজায় খুশি হইবো।’’

বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় মৎস্য শিকারিদের ভিড়।

কালের পরিক্রমায় নদীতে মাছের সংখ্যা কমে এলেও মৎস্য শিকারিদের উৎসবে ভাটা পড়েনি এতটুকু। হুল্লোড় এবং মজায়ও ছিল না কোনো ভাটা। 

নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট থেকে আসা শৌখিন শিকারি কালা মিয়া বলেন, ‘‘দুই ঘণ্টা পলোডা চাপছি। আৎকা একটা লাড়া দিল। আরও চাপ দিয়া ধরছি। আমার ভাই শামীম আর আমি চার কেজি ওজনের মাছটা পাড়ো তুলছি।’’

দেবিদ্বার থেকে আসা কৃষক রহমত মিয়া বলেন, ‘‘চার কেজি ওজনের একটা বাগাড় মাছ পাইছি। মানুষে বাগাড়টা কিনতে চায়। আমি বেচি নাই। মাছতো বেচতাম পাইরাম কিন্তু কিন্না খাইতাম পারতাম না। টেকার লোভ করি নাই।’’

এই বিষয় ইতিহাসবিদ ও গবেষক আহসানুল কবীর বলেন, ‘‘গোমতীতে মাছ ধরার উৎসবটি আমাদের শত বছরের ঐতিহ্য। একসময় এই নদীতে বড় বোয়াল, বাগাড়, চিতল, কালিবাউশ, রুই-কাতলা পাওয়া যেত। সেগুলো নগরীর রাজগঞ্জ বাজারে বিক্রি হতো।”

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক সুমি আক্তার বলেন, “সময়ের পরিক্রমায় কমেছে গোমতীর পানি ও মাছের আনাগোনা। এখন যৎসামান্য কিছু মাছ পাওয়া যায়। যদি গোমতীকে শাসন না করে পরিকল্পনা অনুযায়ী খনন করা যেত, তাহলে গোমতী তার আগের রূপ ফিরে পেত এবং জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ হতো।’’

ঢাকা/রুবেল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মৎস য শ ক র

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
  • কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
  • কারও কোনো অপরাধ নাই
  • বিশ্বকর্মা পূজা: গাঙ্গেয় শিল্পের উৎসব
  • আজ থেকে বুসান উৎসব, নানাভাবে রয়েছে বাংলাদেশ
  • ‎সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব : ডিসি
  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • ঘুম থেকে অনন্ত ঘুমে অস্কারজয়ী রবার্ট রেডফোর্ড
  • ২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি
  • শেষ হলো সপ্তম যোসেফাইট ম্যাথ ম্যানিয়া ২০২৫