আইপিএলের ২০২৫ আসরের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচ হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে। আইপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। চ্যাম্পিয়ন দলটি এবার ঘরের মাঠে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে ২২ মার্চ। ফাইনালে যেতে পারলে ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পাবে রিংকু সিংরা। ফাইনাল হবে ২৫ মে।
এর আগে ২০১৩ ও ২০১৫ আসরের আইপিএলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইডেন গার্ডেনসে। তবে আইপিএলের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা একবারও ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলার সুযোগ পায়নি। ২০১৩ ও ২০১৫; দুই আসরেরই চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। রানার্স আপ চেন্নাই সুপার কিংস।
উদ্বোধনী ও ফাইনাল ছাড়াও ইডেন গার্ডেনসে আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার হবে। ম্যাচটি রাখা হয়েছে ২৩ মে। ২০ মে আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার ও ২১ মে এলিমিনেটর আয়োজন করবে হায়দরাবাদ। এবারের সূচিতে ১২টি ডাবল হেডার বা একদিনে দুই ম্যাচ রাখা হয়েছে।
আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে কলকাতা খেলবে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে। আইপিএল অংশ নেওয়া ১০ দল হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ম্যাচ খেলবে। ওই হিসেবে ১০ ভেন্যুতে হওয়ার কথা আইপিএলের ৭৫ ম্যাচ। তবে আইপিএল হবে ১৩ ভেন্যুতে। এর মধ্যে বেঙ্গালুরু দ্বিতীয় হোম ভেন্যু হিসেবে গোহাটিতে ম্যাচ খেলবে। দিল্লির দ্বিতীয় হোম ভেন্যু বিশাখাপত্তনম ও পাঞ্জাবের দ্বিতীয় হোম ভেন্যু হবে ধর্মশালা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’