Risingbd:
2025-11-02@23:36:49 GMT

ধোনির মাথায় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট

Published: 17th, February 2025 GMT

ধোনির মাথায় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট

২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসরটি ছিল সপ্তম আসর। মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত এই আসরটি ৬ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে এটি যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হয়। ইংল্যান্ডই প্রথম ও একমাত্র দেশ হিসেবে ২০০৪ সালের পর ২০১৩ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ পায়।

লন্ডনের ওভাল, বার্মিংহামের এজবাস্টন এবং কার্ডিফের সলেক স্টেডিয়াম চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের বিজয়ী দল ভারতকে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিসহ দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রাইজমানি দেওয়ায় যা এই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সেবার শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচে মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে শিরোপা জেতে ভারত।

আসরে মোট আটটি দল অংশ নেয়। প্রাথমিক পর্বে প্রত্যেক দল একে-অপরের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। শীর্ষ দুই দল সেমি-ফাইনালে লড়াই করে। সেখানে প্রথম সেমিফাইনালে গ্রুপ ‘এ’ বিজয়ী, গ্রুপ ‘বি’ রানার-আপের এবং দ্বিতীয় সেমিফাইনালে গ্রুপ ‘বি’ এর চ্যাম্পিয়ন ও গ্রুপ ‘এ’ রানার-আপের মুখোমুখি হয়।

ওভালে প্রথম সেমিফাইনালে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ উইকেটে হারায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ উইকেটে দাপুটে জয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ডের সঙ্গী হয় মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত। ২০১৩ সালে বার্মিহামের এজবাস্টনে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৃষ্টির কারণে ফাইনাল ম্যাচটি ২০ ওভারে নির্ধারিত হয়। শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে টস জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৯ রান তুলতে সক্ষম হয় ভারত । জয়ের জন্য ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইন্ডিয়ান বোলারদের কাছে হার মানতে হয় ইংল্যান্ডকে।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৪ রান তুলতেই থেমে যায় তাদের দৌড়। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ওই ম্যাচে ৫ রানে জিতে শিরোপা ঘরে তোলে ভারত।

এই শিরোপা দিয়ে মাহেন্দ্র সিং ধোনি প্রথম অধিনায়ক হিসেবে আইসিসির তিনটি ইভেন্ট জেতার রেকর্ড গড়েন। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন ধোনি। পরবর্তীতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতে ২০১১ সালে। এরপর ২০১৩ সালে আইসিসি চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি। ধোনি পরবর্তীতে আইসিসি টেস্ট মেসও জেতেন। তাতে পূর্ণতা পায় তার আইসিসির ইভেন্টের শিরোপা।  

২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আসরে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ রান করেন ভারতের শিখর ধাওয়ান (৩৬৩)। আর সর্বোচ্চ ১২ উইকেট নিয়ে বোলিংয়েও শীর্ষে ভারতীয় বোলার রবীন্দ্র জাদেজা।

এক নজরে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি- ২০১৩ :

তারিখ: ৬ থেকে ২৩ জুন ২০১৩

আয়োজক: ইংল্যান্ড

ফরম্যাট: ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনাল

টুর্নামেন্ট: রাউন্ড-রবিন

অংশগ্রহণকারী দেশ: ৮টি

মোট ম্যাচ: ১৫

চ্যাম্পিয়ন: ভারত

সবচেয়ে বেশি রান: ভারতের শিখর ধাওয়ান (৩৬৩)

সবচেয়ে বেশি উইকেট: ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা (১২)।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম ফ ইন ল ২০১৩ স ল অন ষ ঠ ত প রথম আইস স উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

কোন সালের জন্য পুরস্কার —

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

পুরস্কার মল্যমান কত —

১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।

২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ —

আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—

আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

দরকারি তথ্য—

১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।

২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।

৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।

৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।

৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।

৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।

৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।

৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।

# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনায় বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল, ভোলা সদরে কার্যক্রম স্থগিত
  • জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হলো কেন
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
  • নোবিপ্রবিসাসের বর্ষসেরা সাংবাদিক রাইজিংবিডি ডটকমের শফিউল্লাহ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ১০০ কোটির সম্পদ, স্বামীর প্রতারণা, ৪৭ বছর বয়সেই মারা যান এই নায়িকা
  • তানজানিয়ায় ‘সহিংস’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী সামিয়া
  • শিল্পের আয়নায় অতীতের ছবি
  • সনদ বাস্তবায়নে আবারো কমিশনের সভা আয়োজনের দাবি