ঢালাওভাবে এনআইডির তথ্য দেবে না ইসি
Published: 17th, February 2025 GMT
কোন প্রতিষ্ঠানকে এনআইডির পুরো তথ্য যাচাই করতে দেবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এনআইডির তথ্য ফাঁস ঠেকাতে সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সিস্টেম তদারকি করতে কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, ‘‘যাচাই সেবা গ্রহণকারীদের আর ঢালাওভাবে তথ্য দেবে না কমিশন। তথ্যের মিল থাকলে ‘হ্যাঁ’ আর না মিল না থাকলে ‘না’ জানিয়ে দেবে।’’
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান তিনি।
আরো পড়ুন:
স্টেডিয়ামে ভারত ও বাংলাদেশের পতাকা না রাখার ব্যাখ্যা দিলো পাকিস্তান
৫ কোটির ‘ভিআইপি টিকিট’ বিক্রি করে পিসিবি প্রধান বসবেন সাধারণ বক্সে
ইসির কাছ থেকে ব্যাংক, বীমাসহ ১৮২টি প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা গ্রহীতাদের তথ্য যাচাই করে নেয়। এক্ষেত্রে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য ফাঁসের প্রমাণ পায় সংস্থাটি। তাই গত কয়েকদিন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে এমন সিদ্ধান্ত নিল ইসি।
এসএম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘আগে ব্যক্তির নাম ও জন্মতারিখ দেওয়ার পর চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এনআইডির তথ্যগুলো চলে যেত, এরপর তারা যাচাই করতেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তথ্য যাচাই আমরা অনলাইনের মাধ্যমে করে দেব। নাম ও জন্মতারিখ দেওয়ার পর ‘ম্যাচ’ অথবা ‘নো ম্যাচের’ মাধ্যমে তাদের এনআইডির তথ্য যাচাই করে দেব।’’
তিনি বলেন, ‘‘কেউ পাঁচটি তথ্য যাচাইয়ে আমাদের সিস্টেমে অনুরোধ পাঠাবে। এগুলোর মধ্যে আমরা কোনটি ভুল কোনটি সঠিক, তা বলে দেব। চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সুপারিশ অনুযায়ী আমরা ব্যক্তির ছবি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছি। এক্ষেত্রে ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যক্তির ছবিও দেখতে পাবেন। আমারা বলেছি এটা দেওয়া সম্ভব।’’
এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, ‘‘বিশেষ অভিযোগের কারণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে আমরা এনআইডি সেবা চুক্তিটি বাতিল করেছি। পরবর্তীতে জানতে পারি অনলাইনে বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তি এনআইডি নিয়ে কাজ করে। আমাদের টেকনিক্যাল টিম এটি খুঁজতে শুরু করে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অনুমানের ভিত্তিতে আমাদের টিম যাওয়ার পর দেখতে পায়, সেখান থেকে তথ্য ফাঁস হচ্ছে। সেগুলো আমরা বন্ধ করেছি। এনআইডির তথ্য ফাঁস ঠেকাতে আমরা চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডেকেছি এবং তাদের মতামত গ্রহণ করে কীভাবে তথ্যগুলোকে আরো সুরক্ষিত রাখা যায়, এ নিয়ে আলোচনা করেছি।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটি টিম করে দেব। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও থাকবেন। ওনারা যে কোনো সময়, যে কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম চেক করতে পারবেন। যাতে ওই সিস্টেমের কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’’
হুমায়ুন কবীর আরো বলেন, ‘‘যারাই এনআইডি সিস্টেম ব্যবহার করবে অথবা ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, ওই সব প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স আমরা নেব। এমনকি ওইসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এবং সিস্টেম পরিচালনাকারী ব্যক্তিদের ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটও আমরা নেব। কোনো ভ্যান্ডর প্রতিষ্ঠান যেন দুর্বল সিস্টেম না চালায় এজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির পরিষ্কার তথ্য আমাদের কাছে থাকবে। আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলে দেব কোন কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা সিস্টেমে থাকতে হবে।’’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ঝুলে থাকা এনআইডি সংশোধন আবেদনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্যোগ আমরা নিয়েছি।’’
তিন মাস পর আরও ভালো খবর দিতে পারবেন বলেও জানান হুমায়ুন কবীর।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য চ ই কর আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের সাবেক ডিজির এনআইডি ব্লক
দুর্নীতির অভিযোগে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন ও তার স্ত্রীর এনআইডি ব্লক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনের ভিত্তিতে কমিশনের আইটি শাখা এ পদক্ষেপ নিয়েছে। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও এনআইডি বিভাগের সাবেক ডিজি সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিন এবং আরেক জনের এনআইডি ব্লক ও তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান। দুদক জনস্বার্থে এ আবেদন করে।
সালেহ উদ্দিন এনআইডি বিভাগের মহাপরিচালক থাকার সময়ে ফরাসি প্রতিষ্ঠান অবার্থারের সঙ্গে স্মার্ট কার্ড সরবরাহ-সংক্রান্ত বিতর্কিত চুক্তি করেন। প্রতিষ্ঠানটি সময়মতো কার্ড সরবরাহে ব্যর্থ হয়। এর ফলে নির্বাচন কমিশনকে এখনো জটিলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
ঢাকা/হাসান/রফিক