‘গুডবাই জুন’ দিয়ে পরিচালনায় অভিষেক হচ্ছে কেট উইন্সলেটের
Published: 18th, February 2025 GMT
নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন অস্কার জয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। নেটফ্লিক্সের 'গুডবাই জুন'-চলচ্চিত্র দিয়ে পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ করছেন তিনি। পাশাপাশি সিনেমাটি প্রযোজনা ও এতে অভিনয়ও করবেন কেট।
কেট ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন টনি কোলেট, জনি ফ্লিন, অ্যান্ড্রিয়া রাইজবোরো, টিমোথি স্প্যাল ও হেলেন মিরেন। ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন উইন্সলেটের ছেলে জো অ্যান্ডারস।
কেটের সঙ্গে সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন কেট সলোমন।
কেটের নতুন সিনেমা 'লি'-এরও প্রযোজক ছিলেন সলোমন। সিনেমাটি মডেল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফটোগ্রাফারে পরিণত হওয়া মার্কিন আলোকচিত্রী এলিজাবেথ লি মিলারের বায়োপিক। কেট এতে এলিজাবেথ লি মিলারের ভূমিকায় অভিনয় করেন।
কেট এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য গোল্ডেন গ্লোব মনোনয়ন পেয়েছেন এবং 'লি' বছরের সেরা ব্রিটিশ চলচ্চিত্র বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে।
নেটফ্লিক্স 'গুডবাই জুন'কে একটি 'মর্মস্পর্শী, তবে হাস্যকর' হিসেবে বর্ণনা করেছে। শিগগিরই যুক্তরাজ্যে এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
এর আগে 'লি' সিনেমার প্রচারণার সময় 'হাউ টু ফেইল' পডকাস্টে এলিজাবেথ ডে'র সঙ্গে আলাপকালে কেট জানান, আগে না চাইলেও এখন তিনি ক্যামেরার পিছনে কাজ করতে চান।
তিনি জানান, এতদিন অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করতেন কেন আমি সিনেমা পরিচালনা করছি না। এতদিন আমি এই অনুরোধ করতে নিষেধ করতাম।
নারী পরিচালকদের উদ্দেশে কেট বলেছেন, আমরা যত বেশি এটা (পরিচালনা) করব, তত বেশি অন্যরা এই কাজে আসার অনুপ্রেরণা পাবে।
'লি' ছাড়াও কেট সম্প্রতি এইচবিওর লিমিটেড সিরিজ 'দ্য রেজিম'-এ অভিনয় করেন। এতে অভিনয়ের জন্যও তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং একই অনুষ্ঠানে একাধিক চরিত্রের জন্য মনোনয়ন পাওয়ার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেন।
২০০৯ সালে 'দ্য রিডার' ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর অস্কার জেতেন কেট উইন্সলেট।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস
স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’
সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
অনাহারে মৃত্যু ১৫৪গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।
গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।
ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।
বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।
গাজায় স্টিভ উইটকফশুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।