নন্দিত অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী এ গুনী মানুষটি  লেখালেখিও করেন। প্রায় সময়ই তাঁর লেখায় উঠে আসে সবসাময়িক নানা বিষয়। এবার তার লেখায় উঠে এল একুশের বই মেলা। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেন, বইমেলা চলছে। মেলায় বই থাকে, ধুলা থাকে, চা নাস্তা, আমোদ আহ্লাদ থাকে; আর থাকে নানারকমের মানুষ।  যদি একই স্থানে অন্যকিছুর মেলা বসতো- তফাৎ কি দেখতাম? ধুলা থাকতো, চা নাস্তা, আমোদ আহ্লাদ, মানুষ- থাকতো সবই। থাকতো না শুধু বই। 

মেলার আয়তন বেড়েছে। তা “নদীর এ কূল ভাঙে ও কূল গড়ে”র মতো। এখন আয়তনই উন্নতির সূচক, স্বান্তনা। মেলার ভাব চক্কর দেখে মনে হয়, লেখক, পাঠক, প্রকাশক- এক ঢিলে এই তিন পাখি মারার অতি চমৎকার বন্দোবস্ত। 

জানি, একথা অনেকের কাছে আপত্তিকর মনে হবে। হতেই পারে। সব মানুষ একরকম করে ভাবেনা। মেলার সময়ে, যাদের নিয়ে মেলা- লেখক, পাঠক, প্রকাশক আর বই; কতটুকু ভাবনার কেন্দ্র থাকে! লেখক, যারা প্রকৃত পাঠক, এই মেলা তাদের আবেগের জায়গা কিন্তু বদলাতে বদলাতে মেলার যেমন রূপ দাঁড়িয়েছে- সে রূপ তাদেরকে আনন্দিত না পীড়িত করে, ভাবে কি কেউ? এক মাস জুড়ে বহু কথা হয়, মুড়ির মোয়ার মতো মচমচে, বিনোদন মাখানো কথা।

মেলা যাদের, তাদের দশা- থেকেও নেইয়ের মতো। দখল করে নিয়েছে নতুন জামানার উৎসাহীরা। তাদের স্বার্থের বিকাশে মাসব্যপী যেসব কান্ডকারখানা চলে- কোনটাই  লেখক, পাঠক, প্রকাশকদের আনন্দিত, অনুপ্রাণীত কিংবা উৎসাহিত করে না। বহুজনের বিচিত্র স্বার্থের চক্করে পড়ে মেলার দশা “ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি” র মতো।
বইয়ের প্রতি আগ্রহ ও বাস্তবতা নিয়ে এ অভিনেতা লিখেন, বইয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মাতে পারে, বই পাঠে উৎসাহ হবে- এমন উদযোগ  তেমন চোখে পড়ে না। আমাদের একটা অদ্ভুত রকমের বিনোদনে পূর্ণ বই মেলা আছে। স্টলে, প্যাভেলিয়নে তাকে তাকে থাকা বইয়েরা দেখতে পায়, ধুলা খেতে, চা সিঙ্গাড়া, ফুচকা খেতে হৈ হৈ করে আসছে রকমারি, অচেনা মানুষেরা। অধিকাংশেরাই আসে গমগমে ভাবের টানে। দিনশেষে বইদের মুখ থাকে থমথমে।

খুবই রমরমা বিনোদনের জায়গা হয়ে উঠেছে বই মেলা। বই মেলায় জীবনে না আসা মানুষদের বিনোদন দেবার জন্য সামাজিক মাধ্যমের বিনোদন বিক্রেতা ও সরবরাহকারীরা আসে। বইয়েরা হা করে তাকিয়ে থেকে দেখে- বইয়ে আগ্রহী নয় এমন বান্দারাই হৈ হৈ রব তুলে মেলা মুখর করে রাখছে। সে মুখরতা দেখে বইয়েরা খুশী হতে পারেনা, টের পায় অশনি সংকেত। 
টাকা সব অভাব ঘোচাতে পারে না  উল্লেখ এ তিনি সবশেষে লিখেন, মাস শেষে মেলা ভেঙে গেলে সংবাদ প্রকাশ, প্রচার হবে কত কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে! টাকার অংকে কি মেলার সাফল্য প্রকাশ পায়? লেখক পাঠক, প্রকাশকদের কাছে তা কি স্বান্তনা পুরস্কারের মতো নয়? মাসব্যপী ছিল সন্মানের অভাব, সে অভাব কোটি টাকার অংকে মোটেও ঘোচে না। টাকা সব অভাব ঘোচাতে পারেনা। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আফজ ল হ স ন বই ম ল বইয় র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের ইডিসি প্রকল্পের তার চুরি

বন্দরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের ফাইবার কানেক্টিভিটির ফোর কোরের ক্যাবল চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাতনামা চোরেরা।

গত সোমবার ( ২৮ জুলাই) রাতে যে কোন সময়ে বন্দরের সিটি এলাকার ২১নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে একই সড়কের নৌ বাহিনী ডকইয়ার্ড (বি.এন.ডি.ই.ডব্লিউ) হাই স্কুল পর্যন্ত এড়িয়া থেকে প্রায় ৭শ’ মিটার (৮০১১৯ নম্বর) ফাইবার তার নিয়ে যায় চোরের দলটি।

গুরুত্বপূর্ণ এসব তার চুরির ফলে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের আওতাধীন বন্দর উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যথা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন সমূহ এবং সমাজ সেবা আওতাধীন, ভূমি সংস্কার বোর্ড, বস্ত্র অধিদপ্তর এই সকল অফিসের ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হওয়ায় কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।

চুরি হওয়া তারের মূল্য প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় ইডিসি প্রকল্পের স্থানীয় পর্যায়ের সাইট ইনচার্জ মাহবুব আলম বাদী হয়ে ৩০জুলাই সকালে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে বিষয়টি ২৯ জুলাই দুপুরে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কাছে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে উল্লেখিত অঞ্চলের কতিপয় অবৈধ ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ও তাদের সহযোগীদের কেউ এসব তার চুরির ঘটনাটি সংঘটিত করেছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রণালয় এর ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের এর ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের আওতাধীন ফাইবার কানেক্টিভিটির ফোর কোর এর তার নং ৮০১১৯ যা ৫০ নং সোনাকান্দা বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে বি.এন.ডি.ই.ডব্লিউ হাই স্কুল পর্যন্ত ফাইবার তার চুরি গেছে।

এর ফলে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের আওতাধীন বন্দর উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যথা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন সমূহ এবং সমাজ সেবা আওতাধীন, ভূমি সংস্কার বোর্ড, বস্ত্র অধিদপ্তর এই সকল অফিসের ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হওয়ায় কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ