টেস্ট সিরিজ শেষ। ওয়ানডে সিরিজের রেশ এখনো কাটেনি। এখন আবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাঠে নামার পালা। ২০১৭ সালের পর বাংলাদেশ পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে গেছে শ্রীলঙ্কায়। টেস্ট, ওয়ানডের পর শেষ গন্তব্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এসে থামছে এই যাত্রা। পাল্লেকেল্লেতে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টির প্রথমটি আজ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শুরু হবে ম্যাচ। এর আগে দুই দলের পরিসংখ্যানে চোখ বোলানো যাক—


দুই দল এখন পর্যন্ত ৫টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে। ২০১৩ সালে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে দুই দল। সবশেষ ২০২৪ সালে। শ্রীলঙ্কা চারটি সিরিজ জিতেছে। একটি সিরিজ কেবল ড্র হয়েছে। 

১৭
মুখোমুখি ১৭ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার জয় ১১ ম্যাচে। বাংলাদেশের ৬ ম্যাচে। 

আরো পড়ুন:

র‌্যাংকিংয়ে জাকের-তাওহীদের উন্নতি

বাড়তি চাপ, মানসিকতায় আনফিট, দায়িত্ববোধে ঘাটতি দেখছেন আকরাম

২১৫/৫
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফির ম‌্যাচে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ২১৫ রান করে ম‌্যাচ জিতেছিল। 

৮৩
সর্বোচ্চ রানের সঙ্গে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটিও বাংলাদেশের দখলে। ২০০৭ সালে জোহানেসবার্গে ৮৩ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন রান ৭ উইকেটে ১২৩। 

৭৫
রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয় শ্রীলঙ্কার। ২০১৮ সালে সিলেটে বাংলাদেশকে ২১১ রান টার্গেট দিয়ে ৭৫ রানে জিতেছিল তারা। উইকেটের হিসেবে বাংলাদেশের জয় আবার বড়। গত বছর সিলেটে ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে ১৮.

১ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় বাংলাদেশ। 

৪৪২
দুই দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান কুশল মেন্ডিসের। ৯ ম্যাচে ৪৪২ রান করেছেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৫ ইনিংসে ৩৬৮ রান করেছেন তিনি।

৮৬
এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ৮৬। ২০২৪ সালে সিলেটে মেন্ডিস ৫৫ বলে ৬টি করে চার ও ছক্কায় ৮৬ রান করেছিলেন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সাব্বির রহমানের। ২০১৬ এশিয়া কাপে ৮০ রান করেছিলেন সাব্বির রহমান। 

২৫
দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৫ ছক্কা মেরেছেন কুশল মেন্ডিস। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৫ ছক্কা মেরেছেন। 


রিশাদ হোসেন এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭ ছক্কা হাঁকিয়েছেন। গত বছর সিলেটে ৩০ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলার পথে ৭ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। 

১৮১
দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ১৮১ রান দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। গত বছর সিলেটে তিন টি-টোয়েন্টিতে ১৮১ রান করেছিলেন মেন্ডিস। 

১৭
মোস্তাফিজুর রহমান দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন। ১৩ ম্যাচে ২৪.৯৪ গড় ও ৮.৮৩ ইকোনমিতে এই উইকেট নিয়েছেন। 

২০/৫
পেসার নুয়ান থুসারা ২০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন। যা দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। একটিই মাত্র ৫ উইকেট আছে। সেটা থুসারা পেয়েছেন গত বছর। 

৪ ওভারে ৫৬
মাহিশা পাথিরানা দুই দলের বোলারদের মধ্যে এক স্পেলে সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছেন। গত বছর ৪ ওভারে ৫৬ রান দিয়েছিলেন অফস্পিনার। ১ উইকেট অবশ্য পেয়েছিলেন। 

১৩ 
সৌম্য সরকার দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩ ক্যাচ নিয়েছেন।

৯৮
৯৮ রানের জুটি দুই দলের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১৮ সালে সিলেটে মেন্ডিস ও গুনাথিলাকা উদ্বোধনী জুটিতে ৯৮ রান করেছিলেন।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ছ ল ন গত বছর সবচ য় উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন

যশোরের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুতের (রস সংগ্রহের উপযোগী করা) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে চৌগাছা উপজেলার হায়াতপুর গ্রামে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনুর আক্তার।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, রস-গুড় সংগ্রহের জন্য গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি খেজুরগাছ প্রস্তুত করা হবে। এ বছর জেলায় অন্তত তিন লাখের বেশি গাছ প্রস্তুত করা হবে। যশোরে খেজুরের রস ও গুড়ের ১০০ কোটির বেশি টাকার বাজার রয়েছে। অন্তত ছয় হাজার কৃষক এই পেশায় যুক্ত।

যশোরের খেজুর গুড় জিআই পণ্য হলো যেভাবে

২০২২ সালে চৌগাছার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (বর্তমানে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) ইরুফা সুলতানা খেজুর গুড়ের ঐতিহ্য সংরক্ষণে খেজুর গুড়ের মেলা, গাছিদের প্রশিক্ষণ, গাছি সমাবেশ, গাছিদের সমবায় সমিতি গঠন, খেজুরগাছ রোপণ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন। একই বছর জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যশোরের খেজুর গুড়ের আবেদন করেন তিনি। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সেটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায়।

শতকোটি টাকার বাজার ধরতে ব্যস্ত গাছিরা

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যশোরের প্রায় ছয় হাজার গাছি খেজুরগাছের রস থেকে পাটালি গুড় উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে খেজুরগাছ প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে। গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। খেজুরগাছ সংরক্ষণ, রোপণ, গাছিদের প্রশিক্ষণ, প্রণোদনাসহ নানাভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে গুড় উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যশোর জেলায় খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫টি। এর মধ্যে রস আহরণের উপযোগী গাছের সংখ্যা ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি। গাছ থেকে ৩ কোটি ৭১ লাখ ৩ হাজার লিটার রস ও ২ হাজার ৭৪২ মেট্রিক টন গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারদর অনুযায়ী প্রতি লিটার রসের দাম ৩৫ টাকা ও গুড়ের কেজি ৩৪০ টাকা। সেই হিসাবে রস ও গুড়ের বাজার দর ৯৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

চৌগাছা উপজেলার চাকলা গ্রামের গাছি আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমার দাদা খেজুরগাছের রস থেকে পাটালি গুড় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। দাদার সঙ্গে বাবাও যুক্ত ছিলেন। বাবার পেশায় আমিও যুক্ত হয়েছি। বাবা আর আমি এবার ৩০০টি খেজুরগাছ থেকে রস-গুড় তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছি। গতবছর ভালো দাম পেয়েছি। এবারও ভালো দাম পাব বলে আশা করি।’

গাছিরা জানান, কার্তিক মাস শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই খেজুরগাছ ছেঁটে রস ও গুড় তৈরির প্রস্তুতি শুরু করেন তাঁরা। শীত মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষকদের অন্যতম আয়ের উৎস এটি। এখানকার কারিগরদের দানা পাটালি তৈরির সুনাম রয়েছে। পাটালি ও ঝোলা গুড় তৈরি ছাড়াও চাষিরা শীতের ভোরে ফেরি করে কাঁচা রস বিক্রি করেন। কাঁচা রস প্রতি মাটির ভাঁড় ১৫০-২০০ টাকা, দানা গুড় ৩৫০-৪০০ টাকা আর পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হয়।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কেনারহাটের উদ্যোক্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর আমাদের কাছে ভোক্তার চাহিদা ছিল সাড়ে ছয় হাজার কেজি পাটালি গুড়। সরবরাহ করতে পেরেছিলাম দুই হাজার কেজি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অতিবৃষ্টি, শীত কম হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী পাটালি গুড় সরবরাহ করতে পারিনি। এ বছর ইতিমধ্যে অর্ডার আসতে শুরু করেছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নোবিপ্রবির আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা স্থায়ী বহিষ্কার 
  • লরা উলভার্ট: হিমালয়ের চূড়ায় এক নিঃসঙ্গ শেরপা
  • বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের মৃত্যু
  • শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • আগের ভোটের সবাই বাদ, ‘যোগ্য’ নতুন ডিসি খুঁজে পাচ্ছে না সরকার