কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি, কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বেড়েছে
Published: 10th, July 2025 GMT
প্রায় আট মাস পর রাঙামাটির কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রে একসাথে চালু করা হয়েছে পাঁচটি ইউনিট। আর এই পাঁচ ইউনিট চালুর মাধ্যমে বর্তমানে এই কেন্দ্রে ২১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
এর আগে চারটি ইউনিট চালু রেখে ১৭২ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪২ মেগাওয়াট।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, “গতকাল বুধবার (৯ জুলাই) রাত আটটায় এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের সবগুলো ইউনিট চালু করা হয়েছে। যা হতে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২১২ মেগাওয়াট।”
তিনি জানান, পাঁচটি ইউনিট মধ্যে ১নং ও ২নং ইউনিট হতে প্রতিটি ৪৬ মেগাওয়াট করে ৯২ মেগাওয়াট এবং ৩, ৪ ও ৫নং ইউনিট হতে প্রতিটি ৪০ মেগাওয়াট করে ১ শত ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সূত্র জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরে রাঙামাটিসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর পানি বৃদ্ধির ফলে পানির ওপর নির্ভরশীল এই
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে।
গতকাল বুধবার (৯ জুলাই) রাত ৮টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পানির লেভেল ছিল ৯৬.
প্রসঙ্গত, নভেম্বর মাস থেকে কাপ্তাই হ্রদে পানি স্তর কমতে থাকলে পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে একটি একটি করে বন্ধ হতে থাকে। শুষ্ক মৌসুমে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে সর্বনিম্ন ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল। পরবর্তীতে বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধির কারণে এক এক করে বর্তমানে পাঁচটি ইউনিটই চালু করা হয়েছে।
ঢাকা/শংকর/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউন ট চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে চুরির মামলার ২ আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
বন্দরে বসতঘরে চুরির ঘটনার মামলার ২ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দা ছোট মসজিদ এলাকার কাজীমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির(২২) ও একই এলাকার ইয়াজল হোসেন মিয়ার ছেলে অলিদ(৪০)। এ ব্যাপারে গৃহিনী শান্তা বেগম বাদী হয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় চুরির মামলা দায়ের করেন। যার নং ১(১১)২৫।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালত প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গত রোববার (২ নভেম্বর) রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর বন্দর উপজেলা ফরাজীকান্দা এলাকায় এ চুরির ঘটনাটি ঘটে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদিনী বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা গ্ ছোট মসজিদস্থ তার পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বিবাদী একই এলাকার সম্পর্কে বাদিনী চাচাত ও ফুফাত ভাই ।
গত ৩ অক্টোবর বাদিনী নানা মৃত্যুবরন করলে বাদিনীসহ তার পরিবারের লোকজন মুন্সিগঞ্জস্থ নানা বাড়িতে যায়। পরের দিন গত ৪ অক্টোবর বাদিনী তার পিতার বাড়িতে এসে রুমে প্রবেশ করলে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পায়।
সন্দেহ হলে ঘরের ভিতর তল্লাশী করিলে দেখতে পাড আমাদের দুটি এড্রয়েট মোবাইল সেট,মাটির ব্যাংকে রক্ষিত ১০ হাজার টাকা,দামী ব্রান্ডের ব্লুটোথসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে নিয়ে যায় ।
ঘরের বিভিন্ন স্থানে খোজ করিয়াও বর্নিত মালামালের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। বিবাদীরা ইতিপূর্বেও আমার বাড়িতে চুরি করেছিল এবং আমাদের প্রতিবেশিরা আমাদের অনুপস্থিতিতে বাড়ির চারপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে বলে জানায়।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে। পরে আটককৃতকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।