প্রায় আট মাস পর রাঙামাটির কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রে একসাথে চালু করা হয়েছে পাঁচটি ইউনিট। আর এই পাঁচ ইউনিট চালুর মাধ্যমে বর্তমানে এই কেন্দ্রে ২১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। 

এর আগে চারটি ইউনিট চালু রেখে ১৭২ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪২ মেগাওয়াট।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, “গতকাল বুধবার (৯ জুলাই) রাত আটটায় এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের সবগুলো ইউনিট চালু করা হয়েছে। যা হতে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২১২ মেগাওয়াট।” 

তিনি জানান, পাঁচটি ইউনিট মধ্যে ১নং ও ২নং ইউনিট হতে প্রতিটি ৪৬ মেগাওয়াট করে ৯২ মেগাওয়াট এবং ৩, ৪ ও ৫নং ইউনিট হতে প্রতিটি ৪০ মেগাওয়াট করে ১ শত  ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সূত্র জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরে রাঙামাটিসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর পানি বৃদ্ধির ফলে পানির ওপর নির্ভরশীল এই
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। 

গতকাল বুধবার (৯ জুলাই) রাত ৮টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পানির লেভেল ছিল ৯৬.

৪১ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। রুলকার্ভ অনুযায়ী এসময় হ্রদে পানি থাকার কথা ৮৫.২৮ (এমএসএল) মিনস সি লেভেল। কাপ্তাই হ্রদে পানির সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।

প্রসঙ্গত, নভেম্বর মাস থেকে কাপ্তাই হ্রদে পানি স্তর কমতে থাকলে পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে একটি একটি করে বন্ধ হতে থাকে। শুষ্ক মৌসুমে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে সর্বনিম্ন ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল। পরবর্তীতে বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধির কারণে এক এক করে বর্তমানে পাঁচটি ইউনিটই চালু করা হয়েছে।

ঢাকা/শংকর/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউন ট চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ