সাদা জুতার সূত্র ধরেই শনাক্ত হলো খুনি
Published: 18th, February 2025 GMT
এক জোড়া সাদা জুতার সূত্র ধরে পটুয়াখালীর অটোরিকশাচালক মহিউদ্দিন ঈসা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। খুনি ও পরিকল্পনাকারীকে শনাক্ত করার পর গত শনি ও রোববার পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই ঈসাকে খুন করা হয়েছে বলে গ্রেপ্তার আসামিরা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মো.
ওইদিন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় নাহিদ। জবানবন্দিতে সে জানায় ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই মহিউদ্দিন ঈসাকে হত্যা করা হয়। এ পুরো হত্যার পরিকল্পনা করেছিল মো. তুহিন নামে এক তরুণ। পরে গত সোমবার গভীর রাতে ঢাকার কাফরুল থানাধীন ভাষানটেক এলাকা থেকে তুহিনকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
আনোয়ার জাহিদ বলেন, পুলিশ তদন্ত শুরুর অল্প সময়ের মধ্যে খুনিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। অপরাধীরা যতই চতুর হোক, তারা আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না।
৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন ঈসা। পরদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দশমিনা উপজেলার চাঁদপুরা গ্রামের একটি তরমুজ ক্ষেতের টং ঘর থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিন ওই গ্রামের একটি পারিবারিক কবরস্থানের পাশের রাস্তা থেকে ঈসার অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাজেদুল ইসলাম।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।
গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।
আরো পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।
অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।
ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”
হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।
ঢাকা/আমিনুল