ক্রিকেট ভালোবাসা বিশ্বকে দেখাতে চায় পাকিস্তান
Published: 19th, February 2025 GMT
সময় বদলায়, তাকে যে বদলাতেই হয়। শুধু পরীক্ষা নয়, ধৈর্য আর সংযমের পরীক্ষা দিতে হয়। প্রায় তিন দশকের সেই পরীক্ষা শেষে আইসিসির এলিট টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হচ্ছে করাচিতে। ব্যাট-বলের এই উৎসব দেখতে অধীর হয়ে আছে সে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। তারা ক্রিকেট বিশ্বের সামনে নিজেদের ভালোবাসার নিবেদন দেখাতে চায়। আয়োজকরা প্রমাণ করতে চায়, ক্রিকেট সেখানে নিরাপদ।
সর্বশেষ ১৯৯৬ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল লাহোরে। তার পর ২০০৯ সালে লঙ্কান ক্রিকেট দলের বাসে বন্দুকধারীদের হামলা, আহত হয়েছিলেন ছয়জন; পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্ধকার যুগ শুরু তখন থেকেই।
‘আমাদের জন্য দুঃস্বপ্ন ছিল ২০০৯ সালের সেই ঘটনা। সে জন্য আমরা প্রায় ১০ বছর শাস্তি পেয়েছিলাম। কেউ আমাদের এখানে তখন খেলতে আসেনি। এবারের এই আসর সফলভাবে আয়োজন করে আমরা বিশ্ব ক্রিকেটের কাছে এই বিশ্বাস ছড়িয়ে দিতে চাই, আমাদের এখানে ক্রিকেট নিরাপদ। আমাদের মানুষ ক্রিকেট ভালোবাসে।’
রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এভাবেই নিজের কথাগুলো বলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক।
তাঁর মতো সাবেকদের অনেকেই এই আসরটি ঘিরে অধীর হয়ে আছেন। ‘পাকিস্তানের ক্রিকেট স্বাভাবিক করতে এই আসরটি আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। অনেক বছর ধরে প্রশাসনিক কাজের সফলতায় এই আসরটি পেয়েছি আমরা। এখন বিশ্ব ক্রিকেটের কাছে আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তুলে ধরার সময়।’ এএফপিতে এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি বর্ণনা করেন রমিজ রাজা।
ইনজামাম জানান, সে দেশের স্কুল, কলেজ, দোকানপাট, অফিস-আদালতে এখন শুধু এই টুর্নামেন্টের চর্চা চলছে। তবে ভারত এই আসরের ম্যাচগুলো খেলবে দুবাইয়ে। ঠিক এখানেই আফসোস সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের দর্শকরা তাদের মাঠে তারকা ক্রিকেটারদের খেলা দেখতে চায়। ভারত এখানে এলে ভালো হতো।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিসিবি পরিচালক হলেন রুবাবা দৌলা
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক হয়েছেন করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও নারী ক্রীড়া সংগঠক রুবাবা দৌলা। তাঁকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কাউন্সিলর মনোনীত করে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রুবাবা দৌলার অন্তর্ভুক্তিতে ২৫ সদস্যের বিসিবি পরিচালনা পর্ষদ পূর্ণতা পেয়েছে।
দেশীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থায় এনএসসি মনোনীত কাউন্সিলর থাকেন দুজন। গত ৬ অক্টোবর বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের পর এনএসসি যে দুজনকে মনোনয়ন দেয়, তাদের একজন ইসফাক আহসানকে নিয়ে সেদিনই বিতর্ক দেখা দেয়। আজ এনএসসির চিঠিতে ইসফাক আহসান ‘পদত্যাগ করেছেন’ বলে উল্লেখ করা হয়।
ব্যবসায়ী ইসফাকের আওয়ামী লীগের পদে থাকা এবং ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে প্রার্থিতার বিষয়টি আলোচনায় এলে এনএসসি তাঁর জায়গায় রুবাবাকে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তিনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকায় রুবাবা তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব নেননি।
রুবাবা বর্তমানে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ওরাকলের বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টরের দায়িত্বে আছেন। এর আগে তিনি টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করেছেন।
রুবাবা দৌলা দীর্ঘদিন ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং একই সময়ে বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকসের বোর্ড সদস্য হিসেবেও যুক্ত ছিলেন।
গ্রামীণফোনে ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা ও প্রধান বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ছিলেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত মুখ। সেই সময় গ্রামীণফোন ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর (২০০৩-২০১১), আর ২০০৭ সালে বিসিবির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি স্থাপনেও ভূমিকা ছিল রুবাবার।
আজ বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের একটি সভা রয়েছে। রুবাবা দৌলা সভায় যোগ দিতে পারেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে তিনি ছাড়া মনোনীত অন্য কাউন্সিল ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।