মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এই উপলক্ষসহ দিবসটি ঘিরে আজ বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার করেছে র‍্যাব।

আজ র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দিবসটিকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ঠেকাতে ঢাকাসহ সারা দেশে পর্যাপ্তসংখ্যক র‌্যাব সদস্যকে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়েছে। নিষিদ্ধঘোষিত দল ও সংগঠনের সদস্যরা যেন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারেন, সে বিষয়েও তৎপর রয়েছে র‍্যাব।

সার্বিকভাবে সব ধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে র‍্যাব আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে (২১ ফেব্রুয়ারি) নিরাপত্তা জোরদার করেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগাম পদক্ষেপ হিসেবে গতকাল বুধবার থেকে র‍্যাবের সাদাপোশাকধারী গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে র‍্যাব-৩-এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পর্যবেক্ষণ পোস্ট ও তল্লাশিচৌকি স্থাপনের মাধ্যমে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করা হবে।

শহীদ মিনারের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে র‍্যাবের বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটসহ ডগ স্কোয়াড কাজ করবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য র‍্যাবের বিশেষ ইউনিট সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে শহীদ মিনারমুখী রাস্তার মোড়ে তল্লাশিচৌকি স্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশির মাধ্যমে যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। শহীদ মিনারসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানস্থলে আসা নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ইভটিজিং বা যেকোনো ধরনের হয়রানি প্রতিরোধে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে র‍্যাব।

ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন মহানগরের এলাকা, বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব শহীদ মিনার এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানায় র‍্যাব।

সংস্থাটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভার্চ্যুয়াল–জগতে যেকোনো গুজব, উসকানিমূলক তথ্য ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে সংস্থাটির সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রাখছে।

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করছে র‍্যাব। এ সময়ে যেকোনো বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে জেলা, মহানগর এলাকা ও থানাভিত্তিক স্থানীয় র‍্যাবের সহযোগিতা পেতে টহল ইনচার্জ বা দায়িত্বপ্রাপ্ত র‍্যাব ব্যাটালিয়ন অধিনায়ককে জানানোর জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস থ দ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানো যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর বনশ্রীসংলগ্ন মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পাশে খালপাড়ের খালি জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি আজ মঙ্গলবার জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর অন্যতম আইনজীবী জহিরুল ইসলাম।

এর আগে ২১ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার সই করা এক ইজারা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিজ্ঞপ্তির ৯ নম্বর কলামে অস্থায়ীভাবে কোরবানির পশুর হাটের জন্য ‘মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পাশে খাল পাড়ের খালি জায়গা’ ইজারার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহার দিনসহ পাঁচ দিন হাট বসার কথা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। ইজারা বিজ্ঞপ্তির ৯ নম্বর কলামের বৈধতা নিয়ে বনশ্রীর স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহবউদ্দিন শিকদার রিটটি করেন।

আদালতের রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী লিটন আহমেদ। শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম।

হাইকোর্ট মেরাদিয়া হাট বসানোর ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী জহিরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘মূলত আবাসিক এলাকায় এ ধরনের হাট বসতে পারে না। এমনকি সেখানে হাট বসানোর মতো জায়গাও নেই, যে কারণে রিটটি করা হয়।’

রুলে ২১ এপ্রিল আহ্বান করা ইজারা বিজ্ঞপ্তির ৯ নম্বর কলাম (মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পাশে খালপাড়ের খালি জায়গা) কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রস্তাবিত হাটের তালিকায় উল্লেখিত ৯ নম্বর কলামটি (মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পাশে খালপাড়ের খালি জায়গা) সরাতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কর্মক্ষেত্রে অধিকার আদায়ের রক্তাক্ত গৌরবময় দিন
  • সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্যের ৪৫% রাজনৈতিক
  • নির্বাচনে র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত করাসহ ১২ প্রস্তাব
  • ‘কৃষির উন্নয়নে জাপানের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি করা হবে’
  • শিগগিরই শ্রম আইন সংশোধন করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা 
  • আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে শিল্পকলা একাডেমির  দুই দিনের আয়োজন
  • মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানো যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের
  • ডিবির অভিযানে আ.লীগের সাবেক এমপিসহ গ্রেপ্তার ৭
  • পুলিশ সপ্তাহ শুরু মঙ্গলবার, নির্বাচনী নির্দেশনা পাবে আইনশৃঙ্খলা ব
  • সাবেক আইজিপিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আবার বাড়ল