গুয়ান্তানামো বে থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে নির্বাসিত অভিবাসীদের
Published: 21st, February 2025 GMT
কিউবার গুয়ান্তানামো বে’তে থাকা নির্বাসিত অভিবাসীদের সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ (আইসিই)। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার গুয়ান্তানামো বে থেকে ১৭৭ জন ভেনেজুয়েলার নাগরিককে হন্ডুরাসে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে ভেনেজুয়েলা সরকার তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে।
আইসিইর অফিশিয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে এই স্থানান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের দ্রুত অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা ও এল সালভাদরের সঙ্গে চুক্তি করেছে, যাতে এসব দেশ নির্বাসিত অভিবাসীদের গ্রহণ করে।
গত মাসের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিরক্ষা বিভাগ (ডিওডি) এবং স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগকে (ডিএইচএস) গুয়ান্তানামো বে-তে ৩০ হাজার ব্যক্তির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি অভিবাসী আটক কেন্দ্র প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এটি আমেরিকান জনগণের জন্য হুমকিস্বরূপ সবচেয়ে বিপজ্জনক অবৈধ অপরাধীদের আটক করতে ব্যবহার করা হবে।
গুয়ান্তানামো বে মূলত সামরিক বন্দিদের আটক করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে, যার মধ্যে ৯/১১ হামলার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে নির্যাতন ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগের কারণে কুখ্যাত হয়ে ওঠে। বাইডেন প্রশাসন সেখানে কার্যক্রম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্মারক স্বাক্ষরের কয়েক দিনের মধ্যেই প্রশাসন অভিবাসীদের গুয়ান্তানামো বে-তে পাঠানো শুরু করে।
পেন্টাগন জানায়, নির্দেশনার এক সপ্তাহের মধ্যে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ ১০ জন অভিবাসীকে সেখানে পাঠানো হয়, যখন প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পরিকাঠামো প্রস্তুত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।