Samakal:
2025-08-01@21:58:53 GMT

বেড়েছে অভিজ্ঞতা কমেছে ক্রয়াদেশ

Published: 21st, February 2025 GMT

বেড়েছে অভিজ্ঞতা কমেছে ক্রয়াদেশ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে শেষ হয়েছে পাঁচ দিনের গালফুড মেলা। মেলায় বাংলাদেশের ৪১টি প্রতিষ্ঠান এবার ৩৪ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন বা তিন কোটি ৪৫ লাখ ডলার নিশ্চিত ক্রয়াদেশ পেয়েছে। গতকাল শুক্রবার মেলার শেষ দিনে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল উইং এ তথ্য জানায়। 

এবারের নিশ্চিত ক্রয়াদেশ গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। গত বছর মেলায় ক্রয়াদেশ ছিল প্রায় ১০৭ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এবার অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সম্ভাব্য ক্রয়াদেশ পেয়েছে প্রায় ২৯ দশমিক ১৬৩ মিলিয়ন বা ২ কোটি ৯১ লাখ ডলার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মেলার সুফল হলো, পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতার কারণে দেশীয় বায়ার না পাওয়ায় ক্রয়াদেশ কমেছে। মেলায় স্থান সংকুলান নিয়েও ছিল অভিযোগ। আগামী বছর আরও বড় পরিসরের ভেন্যু ঘোষণা দিয়ে এ আসরের ইতি টানেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ মো.

শোয়াইব হাসান বলেন, ভিসা জটিলতা থাকায় এবার মেলায় অংশগ্রহণকারী ছাড়া দেশীয় বায়াররা তেমন অংশ নিতে পারেননি। দূতাবাস ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর চেষ্টায় শেষ মুহূর্তে ৮২ জন ভিসা পান। এতে মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেছে।
বোম্বে সুইটস অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খুরশীদ আহমাদ ফরহাদ বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছে। এ মেলায় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী ও বাজারজাত প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিচ্ছে। তারা কীভাবে পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধিতে কাজ করছে, সেসব বিষয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা আইডিয়া নিতে পারছেন। বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পণ্যের প্যাকেজিংয়ের ওপর আরও জোর দিতে হবে। 

বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি আবুল হাসেম সমকালকে বলেন, এ বছর আমরা ২৫ মিলিয়ন বা আড়াই কোটি ডলার নিশ্চিত ক্রয়াদেশের টার্গেট নিয়ে মেলা শুরু করি। কত ক্রয়াদেশ এসেছে, তার চেয়েও বড় বিষয়– এ মেলার কারণে আমরা নিয়মিত বায়ার পাচ্ছি। মেলায় হয়তো তারা ছোট অর্ডার করছেন। কিন্তু পর্যায়ক্রমে তাদের চাহিদা আরও বাড়বে।
গত দুই আসরে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা স্থান সংকুলানের অভিযোগ তুলে আসছেন। এ বিষয়ে এবার মেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। সে অনুযায়ী আগামী আসরে জায়গা বাড়ানোর আশ্বাস পেয়েছে বাংলাদেশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, এবারও আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো আশাব্যঞ্জক সাড়া পেয়েছে। কিছু জায়গায় আমরা দেখেছি, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান একই রকম পণ্য নিয়ে মেলায় এসেছে। পণ্যের বৈচিত্র্য না থাকলে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পাওয়া যায় না। আগামীতে মেলায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে।
এদিকে গালফুডের পরবর্তী আসরে দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সঙ্গে ভেন্যু হিসেবে যোগ করা হবে দুবাই এক্সপো সিটি। এক মাস এগিয়ে আগামী বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে দুটি আলাদা ভেন্যু নিয়ে বৃহৎ পরিসরে মেলার ঘোষণা দিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে কর্মীদের জন্য গার্ডিয়ানের ওয়ার্কশপ

নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সফলভাবে ওয়ার্কশপ আয়োজন করে গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। দিনব্যাপী এ ওয়ার্কশপের মূল লক্ষ্য ছিল গ্রাহকদের আধুনিক ও কার্যকরী ইন্স্যুরেন্স সেবা প্রদানের চাহিদা পূরণে কর্মীদের দক্ষতাকে আরো সমৃদ্ধ করা।

ওয়ার্কশপে উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল উপায়ে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার নানা কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। যেন প্রতিষ্ঠানটি পরিবর্তনশীল ব্যবসায়িক পরিবেশে গ্রাহকদের ধারাবাহিক এবং উচ্চমানের সেবা প্রদানে সক্ষম হয়। ওয়ার্কশপটি সম্প্রতি কক্সবাজারের ওশান প্যারাডাইজ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হয়।

গার্ডিয়ানের হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড ট্রেইনিং ডিপার্টমেন্ট এ প্রশিক্ষণ ওয়ার্কশপের আয়োজন করে। এতে অংশ নেন প্রতিষ্ঠানটির ৫৬ জন বিটুবি সেলস টিম সদস্য। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন প্রখ্যাত কর্পোরেট প্রশিক্ষক আরশাদ হাসান।

তিনি একটি জার্মান বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে গ্লোবাল বিজনেস ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত। মিলার হেইম্যান, ক্রিয়েটিভ সেলিং ও এনএলপি এর মত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেশনসহ তাঁর ২০ বছরেরও বেশিএ খাতে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ ওয়ার্কশপে তিনি খাতসংশ্লিষ্ট তাত্ত্বিক ধারণাগুলোর বাস্তবমুখী প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করেন।

ওয়ার্কশপে বিটুবি সেবায় উৎকর্ষ অর্জনে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়; যথা: বিক্রয় দক্ষতা, সমঝোতা (নেগোসিয়েশন) দক্ষতা, সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা, টিম ম্যানেজমেন্ট ও নেতৃত্ব বিকাশ। এ ওয়ার্কশপে ধারণার বাস্তব প্রয়োগের মাধমে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। গ্রুপ কার্যক্রম, বাস্তব ক্ষেত্রে কেইস স্টাডি ও অন্তর্ভুক্তিমুলক আলোচনার মাধ্যমে প্রশিক্ষণটি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নেতৃত্ব, টিমবিল্ডিং ও নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করেন।

ওয়ার্কশপ আয়োজন নিয়ে গার্ডিয়ানের ইপিএমও’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফসিহউল মোস্তফা বলেন, “পেশাদারিত্বের শীর্ষ পর্যায়ের একজন থেকে এমন গুরুত্বপূর্ণ ক্যারিয়ার স্কিল শেখার সুযোগ আমাদের সবার জন্য একটি অনন্য সুযোগ।”

তিনি আরো বলেন, “এই ওয়ার্কশপ আমাদের ইন্স্যুরেন্স খাতের ডিজিটাল রূপান্তরে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে। দ্রুত পরিবর্তিনশীল এই ডিজিটাল যুগে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে কর্মীদের প্রস্তুত করে তুলতেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”

ওয়ার্কশপে উপস্থিত টিম লিডারেরা টিমের সদস্যদের মধ্যে নতুন ধারণা আয়ত্ত করা ও পরিবর্তনের সাথে দ্রুত মানিয়ে নিয়ে ব্যক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করেন। ওয়ার্কশপ চলাকালে অংশগ্রহণকারীরা বিটুবি কাজের ক্ষেত্রে যে সকল চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির সম্মুখীন হন, তা নিয়েও আলোচনা করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক আরো জোরদার করতে তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজের নানা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ রকিবুল করিম, এফসিএ। আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও ম্যানেজমেন্ট কমিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানের তারা উন্নত ও কার্যকরী সেবা প্রদানে প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

উদ্ভাবনী ইন্স্যুরেন্স সমাধান প্রদানে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে গার্ডিয়ান। পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘমেয়াদে সেবার উৎকর্ষ অর্জনে কর্মীদের উন্নয়নে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে।-বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
  • নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে কর্মীদের জন্য গার্ডিয়ানের ওয়ার্কশপ
  • জেনে নিন, জান্নাতি ২০ সাহাবির নাম