এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউরের স্ত্রী লায়লায় আয়কর নথি জব্দের আদেশ
Published: 23rd, February 2025 GMT
‘ছাগল–কাণ্ডে’ আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ রোববার এ আদেশ দেন।
এর আগে দুদকের পক্ষ থেকে লায়লা কানিজের আয়কর নথি জব্দের আদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, দুদকে জমা দেওয়া আয়কর বিবরণীতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছেন লায়লা কানিজ। তিনি ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। আর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন ১৩ কোটি টাকার। পরে আদালত লায়লা কানিজকে নিজের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেন। এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি লায়লা কানিজকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
গত ১৫ জানুয়ারি মতিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী লায়লা কানিজকে রাজধানীর বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে লায়লা কানিজকে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে লায়লার স্বামী এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমানকে ভাটারা থানার অস্ত্র মামলায় তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মতিউর রহমান ও তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, তাঁদের ছেলে তৌফিকুর রহমান ও মেয়ে ফারজানা রহমানের বিরুদ্ধে ৬ জানুয়ারি পৃথক তিনটি মামলা করে দুদক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন
আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন ইসলাম। এই মামলায় ১৭ বছর আগে তাঁর জেল-জরিমানা হয়।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ আজ মঙ্গলবার সকালে শাহরিন ইসলাম আত্মসমর্পণ করেন, জামিনের আবেদন জানান।
প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহরিন ইসলামের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন ও শেখ সাকিল আহমেদ রিপন।
আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, শাহরিন ইসলাম অসুস্থ। তিনি নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৭ বছর আগে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য আয়কর অধ্যাদেশের মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। আজ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান।
আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী, ৮১ লাখ টাকা আয়কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে শাহরিন ইসলামকে আট বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ৯২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জামিনের আবেদনে শাহরিন ইসলাম উল্লেখ করেছেন, তিনি ১৯৯৮-১৯৯৯ কর বছর থেকে ২০০৬-২০০৭ কর বছর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। তিনি সেখানে তাঁর সব সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেছেন। বিচারিক আদালত থেকে তিনি ন্যায়বিচার পাননি।