গাইবান্ধায় গতকাল প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে দুটি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেউ পাস করেনি। বিদ্যালয় দুটির একটি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং অপরটি সাঘাটা উপজেলার ঘুরিদহ উচ্চ বিদ্যালয়।

শুক্রবার দুপুরে এমপিওভুক্ত এ দুটি বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.

আতাউর রহমান। 

জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার ঘুরিদহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪ জন শিক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১০ জন এবং মানবিক বিভাগ থেকে ১৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। তাদের একজনও পাস করেনি। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক-কর্মচারী ১৭ জন। তার মধ্যে শিক্ষকের সংখ্যা ১২ জন।

অপরদিকে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে শিক্ষক ১০ জন। বিদ্যালয়টি থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মানবিক বিভাগের ৬ জন শিক্ষার্থী। তাদের সবাই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে।  

শতভাগ ফেল করার বিষয়ে জানতে সাঘাটার ঘুরিদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. শাহেদা বেগম এবং গোবিন্দগঞ্জের বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসাইনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাদের কেউই ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান সমকালকে বলেন, আমি গত ২ জুলাই এখানে যোগদান করেছি। রেজাল্ট সংক্রান্ত বিস্তারিত আগামী রোববার দিতে পারবো। তবে, জেলায় পাসের হার ৬২ শতাংশ এবং একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি, এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা দুটি। 

তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, প্রতি মাসে শিক্ষকদের এত টাকা বেতন দেওয়ার পরও একজন শিক্ষার্থী পাস করতে না পারার বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জার। প্রতিষ্ঠান দুটিকে শতভাগ জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি যেসব বিদ্যালয়ে ফেলের হার উদ্বেগজনক, তাদেরকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

চলতি বছরের ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জেলার সাত উপজেলার ৬৬টি কেন্দ্রে ৩২ হাজার ৮৩৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এসএসস জন শ ক ষ র থ পর ক ষ য় অ প স কর ন উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

ঝালকাঠিতে ৪ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ঝালকাঠির জেলার নলছিটি উপজেলার চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। 

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এই পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া চারটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সবাই অকৃতকার্য হয়েছে, যার ফলে এসব বিদ্যালয়ের পাসের হার দাঁড়িয়েছে শতভাগ শূন্যতে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত বরিশাল বোর্ডের এসএসসি ফলাফলে এ তথ্য উঠে আসে।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, উপজলার কুলকাঠি ইউনিয়নের দেলদুয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৩ জন, রানাপাশা ইউনিয়নের ভেরনবাড়িয়া সিএসইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ জন, মাটিভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭ জন ও দপদপিয়া ইউনিয়নের জুরকাঠি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়য়ের ১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু চার বিদ্যালয়ের কেউই উত্তীর্ণ হতে না পারায় জেলার শিক্ষা মান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সি‌দ্দিকী বলেন, “নলছিটিতে চারটি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। কেন তাদের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি, সেই বিষয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হবে এবং ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/অলোক/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শারীরিক সীমাবদ্ধতা জয় করে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে তানিশা
  • জিপিএ ৫ পেলেও কলেজে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় সুব্রত
  • বন্দরে মালেক সিকদারের নাতি ফাইয়াজ জিপি-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ  
  • পাকস্থলীতে গুলি লাগা সেই জুবায়ের এসএসসি পাস করেছেন
  • এসএসসি পরীক্ষায় সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দারুণ সাফল্য
  • দুই স্কুলের ২২ শিক্ষক পাস করাতে পারেননি ৩০ শিক্ষার্থীকে!
  • মোবাইলে আসক্তি, বিয়ে, পড়াশোনায় অনীহা: পাস করেনি কেউ
  • এসএসসিতে ছয় লাখ ফেল, তাদের কথা কি আমরা ভাববো না?
  • ঝালকাঠিতে ৪ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ