২২ শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষার্থী ৩০, পাস করেনি কেউ
Published: 11th, July 2025 GMT
গাইবান্ধায় গতকাল প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে দুটি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেউ পাস করেনি। বিদ্যালয় দুটির একটি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং অপরটি সাঘাটা উপজেলার ঘুরিদহ উচ্চ বিদ্যালয়।
শুক্রবার দুপুরে এমপিওভুক্ত এ দুটি বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.
জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার ঘুরিদহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪ জন শিক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১০ জন এবং মানবিক বিভাগ থেকে ১৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। তাদের একজনও পাস করেনি। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক-কর্মচারী ১৭ জন। তার মধ্যে শিক্ষকের সংখ্যা ১২ জন।
অপরদিকে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে শিক্ষক ১০ জন। বিদ্যালয়টি থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মানবিক বিভাগের ৬ জন শিক্ষার্থী। তাদের সবাই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে।
শতভাগ ফেল করার বিষয়ে জানতে সাঘাটার ঘুরিদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. শাহেদা বেগম এবং গোবিন্দগঞ্জের বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসাইনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাদের কেউই ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান সমকালকে বলেন, আমি গত ২ জুলাই এখানে যোগদান করেছি। রেজাল্ট সংক্রান্ত বিস্তারিত আগামী রোববার দিতে পারবো। তবে, জেলায় পাসের হার ৬২ শতাংশ এবং একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি, এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা দুটি।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, প্রতি মাসে শিক্ষকদের এত টাকা বেতন দেওয়ার পরও একজন শিক্ষার্থী পাস করতে না পারার বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জার। প্রতিষ্ঠান দুটিকে শতভাগ জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি যেসব বিদ্যালয়ে ফেলের হার উদ্বেগজনক, তাদেরকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
চলতি বছরের ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জেলার সাত উপজেলার ৬৬টি কেন্দ্রে ৩২ হাজার ৮৩৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এসএসস জন শ ক ষ র থ পর ক ষ য় অ প স কর ন উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুল পরিচালিত এসএসসি প্রোগ্রামের মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখায় ২০২৬-২০২৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভর্তির যোগ্যতা জেএসসি পাস হতে হবে। জেএসসি ছাড়াদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ভর্তির দরকারি তারিখ—১. অনলাইনে ভর্তি এবং আবেদনের তারিখ শেষ তারিখ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৬।
২. অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের সনদবিহীন ভর্তি-ইচ্ছুকদের ভর্তি পরীক্ষা : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬।
৩. ওরিয়েন্টেশন ও টিউটোরিয়াল ক্লাস শুরু : ১৫ মে ২০২৬।
ভর্তির যোগ্যতা—১. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণ হতে হবে। (ভর্তির তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।
২. সরাসরি অনলাইন ভর্তির জন্য: osapsnew.bou.ac.bd
ভর্তির যোগ্যতা(জেএসসি ছাড়া) —১. যেসব শিক্ষার্থীর জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের সনদপত্র নেই তারাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৪ বছর (৩১/১২/২০২৫ তারিখে)।
২. এসব আবেদনকারীকে যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য বাউবি কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
৩. এ জন্য ভর্তির প্রাথমিক আবেদন ফরম ফি বাবদ ৩০০ টাকা দিতে হবে।
৪. ভর্তি পরীক্ষার বিষয়, মানবণ্টন, তারিখ ও পরীক্ষা কেন্দ্র এবং প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য বাউবি’র ওয়েবসাইট, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং স্টাডি সেন্টার থেকে পাওয়া যাবে। (অনলাইনে আবেদনের তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।
প্রয়োজনীয় কাগজ যা লাগবে—১. দুই কপি ছবি।
২. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণের সনদ।
৩. জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
ভর্তি ও অন্যান্য ফি—অনলাইন আবেদন ফি: ১০০ টাকা,
রেজিস্ট্রেশন ফি : ১০০ টাকা,
কোর্স ফি (প্রতি কোর্স ৫২৫ টাকা): ৩৬৭৫ টাকা,
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) ব্যবহারিক ফি: ১০০ টাকা,
একাডেমিক ক্যালেন্ডার ফি:৫ টাকা,
ডিজিটাল আইডি কার্ড ফি: ২০০ টাকা,
পরীক্ষা ফি (প্রতি কোর্স ৫০ টাকা) : ৩৫০ টাকা,
প্রথম বর্ষ নম্বরপত্র ফি : ৭০ টাকা,
মোট আবেদন ফি: ৪৬৯৬ টাকা।
বিজ্ঞান শাখার জন্য দুটি ব্যবহারিক কোর্সের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. অষ্টম শ্রেণি বা সমমান পাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রদত্ত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী একই রকম হতে হবে।
২. জেএসসি বা জেডিসি পাসের ক্ষেত্রে জেএসসি বা জেডিসি সনদ অনুযায়ী হতে হবে। ২০২০ সাল কিংবা তার পরবর্তীতে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেণি পাশ সনদে বা প্রমাণকে বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। সনদবিহীনদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী হতে হবে।
৩. তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা কোর্স ফির শতকরা ৬০ ভাগ ছাড় পাবেন।
# বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট