মালয়েশিয়া পাঠানোর দাবিতে শাহবাগ অবরোধকারীরা মন্ত্রণালয় অভিমুখে
Published: 24th, February 2025 GMT
মালয়েশিয়া পাঠানোর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখা আন্দোলনকারীরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে রওনা হয়েছেন। সেখানে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
আজ সোমবার সকালে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। পরে পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দিলে দুপুর দেড়টার দিকে ইস্কাটন রোডে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে বের হন।
আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা টাকা দিয়েও মালয়েশিয়া যেতে পারছি না। আমাদের পরিবার নিয়ে অসহায় অবস্থায় আছি। আমরা চাই, ড.
যশোর থেকে আসা নাজমুল হাসান বলেন, আজকে দুই বছর হলো টাকা জমা দিয়েছি। অথচ আমাদেরকে মালয়েশিয়া পাঠানো হচ্ছে না। আমরা মালয়েশিয়া যেতে চাই। প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে চাই।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থেকে আসা মোহন আলী বলেন, দেড় বছর হলো রিক্রুটিং এজেন্সিকে টাকা দিয়েছি। এরপরও আমাদেরকে মালয়েশিয়া পাঠানো হচ্ছে না। এজন্য সরকারের গাফিলতিকে দায়ী করেন তিনি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব