কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আট নেতার সদস্য পদ বাতিলসহ সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে আরও পাঁচজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ফেসবুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া শাখার আইডিতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

এ বিষয়ে গতকাল রাত সোয়া ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার মুখপাত্র পারভেজ মোশাররফ প্রথম আলোকে বহিষ্কার ও কারণ দর্শনোর নোটিশ দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সেগুলো হলো, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দায়িত্বশীলতার ওপর জনসাধারণের অনাস্থার কারণে আটজন সদস্যের সদস্য পদ বাতিল করা হয় এবং সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁরা হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক বায়েজিদ খান (হিমু), সদস্য ইমরান খান রানা, কুমারখালী উপজেলা শাখা কমিটির সংগঠক আতিকুল হাসান আসিফ, সদস্য রায়হান হোসেন, মো.

আপন, রাজু আহমেদ, যুগ্ম সদস্যসচিব সাকিব হাসান (সাব্বির) ও সদস্য রাতুল রায়হান।

এ ছাড়া সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গ, ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীলদের সঙ্গে অসদাচরণ ও বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচজন সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তাঁরা হলেন কুষ্টিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সংগঠক আশিক খান, কুমারখালী উপজেলা শাখা কমিটির সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান খান আলী, কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্য সাগর উদ্দিন, আমির হামজা ও কুমারখালী উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজল হোসেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ