অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড সার্টিফায়েড অ্যাকাউন্ট্যান্টস (এসিসিএ) বাংলাদেশের আয়োজনে বিপিও, গ্লোবাল ট্যালেন্ট ট্রেন্ডস এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক থট লিডারশিপ সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত শনিবার রাজধানীতে আয়োজিত দিনব্যাপী এ সিম্পোজিয়ামে প্রায় ২০০ সিনিয়র কর্মকর্তা, এসিসিএ সদস্য, শিল্প নেতা, নীতিনির্ধারক এবং বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। তারা হিসাব ও অর্থায়নে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং, গ্লোবাল ট্যালেন্ট ট্রেন্ডস এবং টেকসই উন্নয়ন রিপোর্টিং-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন, যা পেশার বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সিম্পোজিয়ামে বিভিন্ন বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা, মূল বক্তব্য উপস্থাপনা এবং প্যানেল সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও নতুন সুযোগ সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্য রাখেন এফসিসিএ প্রমা তপশী খান, কান্ট্রি ম্যানেজার, এসিসিএ বাংলাদেশ। তিনি এসিসিএর থট লিডারশিপ এবং শিল্পের মূল অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন।

সিম্পোজিয়ামের তৃতীয় ও শেষ সেশনটি কর্পোরেট স্বচ্ছতা এবং টেকসই উন্নয়নের ভূমিকা নিয়ে আলোচিত হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা এ জি এম সাত্তিক আহমেদ শাহ সেশনের সূচনা বক্তব্য রাখেন।

মূল বক্তব্য উপস্থাপন ও প্যানেল আলোচনায় নেতৃত্ব দেন মীর সাজেদ-উল-বাশার। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন লোপা রহমান, মো.

মাহবুবুর রহমান, রাকিবুল ফাইয়াজ এবং মো. ইকরামাহ। এই সিম্পোজিয়ামটি এসিসিএ বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করেছে, যা পেশাজীবীদের নতুন দক্ষতা অর্জন ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণে সহযোগিতা করবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এস স এ এস স এ অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় তাঁর বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী শহীদ মিনার এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেন। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করার খবর পাওয়া গেছে। রাত সাড়ে আটটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করে মিছিল করছিলেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়। বাদ পড়েন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী।

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আসলাম চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। এ সময় তাঁরা ‘দুর্দিনের আসলাম ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’ ‘আসলাম ভাইয়ের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ এমন স্লোগান দেওয়া হয়।

বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসলাম চৌধুরী দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছেন। তিনি দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়ে কারাবন্দী হন। দীর্ঘ সময় তিনি জেল-জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন। অথচ এখন সুসময়ে দল তাঁকে বঞ্চিত করছে। তাঁরা দলের এ সিদ্ধান্ত মানেন না। তাই প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরসালীন প্রথম আলোকে বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী ঘোষণার পর বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। তাঁরা যে যাঁর জায়গা থেকে মহাসড়কে উঠে প্রতিবাদ শুরু করেন। তাঁরা অন্তত সীতাকুণ্ডের ৩০টি স্থানে মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

ঘোষিত প্রার্থী কাজী মুহাম্মদ সালাউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ছোট ভাই। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম তাঁকে যোগ্য মনে করেছেন বিধায় তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করতে চান। এর আগে ২০১৪ সালে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন।

ফৌজদারহাট পুলিশ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের মাথা, ফৌজদারহাট, জলিল গেইট, ভাটিয়ারী, মাদামবিবিরহাট, কদমরসুল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ রয়েছে। ফলে উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ। পুলিশ বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের সরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ