ই-বুককে জনপ্রিয় করছে ‘বইটই’, বিনামূল্যে পড়া যায় তিন শতাধিক বই
Published: 26th, February 2025 GMT
বইপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ই-বুক। কখনও বিনা মূল্যে আবার কখনও অল্প মূল্যে ই-বুক পাওয়া যায়। আমাদের দেশে ই-বুক সম্প্রসারণে কাজ কাজ করছে ‘বইটই’। বইটই-এর যাত্রা শুরু হয় ২০১৮ সালে। এর উদ্যোক্তা জনপ্রিয় কিবোর্ড রিদমিক ল্যাবস-এর সিইও শামীম হাসনাত। তিনি বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। এরপর নিজেকে নিয়োজিত করেছেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশে।
যেভাবে বইটই এর যাত্রা শুরু: শামীম হাসনাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তিনি তৈরি করেন রিদমিক কিবোর্ড, যা অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপল ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। শামীম ২০১২ সালে রিদ্মিক কিবোর্ড চালু করেন, যার বর্তমান ব্যবহারকারী সংখ্যা ১২ কোটির বেশি। ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে তিনি রিদ্মিক ল্যাবস-এর যাত্রা শুরু করেন, যেখানে নানা ধরনের অ্যাপ তৈরি করা হয়। সেই রিদমিক ল্যাবসের অন্যতম একটি প্রকল্প হলো বইটই।
কোথায় পাওয়া যায়: বইটই অ্যাপ প্লে স্টোর ও অ্যাপল স্টোরে পাওয়া যায়। অ্যাপে লগইন করার পর পাঠকরা বিনামূল্যে পড়তে পারবেন তিন শতাধিক বই। এছাড়াও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ, নগদ, রকেট এবং ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করে বারো হাজারের বেশি ই-বই কিনতে পারবেন। এসব বইয়ের মান অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো ব্যবহারকারী একবার একটি ই-বই কিনলে সারাজীবন পড়তে পারবেন। এছাড়াও, পড়ার সময় বই দাগানো, কোনো বিশেষ চরিত্র বা সংখ্যা মার্ক করা—এসব সুবিধাও পাওয়া যাবে বইটই অ্যাপে। জুম ইন বা জুম আউট করে প্রয়োজন অনুযায়ী লেখার আকার ছোট-বড় করেও পড়া যাবে।
আরো পড়ুন:
পর্যাপ্ত পানি পান করার পরেও ত্বক শুষ্ক হয় কেন?
চাকরিজীবী নারীরা ব্যাগে যা যা রাখতে পারেন
বইটই সাইটে গিয়ে যেকোনো বইয়ের শুরুর অংশ পড়া যাবে। এরপর ইচ্ছে হলে কিনতে পারবেন। দেখতে পারবেন কোন লেখকের বই সবচেয়ে বেশি পড়া হচ্ছে, কোন ক্যাটাগরিতে কোন লেখক সেরা—এসব তথ্যও জানা যাবে। পাঠকরা ই-বই পড়ে তাদের মূল্যবান মতামত দিতে পারবেন।
বইটই’র কাস্টমার অফিসার মো.
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদ
সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর আলোকে জাতীয় ঐক্য গঠনের জন্য জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে গণঅধিকার পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ বৈঠকে অংশ নেয়। শুরুতে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সূচনা। সেই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আজ আমরা একটি অভূতপূর্ব রাজনৈতিক পরিবর্তনের মুখোমুখি। এই পরিবর্তনকে অর্থবহ করতে কেবল সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যথেষ্ট নয়, বরং সব রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে হবে।’
কমিশনের সহসভাপতি বলেন, এই আলোচনা কেবল কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে রাজপথে ও রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি জাতীয় সনদ গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর তার বক্তব্যে বলেন, গত ১৬ বছর ধরে দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদী শাসনের চাপে নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন দমন-পীড়ন চালাতে না পারে, সে লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের মাধ্যমে একটি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে লড়াই শুরু হয়েছিল, সেটি আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলেছে। হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তার সত্বেও আমরা আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছি। ব্যক্তি দল গোষ্ঠীর চেয়ে জাতীয় স্বার্থ ও রাষ্ট্রের স্বার্থকে আমরা যেন প্রাধান্য দেই এটিই আমাদের চাওয়া।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার ও ইফতেখারুজ্জামান।