মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আওয়ার অব কোডিং’, যেভাবে চলবে
Published: 26th, February 2025 GMT
মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কোডিং সম্পর্কে ধারণা দিতে চায় সরকার। এ জন্য ‘আওয়ার অব কোড ক্যাম্পেইন’ শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মাউশি। এআই কোডিং সমস্যা সমাধান ও অ্যাডভান্স প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করতেই এবারের এ আয়োজন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইসিটি ল্যাব ব্যবহার করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষকেরা আওয়ার অব কোড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবেন। ক্যাম্পেইনটি চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এ–সংক্রান্ত এক চিঠি সব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের পাঠিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, এর আগে এ ক্যাম্পেইন ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলার কথা ছিল।
এর আগে শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ ক্যাম্পেইন পরিচালনার গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা ক্যাম্পেইন সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করতে পারেন বলে জানানো হয়েছে।
মাউশির চিঠিতে বলা হয়েছে, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে এআই কোডিং সমস্যা সমাধানের মতো অ্যাডভান্স প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘আওয়ার অব কোড’ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তা, সমস্যা সমাধান দক্ষতা, বিশ্লেষণী চিন্তার বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। মাধ্যমিক পর্যায়ে যেকোনো শিক্ষার্থী ‘আওয়ার অব কোড’–এ তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী কোডিং শেখার মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন করতে পারবেন। ইতিমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে মাত্র ‘আওয়ার অব কোড’ ক্যাম্পেইনটি সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং উল্লেখযোগ্য সাড়া ফেলেছে। এতে সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে কার্যক্রমটি ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী পরিচালনা করা যেতে পারে।
আরও পড়ুনচীনের এআইআইবি গ্লোবাল ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম, দিনে ৯০ ডলারের সঙ্গে নানা সুযোগ৩ ঘণ্টা আগেএমন পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীর জন্য আওয়ার অব কোড ক্যাম্পেইন ২৮ ফেব্রুয়ারি চলমান রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুনসুইডেনের ফুল-ফান্ডেড ৭৫০ স্কলারশিপ, জীবনযাপন খরচ, ভ্রমণ ব্যয়ের সঙ্গে নানা সুযোগ১১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক য ম প ইন কর মকর ত পর চ ল র অব ক র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নায়িকা হতে আসিনি, তবে...
গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।
এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।
‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।
ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।
আইমন শিমলা