কুড়িগ্রামে বিমা প্রকল্পের উদ্বোধন, দুর্ঘটনায় গরু-মহিষ মারা গেলে ক্ষতিপূরণ পাবেন কৃষক
Published: 26th, February 2025 GMT
কুড়িগ্রামে গরু-মহিষের বিমা প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমার অন্তর্ভুক্ত গরু-মহিষ দুর্ঘটনায় মারা গেলে কৃষক ক্ষতিপূরণ পাবেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনের আলোর ভুবন হলরুমে এ প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন হয়।
কার্নিভ্যাল অ্যাসিউরের তত্ত্বাবধানে, সুইচ কন্টাক্ট-এর সার্বিক সহযোগিতায় এবং সুইস দূতাবাসের অর্থায়নে গরু-মহিষের বিমাবিষয়ক প্রকল্পটি ডটলাইনস সোশ্যালের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডটলাইনস সোশ্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ কামরুল আরেফিন প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, এই বিমা প্রকল্প প্রাথমিকভাবে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট, উলিপুর এবং সদর উপজেলায় শুরু করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় জেলার সাত হাজার কৃষক উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গরু-মহিষের বিমার সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে ৩ উপজেলার ১ হাজার ৮০০ খামারি সরাসরি বিমাসুবিধার আওতায় আসবেন। যাঁরা বিমা সুবিধার আওতায় আসবেন, সেই কৃষকদের গরু-মহিষ দুর্ঘটনায় মারা গেলে বা অক্ষম হলে ১০–১৫ দিনের মধ্যে তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাবেন।
প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক মো.
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বৈশ্বিক আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং এলাকার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কারণে গবাদিপশুর লালনপালনে যে সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে, সেগুলো মোকাবিলায় এই মাইক্রো ইনস্যুরেন্স প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কুড়িগ্রামের বিভিন্ন চরাঞ্চলের ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিরা এই মাইক্রো ইনস্যুরেন্স প্রকল্প গ্রহণ করলে তাঁদের মূলধন হারানোর ভয় কমে যাবে।
উলিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক মোছা. রেবা বেগম বলেন, এই বিমা প্রকল্প গবাদিপশু লালনপালনকারী প্রান্তিক কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি কমাতে সাহায্য করবে। তবে বিমা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো এবং বিমার পলিসি বিষয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে সঠিক ধারণা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
পরে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. হাবিবুর রহমান বেলুন উড়িয়ে প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক ম প রকল প র অন ষ ঠ ন র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
চীনের প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপ, ১০ হাজার চায়নিজ ইউয়ানের সঙ্গে নানা সুযোগ
চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের বৃত্তি দেয়। তেমনি একটি বৃত্তি প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপ। দেশটির জিয়াংসু বিশ্ববিদ্যালয় এ স্কলারশিপ দেয়। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপের জন্য আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ বৃত্তির আওতায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
বৃত্তির সুযোগ-সুবিধা—
স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির জন্য বৃত্তির জন্য সুবিধা ভিন্ন ভিন্ন। এর মধ্যে ইংরেজি ভাষায় স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রথম বছর ১০ হাজার চায়নিজ ইউয়ান দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনইউনেসকোতে ১৪ ক্যাটাগরিতে ইন্টার্নশিপ, বয়স ২০ হলেই আবেদন ১৮ মার্চ ২০২৫পড়াশোনার বিষয়গুলো—
ইঞ্জিনিয়ারিং, বিমা, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, হিসাবরক্ষণ, পরিসংখ্যান, অটোমেশন, বাণিজ্য, ব্যবসা, বিপণন, মানবসম্পদ, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
প্রয়োজনীয় তথ্য—
বৈধ পাসপোর্টের কপি
সর্বশেষ ডিগ্রির ট্রান্সক্রিপ্ট
ডিগ্রির সার্টিফিকেট
ইংরেজি ভাষাদক্ষতার সার্টিফিকেট
পারিবারিক আর্থিক বিবরণী
গবেষণা প্রস্তাব (মাস্টার্স এবং পিএইচডি) ও
দুটি সুপারিশপত্র (স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির জন্য)।
চীনের এই বৃত্তির জন্য ইংরেজি ভাষাদক্ষতার সার্টিফিকেট ও পারিবারিক আর্থিক বিবরণীও লাগবে