ইংল্যান্ডকে বিদায় করে সেমির আশায় আফগানরা
Published: 26th, February 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৫১ রান করেও হেরেছিল ইংল্যান্ড। এবার আফগানিস্তানের ৩২৬ রান তাড়া করতে নেমে ৮ রানে হেরেছে ইংলিশরা।
দুই ম্যাচে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছে 'বাজবলের' বার্তা দেওয়া ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের পর ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাচিয়েছে আফগানিস্তান।
ইংল্যান্ড গ্রুপ পর্বে তাদের নিয়ম রক্ষার ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে। আফগানিস্তান খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
লাহোরে বুধবার শুরুতে ব্যাট করে ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটে ভর করে বড় রান করে আফগানিস্তান। তিনি ক্যারিয়ার সেরা, আফগানিস্তানের সেরা ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেরা ১৭৭ রানের ইনিংস খেলেন। ১৪৬ বলের ইনিংস ১২টি চার ও ছয়টি ছক্কায় সাজান।
এছাড়া হাসমতউল্লাহ ৪০ ও আজমতউল্লাহ ৪১ রানের ইনিংস খেলেন।
জবাবে ইংল্যান্ডের জো রুট ১১১ বলে ১২০ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি ১১টি চার ও একটি ছক্কা তোলেন। কিন্তু জস বাটলার ও হ্যারি ব্রুক সেট হলেও রুটকে সঙ্গ দেওয়া ইনিংস খেলতে পারেননি। তারা যথাক্রমে ৩৮ ও ২৫ রান করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।