বিগত আওয়ামী লীগ সরকার জ্বালানি খাতকে চুরির কারখানা বানিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ক্যাপাসিটি চার্জের মাধ্যমে ডাকাতির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মদদে জ্বালানি খাতে ডাকাতি হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত ডিজেএফবি টকে এসব কথা বলেন প্রেস সচিব।

সংগঠনের সভাপতি হামিদ-উজ-জামানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মুহিবের সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন সংগঠনের সহসভাপতি সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নিজের বাড়িতে যাওয়ার জন্য কর্ণফুলী টানেল করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, ‘সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। সেখানে তেমন কিছু নেই। নিজের এলাকায় যাওয়ার জন্য তিনি কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প নিয়েছেন। টানেল এলাকায় ৪৫০ কোটি টাকার হোটেল করেছেন, যা অপচয়। তিনি ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন ধরে নিয়েই এসব করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ধসে পড়ার (কলাপসড) সম্মুখীন এমন একটি অর্থনীতি পেয়েছে। যে কোনো সময় ধসে পড়ার ঝুঁকি ছিল। এমন অর্থনীতিকে মাত্র ছয় মাসের মাথায় পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, যা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। টানা পাঁচ মাস রপ্তানি বাড়ছে। গত ছয় মাসে অর্থনীতির অনেক উন্নতি হয়েছে, যা অকল্পনীয়।’

প্রেস সচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার অপ্রয়োজনীয় অনেক প্রকল্প করেছে। অনেক রেলপথ বানিয়েছে, যেখানে দিনে একটি ট্রেন চলে। প্রকল্প খরচ ৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে পছন্দের লোককে সুবিধা দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশের টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার হয়েছে। কানাডায় বেগমপাড়া হয়েছে। লন্ডনে ব্লকের পর ব্লক কেনা হয়েছে।’

অন্তর্বর্তী সরকার এখন অর্থনীতির ‘যক্ষ্মা’ ঠিক করছে। পরে স্বাস্থ্য ঠিক করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, গত দুই মাস ধরে মূল্যস্ফীতি কমেছে। জুন মাসের মধ্যে সাত শতাংশে নেমে আসবে। এখন প্রয়োজন জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা। আমানতকারী কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না– এ বার্তা বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বারবার দিচ্ছেন। আগের সরকার এখন পর্যন্ত থাকলে এখন কেউ এক টাকাও ব্যাংকে রাখত না।

বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, ভারত যৌথ বিদ্যুৎ গ্রিড লাইন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার যেসব উদ্যোগ নিচ্ছে, তাতে আমাদের আত্মবিশ্বাস বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। বাণিজ্য যুদ্ধে বাংলাদেশ বড় সুবিধাভোগী হবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচন করবেন মির্জা আব্বাস

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তালিকা প্রকাশ করেন।

আরো পড়ুন:

যে আসন থেকে লড়বেন তারেক রহমান

২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৩টি আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া

এর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দলীয় প্রার্থীদের প্রাথমিক নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

এ সময় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভ্যাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। সেই নির্বাচন প্রায় ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে, সেটি বিএনপি সমন্বয় করে নেবে।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দিনাজপুর-৩ থেকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসন থেকেও লড়বেন তিনি।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ