দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান বেড়েছে জাহিন স্পিনের
Published: 27th, February 2025 GMT
অগ্নিকাণ্ডের কারণে উৎপাদন বন্ধ থাকায় জাহিন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২৪) আর্থিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এ সময়ে কোম্পানিটির লোকসান আরও বেড়েছে এবং অন্যান্য সূচকেও অবনতি হয়েছে।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি ক্ষতি (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা শূন্য ৮ পয়সা। গত বছরের একই সময় যা ছিল ১১ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ারপ্রতি ক্ষতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১৫ পয়সা; আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২০ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম ছয় মাসে লোকসান বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয়ের পরিমাণ হ্রাস এবং উৎপাদন বন্ধ থাকায় পণ্য উৎপাদনের খরচ বৃদ্ধি এই ক্ষতির প্রধান কারণ। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে উৎপাদন স্থগিত থাকায় আয় কমলেও খরচ বেড়ে যায়। এ ছাড়া জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪ সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং নগদ প্রবাহের (এনওসিএফপিএস) সামান্য উন্নতি হয়েছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, উৎপাদন বন্ধ থাকায় কারখানার ওভারহেড ও অন্যান্য অপারেটিং খরচ কমে যাওয়ায় এই উন্নতি হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব কোম্পানির স্থিতিপত্রেও পড়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) নেমে এসেছে ২ টাকা ৭৮ পয়সায়; ২০২৪ সালের ৩০ জুনে যা ছিল ৩ দশমিক ৯৬ টাকা। সংরক্ষিত আয় কমে যাওয়াকে এই পতনের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত এক বছরে জাহিন স্পিনের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ৫ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটি তেমন একটা লভ্যাংশও দেয় না। ২০২৪ সালে তারা শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে তারা ৫ শতাংশ, ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ