‘জুলাই শহীদ’ ও ‘জুলাই যোদ্ধারা’ মার্চ থেকে ভাতা পাবেন: প্রেস সচিব
Published: 27th, February 2025 GMT
আগামী মার্চ মাস থেকে ‘জুলাই শহীদদের’ পরিবার ও ‘জুলাই যোদ্ধারা’ ভাতা পাওয়া শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ ছাড়া, এককালীন ভাতার একাংশ আগামী জুন মাসের মধ্যে দেওয়া হবে। বাকি অংশ আগামী অর্থবছরে পরিশোধ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।
এ সময় জুলাই শহীদের পরিবার ও জুলাই যোদ্ধারা কী কী সুবিধা পাবেন, তার বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। গত ৯ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। গণঅন্দোলনে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তারা ‘জুলাই শহীদ’ নামে অভিহিত হবেন। যারা আহত হয়েছেন তারা ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে অভিহিত হবেন। আহতদের তিনটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। মেডিকেল কমিটির মাধ্যমে আহতদের অবস্থা পর্যালোচনা করে এ, বি, সি ক্যাটগরি করা হয়।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গেজেটভুক্ত জুলাই শহীদের সংখ্যা ৮৩৪ জন। শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা পাবেন। চলতি অর্থবছরের মধ্যে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যেম ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আগামী অর্থবছরের বাকি ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেওয়া হবে। শহীদ পরিবার প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। পরিবারের সক্ষমরা সরকারি, আধাসরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন।
জুলাই যোদ্ধাদের ‘এ’ ক্যাটারিতে যারা অতি গুরুতর আহত হয়েছেন, তারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এই সংখ্যা ৪৯৩ জন। এ ক্যাটাগরির জুলাই যোদ্ধারা এককালীন ৫ লাখ টাকা পাবেন। চলতি অর্থবছরে ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে। বাকি ৩ লাখ টাকা আগামী অর্থবছরে পাবেন। এ ছাড়া, মাসিক ভাতা ২০ হাজার টাকা, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা ও মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে বিদেশে চিকিৎসা প্রাপ্য হবেন। এ ছাড়া, প্রয়োজনীয় কর্মপ্রশিক্ষণ, পুনর্বাসন সুবিধা ও পরিচয়পত্র পাবেন।
‘বি’ ক্যাটাগরির জুলাই যোদ্ধারা যারা গুরুতর আহত হয়েছেন। এই সংখ্যা ৯০৮ জন। তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন। চলতি অর্থবছরে ১ লাখ ও আগামী অর্থবছরে ২ লাখ টাকা পাবেন। এ ছাড়া, মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা, কর্মসহায়ক প্রশিক্ষণ, সরকারি–আধা সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার ও পরিচয়পত্র পাবেন।
‘সি’ ক্যাটাগরিতে আহত জুলাই যোদ্ধার সংখ্যা ১০ হাজার ৬৪৮ জন। তারা এককালীন ১ লাখ টাকা, মাসিক ১০ হাজার টাকা, পুনর্বাসন সুবিধা ও পরিচয়পত্র পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপ প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব আহমদ ফয়েজ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত হয় ছ ন একক ল ন চয়পত র পর ব র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।
সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।
এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা