আফগানিস্তানের নেক্সট টার্গেট অস্ট্রেলিয়া
Published: 27th, February 2025 GMT
আইসিসির সবশেষ ইভেন্টে সেমিফাইনাল খেলেছিল আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টির সুপার এইটের ম্যাচে তারা হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। পরে বাংলাদেশকে হারিয়ে সহজেই খেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল।
আগামীকাল তাদের আরেকটি লড়াই সেমিফাইনালে যাওয়ার। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুক্রবার মুখোমুখি হবে দুই দল। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেরা চারের আশা বাঁচিয়ে রাখা আফগানিস্তানের পরবর্তী টার্গেট অস্ট্রেলিয়া। সঙ্গে ২০২৩ বিশ্বকাপের ম্যাচেরও বদলার অপেক্ষা। যে ম্যাচে ম্যাক্সওয়েল ডাবল সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে আফগানদের হৃদয় ভেঙেছিল। তবে ওই ম্যাচ নিয়ে আফগানিস্তান খুব একটা চিন্তিত নয়।
অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহীদির সব ভাবনা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচকে ঘিরে। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে হাশমতউল্লাহ বলেছেন, ‘‘নিশ্চিতভাবে এমন একটি জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে যা শক্তি ও সামর্থ্যকে আরো বাড়িয়ে দেয়। আমাদের জয়ের তাড়না আরো বেড়ে গেছে। আগামীকালের ম্যাচটা দুই দলের জন্য সমান গুরুত্বের। সেমিফাইনাল যাওয়ার জন্য।’’
আরো পড়ুন:
‘শান্তর জায়গায় ধোনি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিলেও লাভ হবে না’
সাবেকরা বলছেন, বাটলারকে আর দরকার নেই!
অস্ট্রেলিয়াকে সমীহ করে তাদের বিপক্ষে ভালো করার প্রত্যয় হাশমতউল্লার কণ্ঠে, ‘‘অস্ট্রেলিয়া কঠিন এবং ভালো দল। আমি আগেও বলেছি, আমরা এখানে ভালোমানের ক্রিকেট খেলতে এসেছি। আমরা যাদের সঙ্গে খেলবো সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত। আমাদের সেমিফাইনাল খেলতে হবে এমন চাপ নিয়ে আমরা মাঠে নামতে চাই না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা যে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ক্রিকেট খেলেছি, আশা করছি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সেই ধারাবাহিকতা থাকবে। আমাদের নিজের বেসিক ক্রিকেটটায় স্থির থাকতে হবে।’’
দুই দলের সবশেষ ওয়ানডে দেখায় অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল। সেদিন ২৯২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ১২৮ বলে ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। মুম্বাইয়ের সেই ম্যাচ এখনও ক্রিকেটপ্রেমিদের হৃদয়ে গেঁথে আছে।
আগামীকালও জমজমাট একটা ম্যাচ হবে বলে বিশ্বাস করেন হাশমতউল্লাহ, ‘‘আমি মনে করি ম্যাচটা ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে। কেননা আমরা সেমিফাইনাল নয় শুধু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো খেলতে চাই। আমরা ভালো পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমে নিজেদের কাজটুকু করতে চাই। আমরা আগামীকাল ঘুম থেকে উঠবো। প্রতিপক্ষকে নিয়ে পরিকল্পনা করবো এবং মাঠে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা করবো।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন স ম ফ ইন ল আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি