এখন হেমন্ত রাত্রি

এখন হেমন্ত রাত্রি
কোথাও কোনো নগরীতে ছিলাম না যেন 
     হাজার বছর আগে 
ঘাসে শিশির বাতাবি বনের জ্যোতিছায়া ও জল্পনার ভিতর চাঁদ
নিভে জ্বলে উঠছে
এই সমাধি শীত
শান্ত মৃতদের 

এই পবিত্র অন্ধকারে হেমন্ত রাত্রি
  এ ছাড়া বাইরে মলিন নদীর অবধি নেই
    অসংখ্য রক্তের নদী তোলপাড় করছে
     কে সেই আবিলতাকে ফুরিয়ে 
       এই নির্মলতাকে গ্রহণ করবে 
         সেই কাংস্য─ বন্দর বিমোহ─ ক্রেংকার এড়িয়ে
          এই নির্জ্জনতাকে 

আহা, দেওদারবীথি, ঘাস, শিশির, বাতাবি বন
  আমি শুধু একটি মৃতাকে পাবার জন্য এসেছিলাম 
    আমার অনপনেয় অনন্ত জীবিতদের রৌদ্রে সুদূর
      দিল্লী-বোম্বে-কলকাতায় সকলকে অগ্রসর হতে দিয়ে 

অনেক মহাশ্বেত ঘোড়ার রঙে নীল
   আকাশ ভরে ফেলে ঢের
     শ্বেতশক্তি গর্জ্জন করছে সেখানে 

জয়─ নব নব প্রভাতের জয় 

এইখানে নিরায়োজন সব
এখন অঘ্রান সব
অঘ্রানের রাত্রি, হাওয়া, থেমে যাওয়া─ এসে থেমে থাকা 
হাজার বছর আগে নারি, এক নগরীতে তুমি 
চলে গিয়ে ছিলে বলে আজকে হেমন্তরাতের পল্লীভূমি
ন্যাগ্রোধ শ্মশান ঘাস শিশির তারার অগ্নি পাখি 
প্রভৃতি আশ্চর্য্য সব সনাতন জিনিসের মনে একাকী। 

রচনাকাল: অক্টোবর ১৯৪৫। খাতা-৩৮


সামাজিক পরিবেশে চায়ের আসরে

সামাজিক পরিবেশে চায়ের আসরে আড্ডা মাঝামাঝি জমেছে এমন
গাধার রগড় শুনে অনেক দেখেছি আমি সমবেত কুকুরের কান 
খাড়া হয়─ তারপর বার হয়ে আসে বিষদাঁত
এখানে সে সব নেই─ নিজেদের মৌতাতে নিজেদের প্রাণ 
   ঈষৎ সুদীর্ঘ হয়ে নড়ে যায় দেখা গেল যখন হঠাৎ 
   ভোরের সিঁড়ির পথ বেয়ে আমি ছাদের উপরে 
   দাঁড়ালাম একা গিয়ে নগরীর নীলিমার নিচে
কুলোর মতন কান অনপনেয়ভাবে নড়ে 
যেইখানে সৃষ্টির মহনীয় মহান হাতীর 
দু’চার  মুহূর্ত্ত আমি এমন বিষম মনোভাবে
দাঁড়াতেই দেখা গেল আকাশপ্রদীপে শঙ্খচিল
হিসাবের গরমিল সোনালি ও নীল এই পাখির হিসাবে।

রচনাকাল: আগস্ট ১৯৪১। খাতা ৩৫ক।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ মন ত

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ামির স্বপ্নভঙ্গ, ইতিহাস গড়লো ভ্যানকুভার এফসি

কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের রোমাঞ্চকর সেমিফাইনালে লিওনেল মেসি ও তার দল ইন্টার মায়ামিকে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে নাম লিখিয়েছে কানাডার ক্লাব ভ্যানকুভার এফসি। বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা), মায়ামির চেইস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দর্শকদের উপহার দেওয়া হয় গোল, নাটক এবং ৩২টি ফাউলের নাটকীয় এক সন্ধ্যা।

প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে জয় পেয়ে আগেই সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল ভ্যানকুভার। তাই দ্বিতীয় লেগে ইন্টার মায়ামির জন্য লক্ষ্যটা ছিল বেশ কঠিন, কমপক্ষে তিন গোলের ব্যবধানে জয়। কিন্তু সেই লক্ষ্য অধরাই থেকে গেল। উল্টো ৩-১ গোলের হার সইতে হলো ডেভিড বেকহ্যামের মালিকানাধীন দলটিকে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে উড়েই ফাইনালে উঠে যায় কানাডার ক্লাবটি।

ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ইন্টার মায়ামির জন্য আশা জাগানিয়া ছিল। নবম মিনিটেই মেসি ও সুয়ারেজের দারুণ কম্বিনেশনের ফসল হিসেবে জর্ডি আলবা গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলের লিডে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা।

আরো পড়ুন:

দুয়োতে ম্যাচ হেরে কনফাকাফ থেকে বিদায়ের শঙ্কায় মেসিরা

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন মেসি

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে মাঠে নামে ভ্যানকুভার। ম্যাচের ৫১ মিনিটে ব্রেইন হোয়াইট গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। এরপর মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে ইন্টার মায়ামির রক্ষণভাগের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যান পেদ্রো ভিতে। এরপর ম্যাচে ফিরে আসার অনেক চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি মেসির দল।

৭১ মিনিটে ভ্যানকুভারের হয়ে তৃতীয় ও শেষ গোলটি করেন সেবাস্তিয়ান বারহেল্টার। যা ম্যাচের নিয়তি নির্ধারণ করে দেয়। এরপর ইন্টার মায়ামি একাধিকবার আক্রমণ করলেও প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ও শক্ত রক্ষণদেয়াল ভাঙতে ব্যর্থ হয়।

ম্যাচটিতে দুই দলই ১৬টি করে ফাউল করে। যা মিলিয়ে মোট ফাউলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২। ইন্টার মায়ামি ১৭টি শট নেয়, যার মধ্যে ৬টি ছিল অন টার্গেটে এবং মাত্র একটিই জালে ঠাঁই পায়। অন্যদিকে, ভ্যানকুভারের ১০টি শটের ৬টিই লক্ষ্যে ছিল এবং এর মধ্যে তিনটি জালে জড়ায়।

এই হারের ফলে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ফাইনালে খেলার স্বপ্নভঙ্গ হলো মেসি-সুয়ারেজদের। আর ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালের টিকিট কাটলো ভ্যানকুভার এফসি।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ