দেশের প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে
Published: 28th, February 2025 GMT
দেশের যে কোনো প্রয়োজনে সেনাসদস্যদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দরকার হলে জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের সপ্তম কর্নেল অব দ্য রেজিমেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, আশা করব, ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের প্রত্যেক সদস্য অর্পিত দায়িত্ব সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করবে। এ রেজিমেন্টের প্রত্যেক সদস্য দেশের যে কোনো প্রয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকবে।
এর আগে সকালে রাজশাহী সেনানিবাসের শহীদ কর্নেল আনিস প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে সেনাপ্রধানকে অভিবাদন জানায় বাহিনীর একটি চৌকস দল। এর পর সেনাপ্রধানকে ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের ‘কর্নেল’ ব্যাজ পরিয়ে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে তিনি ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেন।
সেনাসদস্যদের পেশাদার ও সুদক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর জানিয়ে অনুষ্ঠানে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, বিগত কয়েক বছরে ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন ও অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জামাদির সংযোজনসহ ভূ-উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কর্নেল অব দ্য রেজিমেন্ট হিসেবে ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টকে যুগোপযোগী ও আধুনিক প্রযুক্তির যে কোনো প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম জোগান দেওয়ার বিষয়ে সচেষ্ট থাকব। ইতোমধ্যে আমরা ইন্টেলিজেন্স ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি তৈরির কার্যক্রম শুরু করেছি, যা আমাদের সক্ষমতাকে অনেকাংশে বৃদ্ধি করবে। আত্মনির্ভরতাও অনেক বাড়াবে।
অনুষ্ঠান শেষে সেনাবাহিনী প্রধান ১৯তম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সেনাসদর ও ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাহারছড়ায় ‘সিনহা স্মৃতিফলক’ উদ্বোধন
কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শ্যামলাপুরে ‘সিনহা স্মৃতিফলক’ উদ্বোধন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। গতকাল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রধান অতিথির বক্তব্যে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেন সেনাপ্রধান।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে নিরস্ত্র মেজর (অব.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইনফ য ন ট র অন ষ ঠ ন কর ন ল সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৪ জুলাই এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর এস এম মঈনুল করিম।
তিনি বলেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমরা আশা করছি দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে পারব।
এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এদিন সকালে প্রিজনভ্যানে করে সাবেক এসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
গত ৯ এপ্রিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে ১৫ জুনের মধ্যে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।