ছয় বছর আগে ভূরুঙ্গামারীর দুধকুমার নদের ওপর দ্বিতীয় সোনাহাট সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময় পার হয়ে প্রকল্পের মেয়াদ আরও চারবার বাড়ানো হয়। তবুও কাজ শেষ হয়নি। এতে দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে দেশের সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজ।
ব্রিটিশ সরকার ১৮৭৯ সালে নর্দান বেঙ্গল রেলওয়ে ও আসামের সঙ্গে যোগাযোগ সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য পাইকেরছড়া ও সোনাহাট ইউনিয়ন সীমান্তে দুধকুমার নদের ওপর সোনাহাট রেলসেতু নির্মাণ করে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান-ভারত বিভক্তির পর সেতুটি দিয়ে রেল যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনী যাতে নদী পার হতে না পারে, সে জন্য সেতুর দুটি স্লিপার ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। স্বাধীনতার পর সেখানে স্টিলের স্লিপার দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়।
স্থলবন্দর চালু হলে সেতুটির গুরুত্ব বাড়ে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ২০১৯ সালে পুরোনো সেতুর সামান্য দক্ষিণে দুধকুমার নদের ওপর ৬৪৫.
সেতু পারের শফিকুল, শাহজাহান, ফরিদুলসহ অনেকেই বলেন, নড়বড়ে সেতুতে উঠলেই কাঁপতে থাকে। যাতায়াতের বিকল্প পথ না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই এ সেতু দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
সোনাহাট স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী আবদুল খালেক, মিজানুর রহমান, নুর হোসেন ও জহুরুল ইসলাম বলেন, পুরোনো রেলসেতু দিয়ে পর্যাপ্ত মালপত্র পরিবহন করতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছি। গাড়ি লোড করে সময়মতো পার হওয়া যায় না। জানমালের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি করা পণ্য আনা-নেওয়ার কাজ। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
গাফিলতির অভিযোগ করেছেন কুড়িগ্রামের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম। তাঁর দাবি, প্রথম দিকে জমি অধিগ্রহণে জটিলতা, নকশা পরিবর্তন ও করোনাকালে স্থবিরতাসহ ঠিকাদারের কাজে ধীরগতির কারণে সেতু নির্মাণ শেষ করতে চারবার সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রায় ৫৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে জনসাধারণের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
আখাউড়া দিয়ে ভারত থেকে এলো সাড়ে ১২ টন জিরা
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে জিরা আমদানি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাড়ে ১২ টন জিরা বন্দরে খালাস করা হয়। এর আগে সোমবার ১২ টন জিরা নিয়ে একটি ট্রাক বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
জানা গেছে, সারা এগ্রো এনিমাল হেলথ এবং সততা ট্রেডিং নামে দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই জিরা আমদানি করেছে। কাস্টমস ক্লিয়ারিং ও ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আখাউড়া স্থলবন্দরের মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
আখাউড়া কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতি কেজি জিরা প্রায় ৩ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২৭ টাকায় আমদানি করা হচ্ছে। গত কয়েক দিনে মোট ৩৬.৫ টন জিরা আমদানি হয়েছে, যার মাধ্যমে ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯০ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান বলেন, চলতি বছরে এর আগেও কয়েকবার এই বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছে। ঈদুল আজহা সামনে রেখে আরও আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে।