এক কেজি সোনা দিয়ে বানানো হলো পাত্র
Published: 1st, March 2025 GMT
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কড়াইয়ের মতো একটি পাত্র থেকে খাবার তুলে খাচ্ছেন এক নারী। তবে এটি কোনো সাধারণ কড়াই নয়। রীতিমতো এক কেজি সোনা দিয়ে বানানো হয়েছে এটি। এই কড়াইয়ের দাম ৯৭ হাজার মার্কিন ডলার (১ কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা প্রায়)। অনলাইনে ওই নারীর ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
চীনের শেনজেনের শুইবেই এলাকায় একটি সোনার দোকান রয়েছে ওই নারীর। তিনি ওই এলাকায় সোনার পাইকারি বিক্রেতাদের অন্যতম। তিনি জানান, এক গ্রাহক অর্ডার দেওয়ার পর তাঁর কারখানায় ওই সোনার পাত্র তৈরি করা হয়েছে। ওই গ্রাহক আবার তাঁর বন্ধু।
অজ্ঞাত ওই নারী চীনের গণমাধ্যম দুতে নিউজকে বলেন, সোনার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক বাজার হিসাব করলে বানানোর খরচসহ পাত্রটির মোট দাম দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ইউয়ান (১ কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা প্রায়)।
জুয়েলারির মালিক ওই নারী বলেন, অসাধারণ এই পণ্য সরবরাহের আগে গ্রাহকের অনুমতি নিয়ে তাঁরা একটি ভিডিও বানিয়েছেন। তাঁর জানামতে, বিশ্বে প্রথম কোনো মানুষ এভাবে সোনা দিয়ে পাত্র বানিয়েছেন।
ওই নারী বলেন, আরেক গ্রাহক ৫০০ গ্রাম সোনা দিয়ে একটি ডুরিয়ান বানিয়ে দেওয়ার অর্ডার করেছেন। এই ব্যবসায়ী বলেন, চলতি বছর বিশ্ব বাজারে সোনার মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শুইবেই বিপণিবিতানেও কয়েক মাস ধরে সোনার বেচাকেনা বেশ ভালোই বাড়ছে।
অনেকেই ধারণা করছেন যে সোনার দাম ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। বিষয়টি মাথায় রেখে অনেকেই এতে আরও বেশি বিনিয়োগ করবেন।
চীনের অনেক তরুণ–তরুণীকে এখন নিজেদের বাড়িতে সোনার গয়না ও পণ্য তৈরির কারখানা খুলতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে আগে সস্তায় কিনে রাখা সোনা দিয়ে নিজেদের জন্য সোনার গয়নাসহ নানা পণ্য বানিয়ে নিচ্ছেন।
ওই সোনার দোকানের মালিক বলেন, তিনি জানেন না, ওই গ্রাহক সোনার পাত্র দিয়ে কী করবেন।
অন্যান্য পাত্রের তুলনায় সোনার পাত্রের তাপ পরিবাহিতা ভালো। তবে সাধারণ পাত্রে রান্না করা খাবারের যে স্বাদ, সোনার পাত্রের খাবার স্বাদও তা–ই।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় জুয়েল মিয়া (৪০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরিফ (২০) নামের আরও একজন।
শনিবার (১ নভেম্বর ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফতুল্লার পঞ্চবটি মেথর খোলার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের জুয়েল মিয়া (৪০) গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ভগবানপুর গ্রামের মো. শাহ আলমের ছেলে।
তিনি পেশায় একজন দর্জি ছিলেন। নিহত জুয়েল বর্তমানে ফতুল্লার মুসলিম নগরে সালাম আহমেদের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে রাস্তা পারাপারের সময় ময়দা ও আটা বোঝাই দুটি ট্রাকের মাঝখানে পড়ে দুজন আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জুয়েল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত আরিফুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক আবু রায়হান নুর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দুটি ট্রাক থানায় নিয়ে যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত)আনোয়ার হোসেন জানান,দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে দুটি ট্রাক থানায় নিয়ে এসেছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।