জীবনে চলার পথে মানুষ যেন সাবধান থাকে: জাহিদ হাসান
Published: 3rd, March 2025 GMT
বর্তমানে নতুন কোনো নাটক সিনেমায় দেখা মেলে না অভিনেতা জাহিদ হাসানের। তবে অবশেষে তিনি দেখা দিলেন একটি ওয়েব ফিল্মের টিজারে। এ ফিল্মের অন্যতম প্রধান চরিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন বলে জানা গেছে। নির্মাতা রায়হান রাফী, তমা মির্জাসহ আমলনামা ওয়েব ফিল্ম-সংশ্লিষ্ট অনেকেই ফিল্মটির টিজার শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে দেখা মিলল জাহিদ হাসানের। নির্মাতা জানিয়েছেন এটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে।
সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় সিনেমা নির্মাণে জুড়ি নেই রায়হান রাফীর। ‘জানোয়ার’, ‘ফ্রাইডে’, ‘টান’, ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’র পর এবার সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে তিনি নিয়ে আসছেন ‘আমলনামা’। চরকি অরিজিনাল ফিল্মটি মুক্তি পাবে শিগগিরই। তার আগে প্রকাশ পেয়েছে সিনেমাটির ফোরটেস্ট ও থিমেটিক পোস্টার।
রাফীর এ নতুন আমলনামায় এবার যুক্ত হয়েছেন জাহিদ হাসান। ফলে দারুণ কিছু হবে বলেই ইঙ্গিত পাচ্ছেন দর্শক। রাফীও জানালেন জাহিদ হাসানকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে দারুণ চেষ্টা তাঁর।
রায়হান রাফীর ভাষ্য, ‘আমলনামার গল্প সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে। তবে এমন গল্প খুব একটা দেখেননি আগে দর্শক। এর মাধ্যমে জাহিদ ভাই আবার ফিরছেন। তাঁকে নতুনরূপে পর্দায় উপস্থাপন করাটা চ্যালেঞ্জের বটে। আমি সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে নিয়েছি। এখানে ভিন্ন এক জাহিদ হসানকে দেখবেন দর্শক। যে জাহিদকে আগে কোথাও দেখা যায়নি। সবকিছু মিলিয়ে দর্শকরা ওটিটিতে আরও একটি ভালো কাজ পাবেন বলেই আমার বিশ্বাস।
গত শুক্রবার বিকেলে প্রকাশ পায় ‘আমলনামা’র ফোরটেস্ট বা পূর্বাভাস ভিডিও, যার ক্যাপশনে লেখা, ‘অবিচার যখন হয়ে উঠেছিল বিচারের মাপকাঠি।’ এই শহর, শহরের কিছু মানুষ এবং তাদের অভিব্যক্তি দিয়ে সাজানো হয়েছে সিনেমাটির ফোরটেস্ট।
ওয়েব ফিল্মটি নিয়ে জাহিদ হাসান বলেন, ‘সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। আমরা আমাদের চরিত্রের মাধ্যমে যে ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, সেগুলো যেন আর না ঘটে, সে জন্যই কাজটি করা। ওয়েব ফিল্মটির নামটাও গল্পের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক। মানুষ যেন জীবনে চলার পথে সাবধান থাকে, কী করব আর কী করব না, সেটা যেন চিন্তা করে।’
‘আমলনামা’ সিনেমার মাধ্যমে অনেক দিন পর ওটিটিতে দেখা যাবে জাহিদ হাসানকে। শুধু তাই নয়, কবি, গীতিকার, নির্মাতা কামরুজ্জামান কামু আছেন এই সিনেমায়। গাজী রাকায়েতকে এখানে পাওয়া যাবে নতুনভাবে। অভিনেত্রী তমা মির্জা ও সারিকা সাবরিনাও আছেন এই সিনেমায়। সবাই থাকলেও আলোটা বিশেষভাবে জাহিদ হাসানের ওপরই পড়ছে। কারণ তাঁকে এমন গল্পের মূল চরিত্রে দেখতে চায় দর্শক।
এদিকে অনেক দিন ধরেই নাটকে অনিয়মিত তিনি। কালেভদ্রে শোনা যায় নতুন নাটকে কাজ করার কথা। অসুস্থতাও ঝেঁকে বসেছে শরীরে। এসব ছাপিয়ে জাহিদ হাসানের এমন ওটিটিতে এমন উপস্থিতি দারুণভাবে উচ্ছ্বসিত করেছে ভক্তদের। আগামীতে ওটিটির কাজে নিয়মিতই থাকবেন বলে জানালেন জাহিদ হাসান। তবে সেটা গল্প ও চরিত্রের ওপর নির্ভর করছে বেশি।
অভিনেতার ভাষ্য, ‘বেশ যত্ন ও আন্তরিকতা নিয়ে ওটিটির কাজগুলো হয়। সময় নিয়ে এসব কাজ করার কারণে মানের ক্ষেত্রেও খুব একটা আপস করে না পরিচালক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। তাই কাজ করে এক ধরনের তৃপ্তি পাওয়া যায়। আমি তো বরাবরই ভালো কাজের দিকে মনোযোগী। আগামীতেও গল্প ও চরিত্রে ভালো হলে নিয়মিতই থাকব এ মাধ্যমে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আমলন ম
এছাড়াও পড়ুন:
বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য নতুন ধরনের ব্যাটারি তৈরি করছে ফোর্ড
কম খরচে দীর্ঘ পথ যেতে সক্ষম বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির জন্য লিথিয়াম ম্যাঙ্গানিজ রিচ (এলএমআর) সেলযুক্ত ব্যাটারি তৈরি করছে ফোর্ড। নতুন এ ব্যাটারি ভবিষ্যতে বৈদ্যুতিক গাড়ির সক্ষমতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। ফোর্ডের ইলেকট্রিফাইড প্রপালশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক চার্লস পুন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের রোমুলাসে অবস্থিত আয়ন পার্ক ব্যাটারি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে লিথিয়াম ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ এলএমআর ব্যাটারি তৈরি করা হচ্ছে।
ফোর্ডের তথ্যমতে, এলএমআর ব্যাটারির শক্তির ঘনত্ব নিকেল ব্যাটারির তুলনায় বেশি। তাই নতুন ব্যাটারি কাজে লাগিয়ে দীর্ঘ পথ চলতে পারবে বৈদ্যুতিক গাড়ি। নতুন ব্যাটারির বিষয়ে চার্লস পুন বলেছেন, ‘ফোর্ড প্রথমে নিকেল-ম্যাঙ্গানিজ-কোবাল্ট (এনএমসি) ব্যাটারি তৈরি করেছে। এরপর ২০২৩ সালে তৈরি করেছে লিথিয়াম-আয়রন-ফসফেট এলএফপি ব্যাটারি। এবার আসছে এলএমআর ব্যাটারি। আমরা এই দশকের মধ্যেই এলএমআর ব্যাটারির উৎপাদন বাড়াতে চাই। ফোর্ডের ভবিষ্যৎ মডেলের গাড়িতে এই ব্যাটারি ব্যবহারের জন্য কাজ চলছে।’
সায়েন্স ডাইরেক্ট সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, লিথিয়াম-সমৃদ্ধ ম্যাঙ্গানিজভিত্তিক ক্যাথোড উপকরণ ৩০ বছর আগে আবিষ্কৃত হয়েছে। নিকেল ও কোবাল্টের অনুপস্থিতির কারণে এসব ব্যাটারির শক্তির ঘনত্ব বেশি।
সূত্র: ইনসাইড ইভিস