পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শব্দদূষণ রোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শ্রবণক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এজন্য আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় শব্দ সৃষ্টি হতে বিরত থাকতে হবে। তিনি বলেন, শ্রবণস্বাস্থ্য রক্ষা শুধু ব্যক্তিগত বিষয় নয়, এটি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নাক, কান, গলা ও হেড-নেক ক্যান্সার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটে বিশ্ব শ্রবণ দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘মানসিকতার পরিবর্তন: নিজেকে শক্তিশালী করে তুলুন।’

উপদেষ্টা বলেন, শব্দদূষণ শ্রবণক্ষমতা হ্রাসের অন্যতম কারণ। শহরাঞ্চলে অতিরিক্ত যানবাহনের হর্ন, শিল্পকারখানার শব্দ ও উচ্চস্বরে মাইক ব্যবহারের কারণে শ্রবণজনিত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে। সরকার শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, হর্ন বাজানো বন্ধ করা, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ দৈনন্দিন কাজে বাহুল্য শব্দ সৃষ্টি বন্ধ করা জরুরি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ইএনটি অ্যান্ড হেড-নেক ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের সভাপতি ও সাবেক সচিব সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড.

জাহানারা আলাউদ্দিন, সদস্যসচিব কামরুল হাসান তরফদার, বাংলাদেশ ইএনটি হাসপাতালের প্রফেসর মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালের অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ খান ও হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. আলী ইমাম।

আলোচনা সভায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বিশেষজ্ঞ বক্তারা শ্রবণ সমস্যা কমাতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন।

আলোচনা সভার আগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব শ উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

আমি প্রেমের সম্পর্কে থাকতে চাই, বাঁধনের খোলামেলা স্বীকারোক্তি

লাক্স তারকা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া থেকে শুরু করে রুপালি পর্দা, আন্তর্জাতিক অঙ্গন—এমনকি বলিউডের বড় মঞ্চেও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। সাফল্যে ভরা এই পথটা তার জন্য খুব সহজ ছিল না। পেশাগত উত্থান-পতনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও তাকে একাই লড়াই করতে হয়েছে। জীবনে এসেছেন অনেক মানুষ—কেউ তাকে এগিয়ে দিয়েছেন, কেউ আবার মানসিক আঘাতও দিয়েছেন। 

বিচ্ছেদের পর মিরপুরে মা–বাবার সঙ্গে সন্তানকে নিয়ে থাকেন বাঁধন। বিয়ে নিয়ে পরিবার কোনো চাপ দেয় না; পুরো সিদ্ধান্তই তার নিজের হাতে। এই প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, “বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু এখনো জানি না কীভাবে হবে। কারণ বিয়ে নিয়ে আমার এখনো ট্রমা আছে—বিয়েটা আমার জন্য কতটা সুখকর হবে সেটা বলা কঠিন।” 

আরো পড়ুন:

থমকে গেল গায়ক পলাশ ও ক্রিকেটার স্মৃতির বিয়ের সানাই

আমার বুকটা আবার খালি হলো: শোকগ্রস্ত ওমর সানী

ব্যক্তিগত জীবনে বাঁধন এখন বেশ শান্ত, স্বস্তিতে আছেন। সম্প্রতি প্রেমে পড়েছেন—এমন গুঞ্জনও ছড়িয়েছে চারদিকে। বিষয়টি স্বীকার করেই বাঁধন বলেন, “প্রেম সুন্দর। আমি প্রেমের সম্পর্কে থাকতে চাই। মাত্র তো প্রেমে পড়লাম, এখন এই সম্পর্ককে যত্ন করতে হবে। খুব শিগগির বিষয়টি প্রকাশ্যে আনব। আমি এখন জীবনের সবচেয়ে সুন্দর একটা সময় কাটাচ্ছি। কাজ, জীবন আর আমার সন্তানকে নিয়ে সবই খুব সুন্দর চলছে। পরিবার–পরিজন, মা-বাবা, ভাইদের সঙ্গে সম্পর্ক খুব ভালো—এটা আমি উপভোগ করছি।” 

পেশাগত দিক থেকেও নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তুলছেন বাঁধন। শরীরচর্চা ও আত্মনিয়োগের মাধ্যমে ৭৮ কেজি থেকে ওজন কমিয়ে এখন ৬১ কেজিতে নামিয়েছেন। এ অভিনেত্রী জানান, খুব শিগগির আবার নতুন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ