দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় জাতীয় উদ্যান সিংড়া শালবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৭ একরের বেশি বেতবাগান পুড়ে গেছে।  গতকাল সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ভোগনগর ইউনিয়নে সিংড়া শালবনের উত্তর প্রান্তে বেতবাগানে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তিন ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। 
দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক নুরুন্নাহার জানান, অগ্নিকাণ্ডে ১৭ একর জমির বেতবাগান পুড়ে গেছে। কীভাবে আগুন লেগেছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত হবে– বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগ সূত্র জানায়, ৮৫৯ দশমিক ৯৩ একর জমির ওপর সিংড়া শালবন। ২০১০ সালে বন বিভাগ এই বনকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। শালগাছ ছাড়াও এই বনে রয়েছে জারুল, তরুল, শিলকড়ই, শিমুল, মিনজিরি, সেগুন, গামারি, আকাশমণি, ঘোড়ানিম, সোনালু, গুটিজাম, হরীতকী, বয়রা, আমলকী, বেতসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ, লতাগুল্ম, ভেষজ ও ফুলের গাছ।
বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তা গয়া প্রসাদ পাল জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। স্থানীয়ভাবেও আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বড় কোনো গাছ পুড়ে না গেলেও বেত বাগানের বড় একটি অংশ পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বনের প্রবেশ পথের বাঁশবাগান থেকে আগুনের উৎপত্তি। 
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দিন জানান, অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। বনে শুকনো পাতার কারণে আগুন লাগতে পারে। বাতাসের গতিবেগের কারণে তা ছড়িয়ে পড়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আগ ন বন ব ভ গ

এছাড়াও পড়ুন:

কারাগারে চালু হলো হটলাইন নম্বর

কারাগারের যেকোনো তথ্য বা যোগাযোগের জন্য হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। আজ সোমবার গণমাধ্যমে কারা অধিদপ্তরের পাঠানো খুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। হটলাইন নম্বরটি হলো ১৬১৯১।

খুদে বার্তায় বলা হয়, এখন থেকে ১৬১৯১ হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করলে বন্দীর সাক্ষাৎ, অবস্থান ও শাস্তি সম্পর্কে জানা যাবে এবং যেকোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়েও তাৎক্ষণিক সাড়া (রেসপন্স) পাওয়া যাবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৫৫টি জেলা কারাগার রয়েছে।

কারা বিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারা সদর দপ্তর, ৮ টি বিভাগীয় কারা দপ্তর এবং ৬৮টি কারাগার নিয়ে বাংলাদেশের কারা বিভাগ গঠিত। কারা বিভাগের সব কাজকর্ম কারা সদর দপ্তর থেকে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। কারাগার পর্যায়ে জেল সুপার/সিনিয়র জেল সুপার দপ্তর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ