Prothomalo:
2025-05-01@12:07:38 GMT

মঙ্গল গ্রহ লাল কেন

Published: 4th, March 2025 GMT

দূর থেকে মঙ্গল গ্রহকে একটি বিশাল লোহার লাল বলের মতো মনে হয়। মঙ্গল গ্রহের লাল রঙের রহস্য জানতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি নেচার কমিউনিকেশনস সাময়িকীতে মঙ্গল গ্রহের রং লাল কেন, তা নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, কোটি কোটি বছর আগে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে থাকা পানিতে নানা ধরনের খনিজ ছিল। পানিতে থাকা আয়রন খনিজ ফেরিহাইড্রাইটের কারণে মঙ্গল গ্রহে লাল ধূলিকণা তৈরি হতে পারে। এর ফলে মঙ্গল গ্রহের রং লাল দেখা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী অ্যাডাম ভ্যালান্টিনাস জানিয়েছেন, মঙ্গল গ্রহ কেন লাল রঙের, এমন একটি মৌলিক প্রশ্ন শত শত বছর ধরে করা হচ্ছে। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, সেখানে ফেরিহাইড্রাইট ধূলিকণা সর্বত্র রয়েছে। সম্ভবত বিভিন্ন শিলার গঠনেও এই উপাদান রয়েছে। নতুন গবেষণার তথ্যমতে, মঙ্গল গ্রহ অতীতে বাসযোগ্য ছিল।

বিজ্ঞানীরা নতুন তথ্য জানতে একাধিক মঙ্গল মিশনের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী অ্যাডাম ভ্যালান্টিনাস বলেন, ‘আমরা প্রাচীন মঙ্গলের জলবায়ু সম্পর্কে জানতে চাই। মঙ্গলের বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাই। মঙ্গল গ্রহের বাতাসের মাধ্যমে খনিজসমৃদ্ধ ধূলিকণা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে বলে গ্রহের আইকনিক লাল চেহারা তৈরি হয়েছে।’

বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গল গ্রহে অতীতে শীতল কিন্তু আর্দ্র ও সম্ভাব্য বাসযোগ্য জলবায়ু ছিল। মঙ্গল গ্রহের বর্তমান বায়ুমণ্ডল ঠান্ডা ও পাতলা হওয়ার কারণে তরল পানি ধারণ করার উপযোগী নয়। দীর্ঘ সময় ধরে এমন বায়ুমণ্ডল দেখা যাচ্ছে মঙ্গল গ্রহে।

সূত্র: নাসা

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য নতুন ধরনের ব্যাটারি তৈরি করছে ফোর্ড

কম খরচে দীর্ঘ পথ যেতে সক্ষম বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির জন্য লিথিয়াম ম্যাঙ্গানিজ রিচ (এলএমআর) সেলযুক্ত ব্যাটারি তৈরি করছে ফোর্ড। নতুন এ ব্যাটারি ভবিষ্যতে বৈদ্যুতিক গাড়ির সক্ষমতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। ফোর্ডের ইলেকট্রিফাইড প্রপালশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক চার্লস পুন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের রোমুলাসে অবস্থিত আয়ন পার্ক ব্যাটারি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে লিথিয়াম ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ এলএমআর ব্যাটারি তৈরি করা হচ্ছে।

ফোর্ডের তথ্যমতে, এলএমআর ব্যাটারির শক্তির ঘনত্ব নিকেল ব্যাটারির তুলনায় বেশি। তাই নতুন ব্যাটারি কাজে লাগিয়ে দীর্ঘ পথ চলতে পারবে বৈদ্যুতিক গাড়ি। নতুন ব্যাটারির বিষয়ে চার্লস পুন বলেছেন, ‘ফোর্ড প্রথমে নিকেল-ম্যাঙ্গানিজ-কোবাল্ট (এনএমসি) ব্যাটারি তৈরি করেছে। এরপর ২০২৩ সালে তৈরি করেছে লিথিয়াম-আয়রন-ফসফেট এলএফপি ব্যাটারি। এবার আসছে এলএমআর ব্যাটারি। আমরা এই দশকের মধ্যেই এলএমআর ব্যাটারির উৎপাদন বাড়াতে চাই। ফোর্ডের ভবিষ্যৎ মডেলের গাড়িতে এই ব্যাটারি ব্যবহারের জন্য কাজ চলছে।’

সায়েন্স ডাইরেক্ট সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, লিথিয়াম-সমৃদ্ধ ম্যাঙ্গানিজভিত্তিক ক্যাথোড উপকরণ ৩০ বছর আগে আবিষ্কৃত হয়েছে। নিকেল ও কোবাল্টের অনুপস্থিতির কারণে এসব ব্যাটারির শক্তির ঘনত্ব বেশি।

সূত্র: ইনসাইড ইভিস

সম্পর্কিত নিবন্ধ