নাজমুল হাসান পাপনের মেয়াদে নারী-পুরুষ জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ ছিল বিদেশি। ছেলেদের ক্রিকেটে দেশের কোচদের নেওয়া হতো না। নারীদের কোচিং স্টাফে দেশি-বিদেশির মিশেল ছিল। এবার তো নারী দলে বিদেশি কোচ থাকছেই না। সম্পূর্ণ দেশি কোচ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের জন্য। সরওয়ার ইমরানকে দীর্ঘ মেয়াদে জাতীয় নারী দলের প্রধান কোচ করা হয়েছে। বেশ কয়েক বছর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটের কোচিং করানোর সুযোগ না পাওয়া ইমরানের কপাল খুলে গেছে বিসিবির পট পরিবর্তন হওয়ায়। বিসিবির একটি সূত্রে জানা গেছে, ইমরানের পছন্দে প্যানেলের বাকি কোচ নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ট্রেনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিকেএসপির অ্যাথলেটিকস কোচ ফৌজিয়া হুদা জুঁইকে।
গত দুই বছর নারী জাতীয় দলের প্রধান কোচ ছিলেন শ্রীলঙ্কান হাসান তিলকারত্নে। ফিজিও-ট্রেনারও ছিলেন লঙ্কান। হাসানের সময়ে খুব একটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে ২১ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম হওয়ায় সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে বাই বলেন হাসান। তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে দেশি কোচ ইমরানকে।
ক্রিকেট বোর্ডে আলোচনা ইমরান নিজের পছন্দের কোচিং স্টাফ দিয়ে প্যানেল সাজাতে চান। প্রধান কোচের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দেশি কোচ নিয়োগ দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে বিসিবি নারী ক্রিকেটের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘আমরা দেশের সেরা কোচকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করছি। বিদেশি কোচের অধীনে দেখেছি। দেশি কোচের অধীনে কেমন করে দেখা প্রয়োজন। আমি আশাবাদী ইমরানের অধীনে ভালো করবে মেয়েরা।’
ইমরান জাতীয় দলের সঙ্গে লম্বা সময় কাজ করেছেন। প্রধান কোচ, সহকারী কোচ, পেস বোলিং কোচের ভূমিকায় দেখা গেছে তাঁকে। ইমরানের কোচিং যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। প্রশ্ন উঠেছে তাঁর বয়স, সক্ষমতা, কোচিং প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্ততা নিয়ে।
জাতীয় দলের সাবেক একজন অধিনায়ক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বাকি টেস্ট খেলুড়ে দেশ যেখানে ছেলে-মেয়েদের ক্রিকেটে সুযোগ-সুবিধা সমান করছে, বিসিবি সেখানে ‘কোরাম’ করে পেছনের দিকে হাঁটছে। এভাবে চললে নারী ক্রিকেটের উন্নতি হবে না। শুনেছি ইমরান ভাই ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন। বিষয়টি সত্য হলে চিন্তার কারণ।”
ইমরানকে বিসিবি নারী বিভাগের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কয়েক মাস আগে। অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপ দলের কোচ ছিলেন তিনি। সুপার টুয়েলভ থেকে বাদ পড়েছিল বাংলাদেশ। জাতীয় দলে ইমরানের অ্যাসাইনমেন্ট বিশ্বকাপ বাছাই টুর্নামেন্ট দিয়ে। এপ্রিলে পাকিস্তানে হবে বাছাই টুর্নামেন্টটি। বিকেএসপির অ্যাথলেটিকস কোচ ফৌজিয়া হুদা জুঁইকে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ট্রেনার হিসেবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ত য় দল র ইমর ন র
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি