Samakal:
2025-08-01@05:06:45 GMT

জ্যোতিদের কোচ নিয়ে প্রশ্ন

Published: 5th, March 2025 GMT

জ্যোতিদের কোচ নিয়ে প্রশ্ন

নাজমুল হাসান পাপনের মেয়াদে নারী-পুরুষ জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ ছিল বিদেশি। ছেলেদের ক্রিকেটে দেশের কোচদের নেওয়া হতো না। নারীদের কোচিং স্টাফে দেশি-বিদেশির মিশেল ছিল। এবার তো নারী দলে বিদেশি কোচ থাকছেই না। সম্পূর্ণ দেশি কোচ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের জন্য। সরওয়ার ইমরানকে দীর্ঘ মেয়াদে জাতীয় নারী দলের প্রধান কোচ করা হয়েছে। বেশ কয়েক বছর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটের কোচিং করানোর সুযোগ না পাওয়া ইমরানের কপাল খুলে গেছে বিসিবির পট পরিবর্তন হওয়ায়। বিসিবির একটি সূত্রে জানা গেছে, ইমরানের পছন্দে প্যানেলের বাকি কোচ নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ট্রেনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিকেএসপির অ্যাথলেটিকস কোচ ফৌজিয়া হুদা জুঁইকে।

গত দুই বছর নারী জাতীয় দলের প্রধান কোচ ছিলেন শ্রীলঙ্কান হাসান তিলকারত্নে। ফিজিও-ট্রেনারও ছিলেন লঙ্কান। হাসানের সময়ে খুব একটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে ২১ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম হওয়ায় সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে বাই বলেন হাসান। তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে দেশি কোচ ইমরানকে। 

ক্রিকেট বোর্ডে আলোচনা ইমরান নিজের পছন্দের কোচিং স্টাফ দিয়ে প্যানেল সাজাতে চান। প্রধান কোচের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দেশি কোচ নিয়োগ দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে বিসিবি নারী ক্রিকেটের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘আমরা দেশের সেরা কোচকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করছি। বিদেশি কোচের অধীনে দেখেছি। দেশি কোচের অধীনে কেমন করে দেখা প্রয়োজন। আমি আশাবাদী ইমরানের অধীনে ভালো করবে মেয়েরা।’

ইমরান জাতীয় দলের সঙ্গে লম্বা সময় কাজ করেছেন। প্রধান কোচ, সহকারী কোচ, পেস বোলিং কোচের ভূমিকায় দেখা গেছে তাঁকে। ইমরানের কোচিং যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। প্রশ্ন উঠেছে তাঁর বয়স, সক্ষমতা, কোচিং প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্ততা নিয়ে। 

জাতীয় দলের সাবেক একজন অধিনায়ক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বাকি টেস্ট খেলুড়ে দেশ যেখানে ছেলে-মেয়েদের ক্রিকেটে সুযোগ-সুবিধা সমান করছে, বিসিবি সেখানে ‘কোরাম’ করে পেছনের দিকে হাঁটছে। এভাবে চললে নারী ক্রিকেটের উন্নতি হবে না। শুনেছি ইমরান ভাই ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন। বিষয়টি সত্য হলে চিন্তার কারণ।” 

ইমরানকে বিসিবি নারী বিভাগের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কয়েক মাস আগে। অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপ দলের কোচ ছিলেন তিনি। সুপার টুয়েলভ থেকে বাদ পড়েছিল বাংলাদেশ। জাতীয় দলে ইমরানের অ্যাসাইনমেন্ট বিশ্বকাপ বাছাই টুর্নামেন্ট দিয়ে। এপ্রিলে পাকিস্তানে হবে বাছাই টুর্নামেন্টটি। বিকেএসপির অ্যাথলেটিকস কোচ ফৌজিয়া হুদা জুঁইকে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ট্রেনার হিসেবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ত য় দল র ইমর ন র

এছাড়াও পড়ুন:

বাণিজ্যবিরোধ: ভারত কেন ট্রাম্পের নিশানায়

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের বাণিজ্যনীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। ভারতীয় পণ্যের ওপর হোয়াইট হাউসের শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তুতি নেওয়ার পর থেকেই এ আক্রমণের মাত্রা বেড়েছে।  

ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর প্রশাসন আজ শুক্রবার (১ আগস্ট) থেকে ভারতের রপ্তানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করছে এবং এর পাশাপাশি অতিরিক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ট্রাম্প যখন বিশ্বের বহু দেশের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছিলেন, তখনই ভারতকে উদ্দেশ করে তাঁর এমন কঠোর অবস্থান সামনে উঠে আসে।

হোয়াইট হাউসের অভিযোগ, ভারত মার্কিন পণ্যকে বাজারে ঠেকাতে অতিমাত্রায় শুল্ক আরোপ করছে। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে ভারত রুশ জ্বালানি কেনা অব্যাহত রাখায় ট্রাম্প প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

‘ভারতের শুল্ক বিশ্বে অন্যতম সর্বোচ্চ’, গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প। জবাবে ভারত সরকার জানিয়েছে, তারা ট্রাম্পের বক্তব্য ‘লক্ষ্য করেছে’ এবং এর ‘প্রভাব মূল্যায়ন’ করবে।

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্যবিরোধ: পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়িয়ে

আজ থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর ট্রাম্পের ধার্য করা ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক গত ২ এপ্রিল হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে ঘোষিত সম্ভাব্য শুল্ক থেকে মাত্র ১ শতাংশ কম।

এ হার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাপানের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ শুল্কের চেয়ে বেশি। তবে গত মে মাসে  চীনের ওপর আরোপিত ৩০ শতাংশ শুল্কের চেয়ে কিছুটা কম।

হোয়াইট হাউসের অভিযোগ, ভারত মার্কিন পণ্যকে বাজারে ঠেকাতে অতিমাত্রায় শুল্ক আরোপ করছে। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে ভারত রুশ জ্বালানি কেনা অব্যাহত রাখায় ট্রাম্প প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ শুল্ক ভারতের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা আরও জটিল করে তুলতে পারে। একাধিক দফা আলোচনার মধ্য দিয়ে উভয় পক্ষ একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ১২তম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার ভারত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন থেকে উৎপাদন সরিয়ে নেওয়া অনেক কোম্পানির নতুন গন্তব্য হয়েছে দেশটি। মে মাসে অ্যাপলের সিইও টিম কুক জানান, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য আইফোন এখন ভারতে উৎপাদিত হচ্ছে; যাতে উচ্চ শুল্ক এড়ানো যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ওটিআর) তথ্যমতে, গত বছর ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ছিল প্রায় ১২৯ বিলিয়ন (১২ হাজার ৯০০ কোটি) ডলার। ভারতের রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে পোশাক, রাসায়নিক, যন্ত্রপাতি ও কৃষিপণ্য।

ট্রাম্প কেন ভারতকে নিশানা করছেন

সম্প্রতি ট্রাম্প একাধিকবার বিভিন্ন পণ্যের ওপর ভারতের ‘অতি উচ্চ’ শুল্ক আরোপের সমালোচনা করেছেন। এর মধ্যে কৃষিপণ্য ও দুগ্ধজাত পণ্যও রয়েছে।

বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লেখেন, ‘বছরের পর বছর আমরা ভারতের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে খুব কম ব্যবসা করেছি। কারণ, তাদের শুল্ক অত্যন্ত বেশি।’

এ মুহূর্তে যখন সবাই চায় ইউক্রেনে হত্যা বন্ধ হোক, তখন ভারত চীনের সঙ্গে রাশিয়ার জ্বালানির সর্ববৃহৎ ক্রেতা।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্ট

দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করতে ভারত কিছু পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপ করেছে।

ওটিআরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে পণ্যবাণিজ্যে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন (৪ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের ঘাটতি দেখেছে। এটি আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। তুলনামূলকভাবে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে প্রায় ২৯৫ বিলিয়ন (২৯ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের বাণিজ্যঘাটতিতে ছিল।

আরও পড়ুনভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা, ইরানের পণ্যের বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ ৩১ জুলাই ২০২৫

ট্রাম্প আরও ক্ষুব্ধ যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে ভারত রুশ তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে।

‘এ মুহূর্তে যখন সবাই চায় ইউক্রেনে হত্যা বন্ধ হোক, তখন ভারত চীনের সঙ্গে রাশিয়ার জ্বালানির সর্ববৃহৎ ক্রেতা’, বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন ট্রাম্প।

ভারতের প্রতিক্রিয়া

এ সপ্তাহে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ভারত সরকার ট্রাম্পের ওই বক্তব্যে তুলনামূলকভাবে মৃদু, তবে শক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

ভারতের ওপর ধার্য করা শুল্কহার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাপানের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশের চেয়ে বেশি। তবে গত মে মাসে চীনের ওপর আরোপিত ৩০ শতাংশের চেয়ে কিছুটা কম।

বুধবার দেওয়া এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কয়েক মাস ধরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একটি ন্যায্য, ভারসাম্যপূর্ণ ও পারস্পরিকভাবে লাভজনক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সরকার জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।’

আগস্টের শেষ দিকে দুই দেশের মধ্যে আরেক দফা বাণিজ্য আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুনভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য আলাদা ‘দণ্ড’৩০ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্কে ভারতের অর্থনীতি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, কী বলছেন অর্থনীতিবিদেরা১৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ