সম্প্রতি একটি সামরিক অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সিরিয়ার সরকারের উদ্দেশে একটি উত্তেজক বক্তব্য দিয়েছেন। আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়াকে নিয়ে তাঁর দেশের কৌশলগত রূপরেখাও তিনি তুলে ধরেন।
নেতানিয়াহুর বক্তব্যে তিনটি মূল বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

প্রথমত, নেতানিয়াহু বলেছেন, সিরিয়ার নতুন সরকারকে ইসরায়েল দামেস্কের দক্ষিণে সেনাবাহিনী নিয়োগ দেওয়ার অনুমতি দেবে না। নির্দিষ্ট করে তিনি কুয়েইট্রা, দারা ও সুইদে প্রদেশে ‘সম্পূর্ণ নিরস্ত্র’ অঞ্চল ঘোষণার আহ্বান জানান।

দ্বিতীয়ত, নেতানিয়াহু এই অবস্থান ঘোষণা করেছেন যে ইসরায়েল সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের রক্ষক। অতি সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ বলেছেন, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠী’র সঙ্গে তারা সম্পর্ক জোরালো করতে চায়।

তৃতীয়ত, সিরিয়ার ভূমি ইসরায়েলের দখলে রাখতে নেতানিয়াহু তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে নিরপেক্ষ অঞ্চল ও হেরমন পর্বত এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকবে।

আরও পড়ুনসিরিয়ার বিদ্রোহীদের পেছনে তাহলে কি ইসরায়েল!০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

নেতানিয়াহুর এই অবস্থান ইসরায়েলের সম্প্রসারণ ও দখলদারির এজেন্ডাকে (বিশেষ করে গোলান মালভূমি) শক্তিশালী করে। অবশ্য ইসরায়েলের এই অবস্থান নতুন নয়। রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই নীতি ইসরায়েল ব্যবহার করে আসছে। লেবাননসহ বিভিন্ন পটভূমিতে ইসরায়েল এই নীতি প্রয়োগ করেছে।

দামেস্কের দক্ষিণাঞ্চলকে নিরস্ত্রীকরণ এলাকা করা হলে সেটা সিরিয়ার সরকারের কর্তৃত্বকে ক্ষুণ্ন করবে। সেখানে সিরিয়া রাষ্ট্রের উপস্থিতি দুর্বলভাবে থাকবে। ইসরায়েলি পৃষ্ঠপোষকতায় স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনী গঠিত হবে এবং রাষ্ট্রের মধ্যে রাষ্ট্র তৈরি হবে।
ইসরায়েলি কৌশলের আরেকটা অংশ হচ্ছে, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলো যাতে সিরিয়া সরকারের কর্তৃত্বে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে, তার জন্য উৎসাহ দেওয়া। এভাবে ইসরায়েল সিরিয়াকে টুকরো টুকরো করে রাখতে চায়।

ঐতিহাসিকভাবে ইসরায়েল শান্তির আহ্বানকে দুর্বলতার চিহ্ন হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। এই আহ্বানকে ইসরায়েল তার ভূখণ্ড দখলের উচ্চকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য আগ্রাসী সুযোগ হিসেবে নিয়েছে।

গত ডিসেম্বর থেকে নেতানিয়াহুর বিবৃতি ও ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তুরস্ক তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে। সিরিয়ায় ইসরায়েলের সম্প্রসারণবাদী প্রকল্পের নিন্দা জানিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, ‘নিরাপত্তার ছদ্মবেশে’ ইসরায়েল সিরিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।

নেতানিয়াহুর বক্তব্যে দ্রুজ সম্প্রদায়ের নাম উচ্চারণ করাটা ইসরায়েলের ‘সংখ্যালঘুদের জোট’ মতবাদের প্রতিফলন। এর মধ্য দিয়ে সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠদের বিরুদ্ধে অঞ্চলটির সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ে একটি জোট গঠন করতে চায় ইসরায়েল।

এই বিভক্ত করে শাসন করার নীতি শত্রুতা, সন্দেহ ও সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দেয়। সংখ্যাগরিষ্ঠদের কাছ থেকে সহিংস প্রতিক্রিয়া যাতে আসে, সে জন্য সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করা হয়।

ইসরায়েল আগে এই কৌশল লেবাননের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। সেখানকার খ্রিষ্টান ও শিয়াদের সহযোগিতা করে তারা এটি করেছিল। সিরিয়ার দ্রুজ, কুর্দি ও আলাউত সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে একই কাজ করতে চাইছে ইসরায়েল। কিন্তু এই চিন্তাপদ্ধতি ধ্বংসাত্মক এবং বিপরীত ফল উৎপাদনকারী। চূড়ান্তভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যাঁরা এ কাজে সম্পৃক্ত থাকবেন এবং যাঁরা তাঁদের ব্যবহার করবেন, এই কৌশল উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

আরও পড়ুনসিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েল কেন আঁতাত করছে০৪ জানুয়ারি ২০২৫

সিরিয়ার দক্ষিণ অঞ্চলকে নিরস্ত্রীকরণের দাবির সঙ্গে সেখানে সিরিয়ার সামরিক অবস্থানে ইসরায়েলের বিমান হামলার ঘটনাটি মিলে যায়। এ হামলায় বিশ্ব সম্প্রদায় নীরব রয়েছে। ফলে এটিকে নেতানিয়াহু সবুজ সংকেত হিসেবে ধরে নিয়েছেন।
ইসরায়েলের এই উসকানি ও আগ্রাসী কর্মকাণ্ডে সিরিয়ার নতুন সরকারের দিক থেকে বহুমুখী প্রতিক্রিয়া এসেছে।

দ্য সিরিয়ান ন্যাশনাল ডায়ালগ গত মাসে এক বিবৃতিতে ভূমি ছেড়ে দেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা ইসরায়েল সরকার ও সিরিয়ার আহমদ-আল শারার প্রতি এই ইঙ্গিত দিয়েছে যে নেতানিয়াহুর নিরস্ত্রীকরণ দাবি তারা মেনে নেবে না। বিবৃতিতে সিরিয়া থেকে ‘অবিলম্বে ও শর্তহীনভাবে’ ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে কোনো ধরনের সংঘাতে যাওয়া ছাড়াই শারা সরকারের কর্তৃত্বকে শক্তিশালী করা হয়েছে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শারা জর্ডান সফরে যান এবং বাদশাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করেন। বাদশাহ আবদুল্লাহ সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রতি সমর্থন দেন এবং ইসরায়েলের অনুপ্রবেশের নিন্দা জানান। ক্ষমতা গ্রহণের পর এটা ছিল শারার তৃতীয় বিদেশ সফর। ইসরায়েলের আগ্রাসী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক জোট গঠনের ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়। সামরিক পথের চেয়ে কূটনৈতিকভাবে ইসরায়েলকে মোকাবিলার বিষয়টি উঠে আসে।

আরও পড়ুনসিরিয়ার নতুন শাসক শারা কেন ইসরায়েলের আগ্রাসনে নীরব২১ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরিয়ার যে জটিল পরিস্থিতি, তাতে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং বিভিন্ন আরব দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ইসরায়েল যদি সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারে, তাহলে আরব দেশগুলোর অবস্থান মারাত্মক ক্ষুণ্ন হবে।

আরব লিগ, জর্ডান, মিসর, সৌদি আরব, কাতারসহ অন্য দেশগুলো ইসরায়েলকে জোরালো নিন্দা জানিয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আঞ্চলিক শক্তি তুরস্কের সিরিয়ায় উল্লেখযোগ্য অংশীদারত্ব রয়েছে। স্থিতিশীল সিরিয়ার কাছ থেকে তুরস্কের অনেক কিছু পাওয়ার আছে, সিরিয়ার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসনে তাদের অনেক কিছু হারানোর আছে।

গত ডিসেম্বর থেকে নেতানিয়াহুর বিবৃতি ও ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তুরস্ক তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে। সিরিয়ায় ইসরায়েলের সম্প্রসারণবাদী প্রকল্পের নিন্দা জানিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, ‘নিরাপত্তার ছদ্মবেশে’ ইসরায়েল সিরিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।

যদিও এখন পর্যন্ত তুরস্ক সংযত কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে না জড়িয়ে তুরস্ক সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের কুর্দি সংকটের ওপর বেশি জোর দিচ্ছে।

আলি বাকির ইবনে খালদুন সেন্টার ফর হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের গবেষণা সহকারী অধ্যাপক
মিডল ইস্ট আই থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্তাকারে অনূদিত

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র স ব যবহ র কর য় ইসর য় ল ইসর য় ল স ড স ম বর অবস থ ন সরক র র বল ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’

সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অনাহারে মৃত্যু ১৫৪

গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।

গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।

ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।

বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।

গাজায় স্টিভ উইটকফ

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ