কয়লাবোঝাই জাহাজ থেকে হাত-পা বাঁধা ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার ৬ জন
Published: 7th, March 2025 GMT
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এম.বি শাকিল পরিবহন (এম ২৫৯১২) নামে একটি কয়লার জাহাজ থেকে হাত-পা বাঁধা ও অচেতন অবস্থায় ৬ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার ছোট মাছুয়া এলাকার বলেশ্বর নদীর চরে আটকে থাকা জাহাজটি থেকে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে।
ওই ৬ জন হলেন- জাহাজের মাস্টার আবুল হাশেম (৪৯), ইঞ্জিন সুকানি বিপ্লব (৩৫), বাবুর্চি নিদু মিয়া (৬০), স্কট মো.
জাহাজের মাস্টার আবুল হাশেম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মোংলা থেকে জাহাজে কয়লাবোঝাই করে ঢাকা গাবতলীর উদ্দেশে রওনা দেই। মোড়েলগঞ্জ থানাধীন সোনাখালী নামক স্থানে নদীতে জাহাজ নোঙর করে ইফতার ও তারাবি নামাজ পড়ে বিশ্রাম করি। এসময় একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এরপর এখানে কীভাবে এলাম বলতে পারি না।’
জাহাজের স্কট মো. শান্ত বলেন, ‘ইফতার করার সময় সোনাখালী থেকে দুজন স্কট আমাদের জাহাজে এসেছিল। তারপর কী হয়েছে আমি বলতে পরি না। অচেতন অবস্থায় পড়েছিলাম হয়তো। শুক্রবার দুপুরে আমাদের জাহাজ এখানে চরের সঙ্গে আটকে থাকা অবস্থায় এবং জাহাজের লোকজনের হাত-পা বাঁধা দেখতে পায়। তখনও জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ করা হয়নি।’
ছোট মাছুয়া গ্রামের স্থানীয় সেলিম ব্রিকস ইটভাটার ম্যানেজার সরোয়ার হোসেন মন্টু মিয়া বলেন, ‘শুক্রবার সেহরি খাওয়ার পর নদীর চরে এ জাহাজটি আটকে থাকতে দেখি। ইঞ্জিন চলছিল। আমরা নদীর তীর থেকে বারবার চিৎকার করে সমস্যা জানার চেষ্টা করি, কিন্তু কোনো উত্তর না পেয়ে দুপুরের দিকে ট্রলারযোগে জাহাজের কাছে গিয়ে লোকজনের হাত-পা বাঁধা ও অচেতন অবস্থায় দেখতে পাই। পরে আমার মালিককে খবর দেই। পরে পুলিশ ও সাংবাদিকরা এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধারে করে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং জাহাজটি বন্ধ করে নোঙর করা হয়।’
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মোহাম্মদ সাখাওযাত হোসেন বলেন, আহতদের উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং জাহাজটি নিরাপদের রাখা হয়েছে। এ ঘটনা কেন কীভাবে ঘটলো তা জানার চেষ্টা চলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাজেকে চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যটনকেন্দ্র সাজেকে যাওয়ার পথে হাউসপাড়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জন আহত হয়েছেন।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম মোছা. রুবিনা আফসানা (রিংকী)। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহতদের মধ্যে ১১ জন একই বিভাগের শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষক বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
কুমিল্লায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২
স্থানীয় সূত্র জানায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি দল খাগড়াছড়ি থেকে চান্দের গাড়িতে করে সাজেক যাচ্ছিল। পথে হাউসপাড়া এলাকায় উঁচু পাহাড়ে উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে রুবিনা আফসানা নামের ওই শিক্ষার্থী মারা যান। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা মারজান বলেন, ‘‘দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’
ঢাকা/শংকর/রাজীব