ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথে টেস্ট ও ওডিয়াইতে এখনও অনেক এগিয়ে আছে পাকিস্তান। অথচ শেষ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কেবল পতনের মাঝেই আছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ২০০৯ সালের পর দেশটিতে বিদেশী দলগুলো সফর করা বন্ধ করে দেয়, যা দীর্ঘদিন অব্যাহত ছিল। এরপর থেকে এক বাবর আজম ছাড়া আর কোন তারকা ক্রিকেটার বের হয়নি পাকিস্তানে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানের অবস্থা এতটাই করুণ হয়েছে যে, সারা বিশ্বের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাই নেতিবাচক আলোচনা করছে দলটিকে নিয়ে। ভারতের ক্রিকেট কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার বলেছিলেন যে, ভারতের ‘বি’ দলও হয়তো মোহাম্মদ রিজওয়ানদের হারাতে পারবে। তবে পাকিস্তানের সাবেক কোচ জেসন গিলেস্পি, গাভাস্কারের এই বিশ্লেষণকে সমর্থন করেননি। গিলেস্পিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

আরো পড়ুন:

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বিনা খরচে ইফতার পাবে দর্শকরা 

স্বাগতিক পাকিস্তান নাকি ভারত!

রিজওয়ানের নেতৃত্বাধীন দলটি ঘরের মাঠে এবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। পাকিস্তানের এমন পারফরম্যান্সের পর গাভাস্কার বলেছিলেন ভারত তাদের ‘দ্বিতীয় স্তরের’ দল পাঠালেও পাকিস্তানের বিপক্ষে হেসেখেলে জিতবে।

গিলেস্পি গাভাস্কারের মন্তব্যকে ‘সম্পূর্ণ অসার’ বলে অভিহিত করেন। সাবেক এই অস্ট্রিলিয়ান পেস বোলার পাকিস্তান দলকে এমন খেলোয়াড়দের বেছে নিতে বলেছেন যারা, দলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

গিলিস্পি বলেন, “আমি এটা মেনে নিই না। সুনীল গাভাস্কারের কিছু মন্তব্য শুনলাম যে ভারতের ‘বি’ দল বা ‘সি’ দলও পাকিস্তানের শীর্ষ দলকে হারাতে পারবে। এটা ফালতু কথা, পুরোপুরি অসার। যদি পাকিস্তান সঠিক খেলোয়াড়দের বেছে নিয়ে তাদের সময় দেয় এবং তাদের খেলা শিখতে এবং উন্নত করতে সুযোগ দেয়, তারা যে কাউকে হারাতে পারবে। এতে আমার কোনো সন্দেহ নেই।”

গাভাস্কার বলেছিলেন, “আমি নিশ্চিত যে ভারতের ‘বি’ দল পাকিস্তানকে তাদের বর্তমান ফর্মে হারাতে পারবে, যদিও ‘সি’ দল এর জন্য এতটা সক্ষম নয়। তবে ‘বি’ দল পাকিস্তানের জন্য খুব কঠিন হবে।”

পাকিস্তান ক্রিকেট দল গত কয়েক বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বরাবরের মতো তাদের অধিনায়কত্বে পরিবর্তন এসেছে কয়েকবার। পরিবর্তন এসেছে তাদের নির্বাচনী প্যানেল এবং এমনকি বোর্ডও। আরও কিছু পরিবর্তন প্রত্যাশিত, যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা যেতে পারে। 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ