Samakal:
2025-05-01@04:43:08 GMT

খুঁটির জোরবিহীন ইউক্রেন

Published: 8th, March 2025 GMT

খুঁটির জোরবিহীন ইউক্রেন

হোয়াইট হাউস ইঙ্গিত দিয়েছে শান্তি আলোচনার তারিখ নির্ধারণের পরে সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু মার্কিন অস্ত্র ও গোয়েন্দা তথ্য আবার প্রবাহিত হতে শুরু করলেও, ইউক্রেনীয় জেনারেলদের তাদের সবচেয়ে বড় সমর্থকের সুবিধামাফিক যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। কেননা তারা অস্ত্র ও গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ ইচ্ছামতো বন্ধ করে দিতে পারে। যুদ্ধক্ষেত্রে এই নতুন অনিশ্চিত বিশ্বে প্রভাব পড়বে। 

ইউক্রেন এখন এক ভয়াবহ উভয় সংকটের মুখোমুখি– হয় সীমিত সম্পদ নিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাও অথবা শত্রুর কাছে জমি ছেড়ে দিয়ে সেনাশক্তি সংহত করো এবং রাজনৈতিক ফায়দা পেতে শত্রুপক্ষকে ভৌগোলিক সুবিধা দাও। যুদ্ধের গতিবিধি বরাবরই উপকরণ সরবরাহের ওপর নির্ভর করেছে। মস্কো আশা করে, কিয়েভের কাছে গোলাবারুদের অভাব দেখা দিলে তখন তারা নতুন আক্রমণ শানাবে। প্রকৃতপক্ষে ২০২৪ সালে পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য এসেছিল ইউক্রেনে সরবরাহ ঘাটতির সময়ে।
রাশিয়া সুবিধা পেতে কামানের গোলা ব্যবহার করেছে। কৌশলগত শহর আভদিভকারের উত্তর ও পশ্চিমে অগ্রসর হতে বিমানের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে মাঝে মাঝে ইউক্রেনের প্রতিটি কামান শেলের বিপরীতে রাশিয়া পাল্টা ২০টি শেল নিক্ষেপ করেছে। ২০২৫ সালে যুদ্ধক্ষেত্রগুলোর দিকে তাকালে বোঝা যায়, রাশিয়া দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন থেকে উত্তরে খারকিভ পর্যন্ত নিজেদের চলমান আক্রমণাত্মক অভিযান জোরালো করতে এবং রাশিয়ান কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলো বিতাড়িত করার জন্য যে কোনো সরবরাহ থামিয়ে দিতে পারে। 

এর মানে ইউক্রেনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোথায় কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টির আগেই নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে এবং কোথায় রাশিয়ার সৈন্যদের হতাশ করার জন্য সুযোগ বুঝে বিলম্বিত কর্মসূচি নিতে হবে। সুবিধা নিতে শত্রুপক্ষকে ভৌগোলিক জায়গা ছেড়ে দেওয়া একটি পুরোনো সামরিক কৌশল, কিন্তু যখন ভূখণ্ডটি আপনার সার্বভৌম অঞ্চল হয় তখন এটি বিশাল রাজনৈতিক মূল্য সৃষ্টি করে। অতএব, বিলম্বিত পদক্ষেপের সামরিক যুক্তি ইউক্রেনে রাজনৈতিক ঝুঁকি তৈরি ও বেসামরিক মনোবল কমিয়ে দেয় এবং সরকারের যুদ্ধ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বেসামরিক সমর্থন দুর্বল হয়ে পড়ে। 
এই সংকট যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেন তার প্রচেষ্টাকে কোথায় এবং কীভাবে গুরুত্ব দেবে, তা নির্ধারণ করবে। প্রথমত, রাশিয়ার বিরুদ্ধে দূরপাল্লার হামলা দিন দিন আকর্ষণ হারাবে। ইউক্রেনকে তার প্রতিরক্ষামূলক

অভিযানের জটিলতা কমাতে হবে এবং নিজস্ব ভূখণ্ডের অনেক ভেতরে ফিরে আসতে হবে।
দ্বিতীয়ত, রাশিয়া শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ করে না। এটি আলোচনার টেবিলে সুবিধা নিতে জবরদস্তিমূলক বিমান হামলা চালায়। মার্কিন সামরিক সহায়তা স্থগিত থাকায় রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনীয় শহর ও অবকাঠামোর ওপর হামলা বাড়ানোর একটি দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে, যা কিয়েভকে তার সম্মুখ সারির প্রতিরক্ষা বা রাজনৈতিক কেন্দ্র রক্ষা করতে বেদনাদায়ক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করবে। ভিয়েতনাম থেকে ইউক্রেন পর্যন্ত বিমানশক্তি ঐতিহাসিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ দরকষাকষির হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন উত্তর ভিয়েতনামে পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে বোমা হামলা চালিয়েছিলেন। রাশিয়া এখন ইউক্রেনের সঙ্গেও একই আচরণ করতে পারে।
এ অবস্থান থেকে বলা যায়, রাশিয়া প্রতিরক্ষা দুর্বল করা এবং মানসিক ও অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে ইউক্রেনের শহর ও অবকাঠামোর বিরুদ্ধে তার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন অভিযান কঠোরতর করতে পারে। কিয়েভ তার আকাশপথের সুরক্ষায় গোয়েন্দা তথ্য ও মার্কিন নির্মিত প্যাট্রিয়ট ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের মতো পদ্ধতির ক্ষেত্রে পশ্চিমা সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। তাই এই জবরদস্তিমূলক অভিযান কার্যকর হতে পারে।

বেঞ্জামিন জেনসেন: মেরিন কর্পস ইউনিভার্সিটির অ্যাডভান্সড ওয়ারফাইটিং স্কুলের কৌশলগত 
অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক; দ্য কনভারসেশন থেকে সংক্ষেপিত ভাষান্তর ইফতেখারুল ইসলাম 


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন র র জন ত ক সরবর হ

এছাড়াও পড়ুন:

বিদ্যুৎ না থাকায় ডিইপিজেডে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) আজ সোমবার দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে দুপুরের পর ডিইপিজেডের সব কারখানায় শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। ডিইপিজেডের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড পাওয়ারের ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রকল্পটিতে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে তারা উৎপাদন করতে না পারায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে ডিইপিজেডে প্রায় ৯০টি কারখানার এক লাখের মতো শ্রমিককে ছুটি দেওয়া হয়।

বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে উল্লেখ করে মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার যদি এটি অব্যাহত থাকে, তবে সংকট আরও বাড়বে। শ্রমিকেরা কাজ না করতে পেরে বিক্ষুব্ধ হলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠবে। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়া এ ধরনের ঘটনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘তিতাস বলছে, ইউনাইটেড পাওয়ারের কাছে বিল বকেয়া রয়েছে। তারা বকেয়া পরিশোধ করেনি। এ ব্যাপারে আদালতে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে, বেপজাকে কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ করে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ ধরনের পদক্ষেপের আগে ডিইপিজেডের গুরুত্ব বিবেচনা করে আলোচনার মধ্য দিয়ে বিষয়টির সমাধান করা উচিত ছিল।’

এ বিষয়ে ইউনাইটেড পাওয়ার প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক মো. মমতাজ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্যাসের কোনো প্রেশার নেই। প্রেশার শূন্য। কিন্তু কেন তিতাস কর্তৃপক্ষ এমনটি করল, সে ব্যাপারে এখানকার (আশুলিয়া অঞ্চলের) তিতাসের লোকজন কিছু বলতে পারেননি। আমরা নিজেরাও বিষয়টি নিয়ে জানি না। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে, বকেয়া নিয়ে কোনো ধরনের মামলা নেই। তিতাস কেন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিল, সেটি জানা নেই।’

জানতে চাইলে তিতাসের আশুলিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু ছালেহ মুহাম্মদ খাদেমুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাসের বিল বকেয়া থাকায় গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্ত। দুপুরের দিকে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আদানির সঙ্গে চুক্তি ক‌রে শুল্ক ফাঁকি
  • শিল্প খাতের উৎপাদন যেন ব্যাহত না হয়
  • কারাগারে গাঁজা সরবরাহ করতে গিয়ে নিজেই কারাগারে
  • ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা কী
  • ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ নেই, ৯০ কারখানায় ছুটি
  • মঙ্গলবার ৭ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব জায়গায়
  • পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে আরও ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত
  • পর্তুগাল ও স্পেনে নজিরবিহীন বিদ্যুৎ বিপর্যয়, পর্যুদস্তু জনজীবন
  • হাসপাতালে ডায়রিয়ার প্রকোপ শয্যা ও স্যালাইন সংকট
  • বিদ্যুৎ না থাকায় ডিইপিজেডে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ