মাত্র ২৪ রান হলেই দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে লিস্ট এ ক্রিকেটে দেখা পেতেন ডাবলের। অলক কাপালির হাতে কাভারে যখন ধরা পড়েন নাঈম শেখ, তাকে যেন ঘিরে ধরেছিল রাজ্যের হতাশা। ক্যারিয়ার সেরা ১৭৬ রানে সন্তুষ্ট হয়ে অনিচ্ছা সত্তেও যেতে হয়েছে ড্রেসিংরুমে। 

নাঈমের এই রানে ভর করে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড গড়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৪২২ রান করে প্রাইম ব্যাঙ্ক। তাড়া করতে নেমে ২৪৯ রানে থামে ব্রাদার্স। ১৭৩ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নাঈম অ্যান্ড কোং! 

মাত্র ১২৫ বলে ১৮টি চার ও ৮টি ছক্কার মারে বিধ্বংসী ইনিংসটি সাজান নাঈম। তার হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। শুরু থেকেই এই বাঁহাতি ছিলেন বিস্ফোরক। ফিফটির দেখা পান ৩৮ বলে। তাতে চার-ছয় থেকে আসে ৩৮ রান! সেঞ্চুরি করেন ৮২ বলে। সেঞ্চুরির পর দেড়শ হতে খেলেন মাত্র ২৪ বল! 

আরো পড়ুন:

দুই বছর পর ঢাকা লিগে তামিমের সেঞ্চুরি

প্রাইম ব্যাংকের চারশর ইতিহাস, নাঈমের ১৭৬

এর আগে নাঈমের ক্যারিয়ার সেরা ছিল ১৩৬ রান। এটি নবম শতক। সাব্বির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিংয়ে নাঈম যোগ করেন ১৪০ রান। সাব্বির ৭৩ রানে আউট হলে ভাঙে জুটি। এ ছাড়া ফিফটি করে অপরাজিত ছিলেন সাজ্জাদুল হক রিপণ। ব্রাসার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আল আমিন হোসেন। 

তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে উইকেট হারাতে থাকে ব্রাদার্স। এক প্রান্তে একাই হাল ধরার চেষ্টা করেন আইচ মোল্লা। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৯৬ রান। চার রানের জন্য সেঞ্চুরির দেখা পাননি। ১১০ বলে ৫টি চার ও ৭টি ছয়ের মারে এই রান করেন আইচ। 

এ  ছাড়া মাইশুকুর রহমান ৩৪, অলককাপালি ৩০ ও মাহফিজুল ইসলাম রবিন ২৯ রান করেন। প্রাইম ব্যাঙ্কের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। ২ উইকেট করে নেন হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি।

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ