স্মার্টফোনের হোম স্ক্রিনে প্রয়োজনীয় অ্যাপের উইজেট চালু থাকলে সেই অ্যাপে প্রবেশ না করেই হালনাগাদ সব তথ্য জানা যায়। তাই এবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেটা এআই উইজেট ব্যবহারের সুযোগ চালু করতে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। নতুন এ সুবিধা যুক্ত হলে হোয়াটসঅ্যাপ চালু না করেই স্মার্টফোনের হোম স্ক্রিন থেকে সরাসরি মেটা এআইয়ের বিভিন্ন প্রযুক্তিসেবা ব্যবহার করা যাবে। এরই মধ্যে নির্বাচিত ব্যবহারকারীদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে মেটা এআই উইজেট চালু করা হয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপের তথ্যমতে, মেটা এআই উইজেটের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা হোম স্ক্রিন থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানার পাশাপাশি ছবি আপলোড ও ভয়েস মোড চালু করতে পারবেন। ফলে মেটা এআই চ্যাটবট ব্যবহারের জন্য হোয়াটসঅ্যাপে প্রবেশ করতে হবে না।

আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপে যে ৮ কাজ কখনো করবেন না ১০ জুন ২০২৪

অনলাইনে প্রকাশিত স্ক্রিনশটে দেখা গেছে, মেটা এআই উইজেটের আকার সহজেই পরিবর্তন করা যাবে। ফলে ব্যবহারকারীরা তাঁদের প্রয়োজন অনুযায়ী উইজেটের আকার ছোট-বড় করতে পারবেন। তবে এ সুবিধা কেবল যাঁরা হোয়াটসঅ্যাপে মেটা এআই ব্যবহার করছেন, তাঁদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপে কল করার নতুন চার সুবিধা১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রসঙ্গত, মেটা এআই চ্যাটবটটি নিজস্ব এললামা ভাষা মডেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করেছে মেটা। গুগলের জেমিনি বা ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটির মতোই বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায় চ্যাটবটটিতে। তাই ইতিমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপে মেটা এআই চ্যাটবট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নতুন উইজেট যুক্ত হলে এ সুবিধা আরও সহজলভ্য হবে এবং এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হওয়ার ৫ লক্ষণ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ