উপকরণ

রুই মাছ দেড় কেজি, সাদা শর্ষে ২০ গ্রাম, কাঁচা মরিচ ৫টি, লবণ পরিমাণমতো, কাজুবাদাম ৫-৬টি, ভাজা চিনাবাদাম এক মুঠ, ব্লেন্ড করার জন্য পানি আধা কাপ, কাঁচা মরিচ চিরে নেওয়া ১টি, পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল চামচ, ফুটন্ত গরম পানি ১ কাপ, শর্ষের তেল দেড় কাপ, পোস্ত ১৫ গ্রাম, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা টেবিল চামচ।

প্রণালি

আঁশ ছাড়িয়ে চায়নিজ কাটে মাছটি কেটে নিন। মাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। ছাঁকনিতে সাদা শর্ষে রেখে পানিতে ধুয়ে নিন। ধোয়া শর্ষে কুসুম গরম পানিতে মিনিট দশেক ভিজিয়ে রাখুন। ব্লেন্ডারে শর্ষে, কাঁচা মরিচ, লবণ, পোস্ত, কাজুবাদাম, চিনাবাদাম দিয়ে দুই–তিনবারে ব্লেন্ড করে মিহি পেস্ট করে নিন। পেস্টটি বাটিতে রাখুন। মাছে লবণ মাখিয়ে নিন। চুলায় প্যান দিন। তেল দিন। গরম হলে মাছ দিয়ে এপিঠ–ওপিঠ ভেজে তুলুন। হালকা ভাজুন। কড়া হবে না। এই তেলেই কাঁচা মরিচ দিন। এবার পেঁয়াজবাটা দিয়ে দিন। অল্প নেড়ে কষিয়ে আদা ও রসুনবাটা দিয়ে আবার কষান। গরম পানি দিন। আগে থেকে করা পেস্টটি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। বলক ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার সাবধানে মাছ বিছিয়ে দিন। আন্দাজমতো লবণ দিন। মিনিট তিনেক পর মাছ উল্টিয়ে দিন। ঝোল টেনে এলে লবণ চেখে দেখুন। ১ চা-চামচ শর্ষের তেল ছড়িয়ে চুলা বন্ধ করুন। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে পরিবেশন করুন।

আরও পড়ুনআচারি ছোলার রেসিপি২২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ