Samakal:
2025-05-01@05:27:34 GMT

কার্নিতেই আস্থা কানাডার

Published: 11th, March 2025 GMT

কার্নিতেই আস্থা কানাডার

২০১৩ সালে যখন মার্ক কার্নি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন তিনি প্রচলিত আট বছর মেয়াদের পরিবর্তে পাঁচ বছর মেয়াদ নিয়ে কথা বলেন। এর অর্থ ছিল, পরবর্তী ফেডারেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তিনি কানাডায় ফিরে যেতে আগ্রহী। সেই নির্বাচন ২০১৯ সালে হয়ে যায়, আর কার্নি ব্যাংকে তাঁর দায়িত্বকাল বাড়িয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। এক বছর পর গার্ডিয়ান তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিল, তিনি কি একদিন কানাডার প্রধানমন্ত্রী হবেন? কার্নি একটু লাজুক ভঙ্গিতে বলেন, ‘আরে, সময়টা দেখো’! তিনি ভ্রু কুঁচকে হেসেছিলেন।
রোববার সন্ধ্যায় কার্নি উদারপন্থি নেতৃত্বের দৌড়ে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেন। প্রথম গণনায় মোট পয়েন্টের ৮৫.

৯ শতাংশ পেয়েছেন। কার্নির এই জয় তাঁর পূর্বসূরি জাস্টিন ট্রুডোকেও ছাড়িয়ে গেছে, যিনি ২০১৩ সালে ৮০ শতাংশের কিছু বেশি পয়েন্ট নিয়ে জিতেছিলেন।

কার্নি এখন কেবল লিবারেল পার্টির নেতা নন, আগামী দিনে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। পরবর্তীকালে তাঁর প্রভাব দ্রুত পরীক্ষার মধ্যে পড়বে। অটোয়াতে গুঞ্জন আছে, কার্নি দ্রুত একটি ফেডারেল নির্বাচনের ডাক দেবেন। তা না হলে তিনি অবৈধতার অভিযোগের মুখে পড়বেন। এক, হাউসে আসনবিহীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। দুই, দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো উদারপন্থিরা জরিপে বিরোধী রক্ষণশীলদের সঙ্গে ব্যবধান কমাতে শুরু করেছে।

এটি একটি চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তন। মাত্র দুই মাস আগে যখন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দেন, তখন উদারপন্থিরা কানাডিয়ানদের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ সমর্থন পাচ্ছিল। এখন দলটির সমর্থন প্রায় ৩০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প আংশিক অনুঘটকের কাজ করেছেন। তিনি দ্রুত কানাডাবাসীর মনোযোগ বহির্বিশ্বের দিকে টেনে নিয়েছেন এবং তাদের অগ্রাধিকার নিয়ে পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেছেন। এ বিবেচনায় রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য তারা কাকে বিশ্বাস করেন।
ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে কানাডাবাসীর এর উত্তরের জন্য উদারপন্থিদের দিকে তাকাতে হচ্ছে, যখন কার্নি নেতৃত্বে আসতে যাচ্ছেন– এটা স্পষ্ট হয়। ‘আমার জীবনের সবকিছুই এই মুহূর্তের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করেছে’– রোববার উদারপন্থি জনতার উদ্দেশে কার্নি এ কথা বলেন। এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে, অসংখ্য কানাডাবাসী এতে সহমত পোষণ করছেন। 
নিঃসন্দেহে এটি নেতৃত্বের দৌড়ে কার্নির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে হতাশ করেছে। রোববার ফ্রিল্যান্ড দলীয় ভোটে মাত্র ৮ শতাংশ সমর্থন পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন। এমনকি কার্নি ফ্রিল্যান্ডকে তাঁর নিজের এলাকায় ১,৩২২-১৮৮ ভোটে পরাজিত করেছেন। সত্যি বলতে, এটি ফ্রিল্যান্ডের জন্য একটি ভয়াবহ ফল ছিল। এটি এমন এক ফল, যা কয়েক মাস আগে খুব কম লোকই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল।

ট্রাম্প কানাডাবাসীকে আবার জাতীয়তাবাদী হয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ট্রুডোই তাঁর শেষ পদক্ষেপে কানাডাবাসীর এমন অনুভূতি ধারণে সাহায্য করেছেন, এখনও তারা একসঙ্গে আছেন। সংকটের মুহূর্তে তিনি সবসময় ভালো ছিলেন এবং ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রতি তাঁর প্রতিক্রিয়াই তার প্রমাণ।
২০২১ সালে কার্নি ব্যাখ্যা করেছিলেন, ‘যদি আমি বেসরকারি অর্থায়নে থাকতাম, তাহলে ২০ বছর ধরে সরকারি চাকরিতে থাকার সুযোগ-ব্যয় (অপরচুনিটি কস্ট) অনেক বেশি হতো। আমি কি টাকার পরোয়া করি? স্পষ্টতই, আমার একটা পরিবার আছে এবং কিছু কাজকর্মও রয়েছে। কিন্তু আমি এখন পুরোপুরি অটোয়াতে আছি। আমি অটোয়াতে ফিরে এসেছি। এটি এখন আগের চেয়েও বেশি সত্য। কানাডায় শিগগিরই একটি নির্বাচন আসছে এবং আমরা দেখব, কার্নির জীবনের সবকিছু তাঁকে আরও একটি জয়ের জন্য প্রস্তুত করেছে কিনা। ইতোমধ্যে মনে হচ্ছে, কার্নি ঠিক যেখানে থাকতে চান সেখানেই আছেন।

কলিন হর্গান: টরন্টোভিত্তিক লেখক এবং জাস্টিন ট্রুডোর সাবেক বক্তৃতা-লেখক; দ্য গার্ডিয়ান থেকে সংক্ষিপ্ত ভাষান্তর ইফতেখারুল ইসলাম

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন য কর ছ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপাচার্যের কাউন্সিল কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান তফসিল ঘোষণা করেন।

নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ মে খসড়া ভোটার তালিকা ও খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। ২১ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি ও মতামত গ্রহণ করা হবে। ৩০ জুন চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা ও চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। 

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক প্রার্থীগণ ১ থেকে ৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। ১ থেকে ৭ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীগণ। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ জুলাই।

মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ করা হবে ১১ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আপিলের শুনানি গ্রহণ ও রায় ঘোষণা করা হবে ১৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৪ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৫ জুলাই। ১৬ থেকে ২৮ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে নির্বাচনী প্রচারণা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ জুলাই।

১৯৯২ সালে সর্বশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ ৩২ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের জাকসু নির্বাচন।

ঢাকা/আহসান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ