আইউটিতে ভর্তি পরীক্ষা, আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আবেদন করুন দ্রুত
Published: 12th, March 2025 GMT
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) বাংলাদেশের একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। ওআইসি পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বাংলাদেশ আর ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সুযোগ পান। সেই উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটিতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে আবেদন চলছে।
২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আবেদন শুরু হয়েছে। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে অনলাইনে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি এবং ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীরা এবারের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। সে হিসেবে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে শর্ট লিস্ট করে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে।
আইইউটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা। ২ মে (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ১০টায় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।
ভর্তি পরীক্ষার নম্বর বণ্টনভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, মোট ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে আবেদনকারী প্রার্থীদের। এর মধ্যে গণিত-৩৫, পদার্থ-৩৫, রসায়ন-১৫, ইংরেজি-১৫ নম্বর। ভর্তি পরীক্ষা হবে দুই ঘণ্টায় (সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা)। প্রশ্ন হবে ইংরেজিতে। প্রতি প্রশ্নের মান ১। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.
১. বিএসসি ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই), আসন ১২০;
২. বিএসসি ইন ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই), আসন ৬০;
৩. বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই), আসন ১৮০;
৪. বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), আসন ১২০;
৫. বিএসসি ইন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং (এসডব্লিউ), আসন ৬০;
৬. বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিই), আসন ১২০;
৭. বিবিএ ইন টেকনোলজি ম্যানেজম্যান্ট (বিবিএ–টিএম), আসন ৬০;
৮. ব্যাচেলর অফ সায়েন্স ইন টেকনিক্যাল এডুকেশন (বিএসসিটিই), আসন ৩০।
আরও পড়ুনদেশের আরও তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারি হলো২২ ঘণ্টা আগেভর্তির গুরুত্বপূর্ণ তারিখ—*ভর্তি আবেদন শুরু: ২৭ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার, বিকেল ৩টা থেকে
*আবেদন শেষ: ১৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার, বিকেল ৩টায়।
*যোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ: ৭ এপ্রিল, সোমবার, রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে।
*ছবি আপলোড এবং অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড: ১৭ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার (বেলা ২টা) থেকে ২৩ এপ্রিল, বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
*অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোডজনিত সমস্যার সমাধান: ২৩ থেকে ২৪ এপ্রিল, (সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত)।
*ভর্তি পরীক্ষা: ২ মে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
*মেধা তালিকা প্রকাশ: ৫ মে, সোমবার।
***বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইট মিলবে বিস্তারিত তথ্য
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ১৬টি ভাষা কোর্সে ভর্তি, দেখুন খুঁটিনাটি১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনকৃষি গুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন শুরু, ৩৮৬৩ আসনে দ্বিতীয়বার সুযোগ, জেনে নিন খুঁটিনাটি১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থীর সনদ-ছাত্রত্ব বাতিল
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে কোটাবিরোধী আন্দোলনকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, র্যাগিংসহ নানা অভিযোগ এনে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল এমন ১০ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, ছাত্রত্ব ও সনদপত্র বাতিল করেছে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বহিষ্কৃতরা হলেন, বিশ্বজিৎ শীল, সাইদুজ্জামান পাপ্পু, জাহাঙ্গীর আলম অপু, মহিউদ্দিন মুন্না, হাসু দেওয়ান, আকিব মাহমুদ, আবির, অন্তু কান্তি দে, জাকির হোসেন ও রিয়াদ।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি ড. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে যাদের শিক্ষাজীবন শেষ হয়েছে, তাদের সনদপত্র বাতিল করা হয়েছে। যারা এখনো অধ্যয়নরত তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ছাত্রলীগের বিচারসহ ৯ দাবি জবি ছাত্রদলের
রাবিতে প্রভাষক হলেন জাসদ ছাত্রলীগ নেতা, ক্ষোভ
ভিসি আরো জানান, ২০২৪ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানান অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়, যা সর্বশেষ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অনুমোদিত হয়েছে। গত পরশু তাদের ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আকিব মাহমুদ বলেন, ‘‘জুলাই-আগস্ট মাসে এমন কোনো ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটেনি, যে কারণে আমাদের বহিষ্কার করা হতে পারে। ক্যাম্পাসে কোটা প্রত্যাহার দাবিতে একদিন বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে প্রোগ্রাম হয়েছে, সেদিনও কিছু হয়নি। আমরা সম্পূর্ণভাবে ভিসি ও ছাত্রদল-শিবিরের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। একদিন নিশ্চয়ই এই অবিচারের বিচারও হবে।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘‘কিছু শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমাদের কিছু বলার নেই। শুধু জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ঘটনাই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক ঘটনাও আছে অভিযোগে। তারই প্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’’
২০১৫ সালে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন পর্যন্ত কমিটি দেয়নি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের ব্যানারে নানান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যেত। বহিষ্কৃত ও সনদ বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজন ৫ আগস্টের আগে শিক্ষাজীবন শেষ করেন। গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছু দিন কারাবরণ শেষে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে দেশ ছেড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করা বহিষ্কৃত ১০ জনের একজন বিশ্বজিৎ শীল।
ঢাকা/শংকর/বকুল