‘সন্তান হত্যা’ কি কেবলই একটি ফৌজদারি অপরাধ?
Published: 12th, March 2025 GMT
২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বর বেলা সোয়া তিনটার দিকে দিয়াবাড়ির লেকপাড় থেকে একটি ব্যাগের মধ্যে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় এক শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়। দেশের এখানে–সেখানে শিশু, বিশেষ করে নবজাতকের মরদেহ পাওয়া এখন গুরুত্বহীন নিত্য খবর। তবে দিয়াবাড়ির লেকপাড়ে পাওয়া শিশুটি নবজাতক ছিল না।
সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় পুলিশ দেখতে পায় মৃত ওই শিশুর গলায় সন্দেহজনক আঘাতের দাগ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পল্লবী থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে। পুলিশ এখানেই ফাইল বন্ধ করে দিতে পারত। হাজার হাজার মামলার ভিড়ে ছয় মাসের এক বেওয়ারিশ লাশ নিয়ে কারও তেমন গরজ থাকে না।
হত্যাকাণ্ডের এক মাসের মাথায় গত ৪ জানুয়ারি শনিবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শিশুটিকে তার মা হত্যা করেন। পরে বন্ধুর সহায়তায় দিয়াবাড়ির লেকপাড়ে ফেলে রেখে যান। মা এখন হত্যা মামলার আসামি হিসেবে জেলে।
২০২৪ সালের ১৮ জুন ভৈরব শহরের কমলপুর নিউটাউন ফুল মিয়া সিটি এলাকায় ১০ তলা একটি ভবনে রাত চারটার দিকে এক মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজনসহ বাসার সবাই জেগে ওঠেন।
ক্রন্দনরত মা জানান, তাঁর সাত দিনের শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে সবাই খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। সকাল সাড়ে আটটার দিকে গৃহপরিচারিকার মাধ্যমে বাড়ির সবাই জানতে পারেন, শিশুটিকে বাড়ির পাশে একটি ঝোপে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নবজাতকের মা–বাবাসহ বাড়ির সবাইকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করার পর নবজাতকের মায়ের নামে ভৈরব থানায় হত্যা মামলা করেন বাবা ডা.
গত বছরের জানুয়ারি মাসে আরেক চাঞ্চল্যকর শিরোনাম ছিল, ‘চার বছরের সন্তানের ব্যাগবন্দী দেহসহ মা গ্রেপ্তার’। ঘটনাটি ভারতের। পুলিশের অভিযোগ, সূচনা শেঠ নামের ওই নারী তাঁর নিজের ছেলেকে হত্যা করেছেন। প্রাথমিক তদন্তের ফলাফল ও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে, শ্বাসরোধে ওই শিশুকে খুন করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারি ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে গোয়ায় আসেন ৩৯ বছরের সূচনা শেঠ। ৮ জানুয়ারি মাঝরাতে তিনি ওই সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টের কর্মচারীদের ট্যাক্সি ডেকে আনার কথা বলেন। রাত একটা নাগাদ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে এক ট্যাক্সিচালক তাঁকে বেঙ্গালুরু নিয়ে যেতে রাজি হন। পরদিন হোটেলের কর্মচারীরা রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে একটি টাওয়েলে রক্তের দাগ দেখতে পান। হোটেলে চেক ইন করার সময় সূচনা শেঠের সঙ্গে তাঁর ছেলেকে দেখা গেলেও চেক আউটের সময় যে সে ছিল না, এ বিষয়ও লক্ষ করেন কর্মচারীরা।
হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে নিশ্চিত করে সূচনা শেঠ যে ঘরে ছিলেন, সেখানে পাওয়া দাগ রক্তের। হোটেলের কর্মচারীদের কাছ থেকে ট্যাক্সিচালকের ফোন নম্বর নিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। চালকের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি যে যাত্রীকে নিয়ে যাচ্ছেন, তাঁর সঙ্গে কোনো বাচ্চা ছেলে আছে কি না। সে সময়ে সূচনা শেঠের সঙ্গেও পুলিশের কথা হয়। পুলিশকে সূচনা জানান, তাঁর ছেলে এক বন্ধুর কাছে গোয়ার মারগাঁওতে আছে। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, সূচনা তাঁর বন্ধুর যে ঠিকানাটা দিয়েছেন, সেটা ভুয়া।
রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ট্যাক্সির ট্রাংকে থাকা সূচনার স্যুটকেস থেকে ওই বালকের দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘অন্তত ৩৬ ঘণ্টা আগে শিশুটিকে শ্বাসরোধে খুন করা হয়। কোনো ধস্তাধস্তি বা প্রতিরোধের চিহ্ন মেলেনি। গলায় কোনো হাতের ছাপ মেলেনি। সম্ভবত মুখে কাপড় গুঁজে বা বালিশচাপা দিয়ে তাকে মারা হয়েছে।’
তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ সূচনা যে সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টে ছিলেন, সেখান থেকে কফের সিরাপের দুটি খালি বোতল উদ্ধার করেছে। পুলিশের অনুমান, ওই শিশুকে কফের সিরাপ খাইয়ে ঘুম পাড়ানোর পর তাকে শ্বাসরোধে খুন করা হয়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) নিয়ে কাজ করে, এমন একটি সংস্থা মাইন্ডফুল এআই ল্যাবের সিইও সূচনা শেঠ। বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা সূচনা শেঠের নাম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক কাজে পারদর্শী, এমন ১০০ জন কৃতী নারীর তালিকায় রয়েছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক নামকরা প্রতিষ্ঠানের রিসার্চ ফেলো হিসেবে তিনি যুক্ত ছিলেন।
কেউ বিশ্বাস করতে পারেননি যে তাঁর মতো এমন একজন ‘হাই অ্যাচিভার’ এমন একটা কাজ করতে পারেন। সে দেশের নিয়ম মেনে সূচনা ইনস্টিটিউট অব সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড হিউম্যান বিহেভিয়রে তাঁকে সাইকোলজিক্যাল টেস্টের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা জানার চেষ্টা করছেন, পদার্থবিজ্ঞান ও ডেটা সায়েন্স নিয়ে গবেষণা করা এই নারী, যিনি সংস্কৃত নিয়েও পড়াশোনা করেছেন, তাঁর মানসিক স্থিতি কেমন ছিল।
পুলিশ তদন্তকালে সূচনা শেঠের হাতে একটি ক্ষত দেখতে পায়। পুলিশের ধারণা, ছেলেকে হত্যার পর তিনি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। জানা গেছে, গ্রেপ্তারের পর থেকে দফায় দফায় জেরা করা হলেও কখনোই ভেঙে পড়েননি তিনি। তাঁর মধ্যে কোনো অনুতাপও দেখা যায়নি।
সংশ্লিষ্ট এক মনোবিজ্ঞানী জানিয়েছেন, সন্তান জন্মের পর ডিপ্রেশনের কারণে মা সন্তানকে হত্যা করেছেন, সে ঘটনা দেখা গেলেও সূচনা শেঠের ঘটনাটি কিন্তু বিরল।
এগুলো কি নিতান্তই বিচ্ছিন্ন ঘটনা? পৃথিবীর আর কোথাও এ ঘটনা ঘটে কি?নিজেরই গর্ভজাত সন্তানকে হত্যার দায়ে রাশিয়াতে প্রতিবছর বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন কয়েক ডজন মা। সন্তান হত্যাকারীদের এই তালিকায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন গৃহিণী থেকে শুরু করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সফল ব্যবস্থাপকও। যুক্তরাষ্ট্রেও নাকি প্রতি চারজনের একজন মা নিজের সন্তানকে মেরে ফেলতে চান বলে জানাচ্ছেন মনোবিজ্ঞানীরা।
১০ বছর আগের (২০১৪) এক গবেষণায় জানা গিয়েছিল, মার্কিন মুলুকে গত ৩২ বছরে যত খুন হয়েছে, তার মোট ১৫ শতাংশই মূলত মায়ের হাতে শিশুসন্তানের মৃত্যুর ঘটনা।
পৃথিবীর অনেক দেশেই শিশুহত্যার এই নির্মম আর অবিশ্বাস্য ঘটনা নিয়ে মনোবিজ্ঞানীদের গবেষণা চলছে। দেখা গেছে, সন্তান জন্ম দেওয়ার পরপরই অনেক মা সন্তান জন্মদান–পরবর্তী বিষণ্নতায় আক্রান্ত হন। কিন্তু পরিবারের নিকটজনেরা অনেক ক্ষেত্রেই এই বিষণ্নতাকে চিহ্নিত করতে পারেন না। ফলে ঘটে দুঃখজনক পরিণতি।
অপরাধবিজ্ঞানীরা বলছেন, যে পরিমাণ ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ায়, বাস্তবে তা ঘটে অন্তত ৮ গুণ বেশি। ডাক্তাররা বলেন, সন্তান জন্মদানের পর, সুপ্ত মনোরোগ হঠাৎই বেড়ে যেতে পারে। যে নারী গভীর বিষণ্নতায় আক্রান্ত, তাঁর দৈনন্দিন কাজকর্মে যে এটি সব সময় প্রকাশিত হয়, তেমন নয়। কিন্তু গর্ভধারণ, সন্তান জন্মদান ও মেনোপজের ঘটনায় তা হঠাৎই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
মস্কোর এক মা তাঁর সন্তানকে বালিশচাপা দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন। মা ছিলেন ৩৮ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষক। শিশুটিকে কোনোমতে উদ্ধার করে মাকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। সেখানেই ধরা পড়ে যে মা ক্রনিক সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত।
অনেক মনোবিজ্ঞানী তাঁদের গবেষণায় দেখেছেন যে নারীরা সন্তানদের খুন করছেন, তাঁরা নিজেরাও নিজেদের শৈশবে কোনো না কোনোভাবে নিগৃহীত ছিলেন। রাশিয়ার এক গবেষক বলছেন, হত্যাকারী মায়েদের মধ্যে অন্তত ৮০ শতাংশই দরিদ্র পরিবারে বড় হয়েছেন এবং অন্তত ৮৫ শতাংশই বিবাহিত জীবনে দ্বন্দ্ব ও কলহে জড়িত।
গবেষকেরা বলছেন, মিথ্যা বলা, তর্ক করা, ঝগড়া করা ও মাদকাসক্তির সঙ্গে পরবর্তী সময়ে শিশু হত্যার সম্পর্ক রয়েছে। তা ছাড়া নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে যাঁদের সম্পর্ক জটিলতাপূর্ণ, তাঁরাও পরবর্তী সময়ে শিশুর প্রতি আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারেন। গবেষকেরা বলছেন, হত্যাকারী মায়েদের অধিকাংশই আসলে আবেগীয়, যৌন ও শারীরিকভাবে কোনো না কোনোভাবে নির্যাতিত।
আমাদের দেশে এসব মাকে নিয়ে গবেষণার আগেই সামাজিক ট্রায়াল/ মিডিয়া ট্রায়াল হতে থাকে। তার ওপর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আইনজীবী সন্তান হত্যাকারী মায়েদের পক্ষে মামলা নিতে চান না। পরিবারের কেউই তাঁদের পাশে দাঁড়ান না। এটা যে একটা মানসিক সংকটের বহিঃপ্রকাশ এবং প্রতিরোধযোগ্য, সেটাই কেউ মানতে চান না।
গওহার নঈম ওয়ারা লেখক ও গবেষক
[email protected]
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মন ব জ ঞ ন খ ন কর বলছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর ব্যালট পেপারে ২ ভোট নিয়ে যা বলছে নির্বাচন কমিশন
গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে টিএসসি কেন্দ্রে এক ব্যালট পেপারে পূর্বেই দুই ভোট থাকার অভিযোগ তোলেন এক শিক্ষার্থী।
ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার পর এ নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আরো পড়ুন:
প্রথম কার্যনির্বাহী সভায় সিনেটে ৫ ছাত্র প্রতিনিধি ঠিক করল ডাকসু
ডাকসু নির্বাচনে জয়ী ৭ নারী
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস থেকে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত ‘টিএসসি কেন্দ্রের অভিযোগ প্রসঙ্গে আমাদের বক্তব্য' শীর্ষক এক বিবৃতিতে এ ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের দিন আনুমানিক সকাল ১১টা নাগাদ টিএসসি কেন্দ্র থেকে কেন্দ্র প্রধান আমাকে ফোনে জানান, একজন ছাত্রী (ভোটার) এক নম্বর টেবিল থেকে ব্যালট গ্রহণ করে বুথে প্রবেশ করেন। প্রায় ১ মিনিটের বেশি সময় পর তিনি বুথ থেকে বের হয়ে দাবি করেন, তার একটি ব্যালটে দুটি প্রার্থীর পক্ষে পূর্ব থেকেই ক্রস চিহ্ন দেওয়া ছিল।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ছাত্রীটি ওই ব্যালটে ভোট প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে সেখানে উপস্থিত পোলিং অফিসার এবং ভোট ব্যবস্থাপকদের সহায়তায় তার কাছ থেকে চিহ্নিত ব্যালটটি সংগ্রহ করে আলাদা একটি প্যাকেটে সংরক্ষণ করা হয় এবং তাকে নতুন করে ব্যালটের ১ নম্বর পাতাটি প্রদান করা হয়। পরে তিনি পুনরায় বুথে প্রবেশ করে ভোট দেন এবং চলে যান।
ঘটনার বিষয়ে অবহিত হওয়ার পরপরই আমি চিহ্নিত ব্যালটটি সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেই এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের অনুরোধ জানাই। পরে সেখানে উপস্থিত তিনজন শিক্ষককে আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি এবং তাদের বর্ণনার সঙ্গে কেন্দ্র প্রধানের বক্তব্যের মিল পাওয়া যায়। ফলে ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসিত হয় এবং প্রচলিত নিয়ম ও প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।
বিবৃতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানান, পরবর্তীতে আমাদের হাতে ঘটনাটির ভিডিও ফুটেজ আসে। ফুটেজ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট ছাত্রী চারবার বুথে প্রবেশ করেন। প্রথমবার আনুমানিক ৪০ সেকেন্ড, দ্বিতীয়বার আনুমানিক ৬৬ সেকেন্ড, তৃতীয়বার আনুমানিক ২ সেকেন্ড এবং চতুর্থবার আনুমানিক ১০ মিনিটেরও বেশি সময় বুথে অবস্থান করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ভোট দিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করেন।
তবে ভোটকেন্দ্রে তার বারবার বুথে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং সেখানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতা আমাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ ও সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী