সাবেক তত্ত্বাবধায়ক উপদেষ্টা শিল্পপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী আর নেই
Published: 12th, March 2025 GMT
এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা শিল্পপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (১২ মার্চ) সকালে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
এপেক্স গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের এক কর্মকর্তা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৭টা) সেখানকার একটি হাসপাতালে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ইন্তেকাল করেছেন। তার মৃত্যুতে এপেক্স পরিবার গভীর শোকাহত।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আর নেই
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান মারা গেছেন
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার পাশে ছিলেন ছেলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর ও মেয়ে মুনিজে মঞ্জুর। তারা আজই মরদেহ দেশে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।
দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তার মৃত্যুতে দেশের ব্যবসায়ী মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এর আগে ২০২০ সালের ২৬ মে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর স্ত্রী ও সানবিমস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ নিলুফার মঞ্জুর চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ১৯৬৬ সালে তারা সংসার জীবন শুরু করেছিলেন।
এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এবং গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।
১৯৭২ সালে মঞ্জুর ইন্ডাস্ট্রিজ নামে কোম্পানি করে কমিশনের ভিত্তিতে চামড়া বিক্রির মাধ্যমে ব্যবসায় আসেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। চার বছর পর ১৯৭৬ সালে ১২ লাখ ২২ হাজার টাকায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ওরিয়েন্ট ট্যানারি কিনে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন এপেক্স ট্যানারি। তারও ১৪ বছর পর যাত্রা শুরু করা এপেক্স ফুটওয়্যার এখন দেশের শীর্ষস্থানীয় জুতা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ১৯৯৬ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তখন তিনি যোগাযোগ, নৌপরিবহন, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
২০০১ সালেও তিনি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। তখন তিনি কৃষি, নৌপরিবহন, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এসবের বাইরে সংগঠক হিসেবেও অনেক কাজ করেছেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ঢাকার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যও তিনি।
১৯৪২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। তার বাবা স্যার সৈয়দ নাসিম আলী (১৮৮৭-১৯৪৬) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান ১৯৩৩ সালে। তার এক যুগ পর তিনি প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন।
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী কলকাতাতেই স্কুল ও কলেজের পাট শেষ করেন। ১৯৬২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি নেন। তারপর স্নাতকোত্তর করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬৪ সালে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম (এস এম) হলে থাকতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি করতেন।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র উপদ ষ ট কর ছ ন ন কর ন কলক ত সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জোড়া লাগল অর্জুন-মালাইকার ভাঙা প্রেম!
বলিউডের আলোচিত প্রেমিক জুটি অর্জুন কাপুর ও মালাইকা আরোরা। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। দীর্ঘদিন লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন তারা। গত বছরের মে মাসের শেষে হঠাৎ খবর চাউর হয়, ভেঙে গেছে মালাইকা-অর্জুনের প্রেমের সম্পর্ক।
মালাইকা-অর্জুনের প্রেমের সম্পর্ক ভাঙনের খবর প্রকাশের কয়েক দিন পর মালাইকার ম্যানেজার তা প্রত্যাখান করেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আর টুঁ শব্দ করেননি মালাইকা কিংবা অর্জুন। তবে এ ঘটনার কয়েক মাস পর মালাইকার সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা নিজ মুখেই স্বীকার করেন অর্জুন কাপুর।
দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় নেই মালাইকা-অর্জুনের প্রেম-বিচ্ছেদ। তবে বলিপাড়ায় নতুন খবর উড়ছে, ভাঙা প্রেম জোড়া লেগেছে এই জুটির। এই গুঞ্জনের সূত্রপাত্র হয়েছে মালাইকার ইনস্টাগ্রাম পোস্টকে কেন্দ্র করে।
আরো পড়ুন:
অন্তঃসত্ত্বা কিয়ারাকে কী উপহার দিলেন রাম চরণ?
সারোগেসির মাধ্যমে বাবা হয়েছেন যেসব অভিনেতা
রবিবার (১৫ জুন) মালাইকা তার ইনস্টাগ্রামে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, নিজের বাড়িতে অলস দুপুর কাটাচ্ছেন। প্রথম ছবিতে ঢোলাঢালা পোশাক পরে চেয়ারে বসে আছেন। দ্বিতীয় ছবিতে বেশ কিছু খাবারের ছবি দেখা যায়। তৃতীয়-চতুর্থ ছবিতেও বাড়ির ড্রয়িং রুম দেখা যায়। তাছাড়া আরো দুটো ছবিতে বিভিন্ন দৃশ্য দেখা যায়।
বরাবরের মতো প্রিয় তারকার ছবিতে অসংখ্য মানুষ রিঅ্যাক্ট দিয়েছেন। এই অসংখ্য মানুষের তালিকায় রয়েছেন অভিনেতা অর্জুন কাপুরও। মূলত, এরপরই মালাইকার সঙ্গে ভাঙা প্রেম জোড়া লাগার গুঞ্জন শুরু হয়। নেটিজেনদের বক্তব্য— “তিক্ততা ভুলে দুজন দুজনার কাছে ফিরেছেন মালাইকা-অর্জুন।” বিষয়টি চর্চা চললেও এ নিয়ে বরাবরের মতো নীরব এই প্রেমিক যুগল।
মালাইকার বয়স এখন ৫১ বছর আর অর্জুন কাপুরের ৩৯। অসম বয়সের কারণেও নিন্দার মুখে পড়েছেন তারা। এর আগে একাধিকবার এ সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার গুঞ্জন চাউর হয়েছে। তবে এসব উড়িয়ে একসঙ্গে ডেটে গিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন।
১৯৯৮ সালে আরবাজ খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মালাইকা আরোরা। ২০১৬ সালে দীর্ঘ ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এই দম্পতি।
২০১৭ সালের মে মাসে তাদের বিচ্ছেদ মঞ্জুর করেন মুম্বাইয়ের বান্দ্রার পারিবারিক আদালত। মালাইকা-আরবাজের আরহান খান নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। আরবাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর অর্জুন-মালাইকার প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়।
ঢাকা/শান্ত