লাকী আক্তারকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার দাবি
Published: 12th, March 2025 GMT
গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক লাকী আক্তারের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ এনে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার দাবি করেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার (১২ মার্চ) ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ গ্রেপ্তার জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের সময় লাকী আক্তার ও তার সহযোগীরা ইসলাম, আলেম-ওলামা ও দেশের শান্তিপ্রিয় জনতার সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। আজো সে একই অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। স্বাধীনতার পর থেকে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে এবং লাকী আক্তার সেই গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য হিসেবে আবারো প্রকাশ্যে এসেছে। দেশের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং খুনি হাসিনার মতো স্বেচ্ছাচারী শাসক তৈরি করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল তাদের।
আরো পড়ুন:
লাকি আক্তারের গ্রেপ্তার দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাসের প্রতিবাদ শিবিরের
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জনগণের ধর্মীয় ও নৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বদ্ধপরিকর। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, লাকী আক্তারের মতো দেশবিরোধী অপশক্তিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সময়ের দাবি। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লাকী আক্তারকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায়, দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
তারা বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু যদি প্রশাসন নিরব থাকে এবং লাকী আক্তারের অপতৎপরতা বন্ধ না করা হয়, তাহলে আমরা দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও গণআন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবো।
বিবৃতিতে সর্বস্তরের জনগণকে শাহবাগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।