খোসাসহ না কি ছাড়া আদা খাওয়া উপকারী?
Published: 13th, March 2025 GMT
আদা শরীরের জন্য কতটা উপকারী সেটা কমবেশি সবারই জানা।এক কাপ গরম আদা চা খেলে নিমিষে ক্লান্তি কেটে যায়। আবার মাথা ধরা, জ্বর জ্বর ভাব দূর করতেও আদা চায়ের তুলনা নেই। এ কারণে চা তৈরির সময় কেউ খোসা ছাড়িয়ে, কেউ আবার চায়ে সরসারি খোসাসহ আদা থেঁতলে দেন। আবার যে কোনও রান্নার মসলা হিসাবে ব্যবহারের সময় আদার খোসা ছাড়িয়ে তা বেটে নেওয়া হয়।
অনেকেরই প্রশ্ন, আদা খোসা-সহ খাওয়া উচিত না কি খোসা ছাড়া? খোসায় কি বাড়তি কোনও পুষ্টিগুণ থাকে?
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় পুষ্টিবিদ বীণা ভি বলেছেন, আদার খোসা খাওয়ায় কোনও সমস্যা নেই। তবে আদা টাটকা এবং খোসাটি পরিষ্কার হতে হবে। কারণ, চাষ করার সময় যেহেতু রাসায়নিক সারের প্রয়োগ হয়, কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, তাই ভালো করে ধুয়ে না নিলে, স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
আদার খোসার উপকারিতা
পুষ্টিবিদরা বলছেন, আদার খোসাতেও অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবার এবং নানা রকম যৌগ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও আদার খোসার তুলনা নেই। পুষ্টিবিদ বীণার মতে, আদার খোসায় থাকা প্রদাহনাশক এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান হজমক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আদার খোসার উপকারিতা থাকলেও খোসাসহ খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অনুসরণ জরুরি। যেমন-
আদার খোসায় পচা ভাব, দাগ থাকলে তা কেটে বাদ দিতে হবে।
খোসাসহ আদা খুব ভালো করে কচলে ধুয়ে তার পর সেই আদা ব্যবহার করা দরকার।
যদি ধোয়াধুয়ি কঠিন মনে হয় তাহলে খোসা বাদ দেওয়াই ভালো।
স্মুদি, চা, স্যুপে খোসা-সহ আদা কুচিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।